|
---|
Greetings from @shuly to all of you. I hope you're all doing well and having a great time.
|
---|
স্মৃতিগুলি আমাদের বিশেষ বৃদ্ধিকে ভাল নশ্বর প্রাণী হিসাবে গড়ে তোলার ভিত্তি। তারা মূল্যবান পরিচারক হিসাবে কাজ করে, আমাদের একবার অতিথিদের কাছ থেকে শেখা অ্যাসাইনমেন্ট অফার করে। ইতিবাচক স্মৃতি আমাদের সমবেদনা, দয়া এবং সংযোগের মুহূর্তগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়, আমাদের বর্তমান এবং অজাত সম্পর্কের মধ্যে সেই আচরণগুলিকে প্রতিলিপি করতে উত্সাহিত করে। অন্যদিকে, নেতিবাচক স্মৃতিচারণ আমাদেরকে আমাদের ভুল গণনার প্রতিফলন করতে এবং নিজেদের এবং অন্যদের উপর আমাদের পছন্দের প্রভাব আরও ভালভাবে বুঝতে দেয়।
আমাদের স্মৃতিচারণে আত্মদর্শনের প্রক্রিয়া সহানুভূতি এবং স্বর-মননশীলতাকে উত্সাহিত করে। আনন্দের মুহূর্তগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে, আমরা সুখ ছড়িয়ে দেওয়ার তাত্পর্যকে সমর্থন করি। এছাড়াও, আমাদের ভুল গণনাগুলি পুনর্বিবেচনা করা বিনয় তৈরি করে এবং আমাদেরকে সেগুলি সংশোধন করতে উত্সাহিত করে, যা বিশেষ বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। এছাড়াও, স্মৃতিচারণগুলি আমাদেরকে গল্প এবং অতিথিদের মধ্যে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম করে, ব্যক্তিত্বের মধ্যে সংবেদনশীলতা এবং বোঝাপড়ার অনুভূতি তৈরি করে।
বস্তুত, নিজেদেরকে ভালো মরণশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্মৃতিচারণ অপরিহার্য। তারা আমাদেরকে ইতিহাস থেকে শেখার, জ্ঞাত মতামত তৈরি করতে এবং অর্থপূর্ণ সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষমতা দেয়, অবশেষে আমাদেরকে ক্রমাগত টোন বর্ধন এবং বিশ্বের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাবের দিকে পরিচালিত করে।
The picture is taken from my album
|
---|
আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত হলো আমার সন্তানকে ফিরিয়ে পাওয়া খুঁজে পাওয়া. ২০০০ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে আমি এবং আমার তিন বছরের ছেলে আমার স্বামীর সাথে ইতালির ভেনিস শহরে ঘুরতে গিয়েছিলাম. তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনকার মত এত অত্যাধুনিক ছিল না. সোশ্যাল মিডিয়া এত আপডেট ছিল না তখন. আমার স্বামীর ছুটির দিনে জুলাইয়ের শেষের কোন এক শনিবারে ঘুরতে গিয়েছিলাম ভ্যানিশ পিয়াস্তা ওখানে প্রচন্ড ভিড় ছিল তখন,বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ ঘুরতে এসেছে. এত ভিড়ের মধ্যে পুরাটা সময় আমি আমার ছেলের হাত ধরে রেখেছিলাম, কখনো তাকে কোলে তুলে নিতাম. সারাদিন ঘোরার পর বিকেল বেলা আমার স্বামী টেলিফোনের কেবিন থেকে বাংলাদেশে আমার শাশুড়ির কাছে ফোন দিয়েছে, তখন আমি আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে আমার স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম. এক মুহূর্তের জন্য আমি আমার ছেলেকে হাতছাড়া করিনি. আমার স্বামী তার মার সাথে কথা শেষ করে আমাকে ফোন দিল আমার শাশুড়ির সাথে কথা বলার জন্য. তখন আমি আমার ছেলেকে আমি আমার স্বামীর কাছে দিয়েছি. কি করে আমার স্বামীর হাত ছেড়ে আমার ছেলে টেলিফোন থেকে বের হয়ে কোথায় গিয়েছে কিছুই বুঝতে পারিনি. আমি দেখলাম যে আমার ছেলে টেলিফোনের নাই তখন আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলাম আমাদের ছোট সোনা কোথায়. আমার স্বামী আমাকে জবাব দিল এখানে তো ছিল. তখনই বুঝতে পারলাম যে সে ভিড়ের মধ্যে কোথাও আছে. সাথে সাথেই আমি ফোনের রিসিভার রেখে ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে গেলাম এবং আমার স্বামীও পাগলের মত খুঁজতে শুরু করলাম এত মানুষের ভিড়ে কোথায় তাকে পাব চার-পাঁচ মিনিট খোঁজাখুঁজি করার পর আমার স্বামীকে বললাম দেরি করা যাবে না কন্ট্রোলরুমে জানানোর জন্য, আমার সামনে দৌড়ে গেলে কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য, ওখানে আরো অনেক বাংলাদেশী লোক ছিল তারা আমাদের কে হয়রান দেখে আর আমার দু চোখ দিয়ে সমানে পানি ঝরতে ছিল, এই অবস্থা দেখে তারা জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে ,আমি অল্প কথায় তাদের বুঝিয়ে বললাম যে আমার ছেলে এখানে কোথাও হারিয়ে গেছে, ওয়ালের থেকে আমার ছেলের ছবি দেখালাম তাদের তারাও খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করলো, কন্ট্রোল রুম থেকে ছোট ট্রলার এবং দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ করে দিল, ১৫-২০ মিনিটের মত এরকম খোঁজাখুঁজি করলাম তারপরে আমার মনে হল আমার ছেলের বাস খুব পছন্দ , তাই আমি বাসস্ট্যান্ডের সামনে যেতে দেখলাম দুইজন বাস ড্রাইভার আমার ছেলেকে দুই হাতে ধরে নিয়ে আসতেছে আর আমার ছেলে তাদের হাত ধরে ঝুলতেছিল আর খুব হাসতেছিল. তাকে দেখে আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না দৌড়ে যে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বড় করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লাম তখন বুঝতে পারলাম যে এতক্ষণ আমার দম বন্ধ ছিল. তাকে পেয়ে আমার দম ফিরে আসছে. আমি তখন ড্রাইভারদের কিছুই বলতে পারিনি কিছুই জিজ্ঞেস করতে পারি নাই তাদের তারা কোথায় আমার ছেলেকে পেয়েছে. শুধু আস্তে করে বলেছি ধন্যবাদ আপনাদের. তারাও আমার সিচুয়েশন বুঝতে পারছে, তারাও তেমন কিছু বলে নাই শুধু বলল আমরা দায়িত্ব পালন করেছি আপনার জন্য শুভকামনা রইল.
তারপর বাস ড্রাইভার কন্ট্রোল রুমে ওয়ারলেস করে বলে দিল যে এখানে সবকিছু ঠিক আছে. আমরা ওখানে আর বিলম্ব না করে বাসায় চলে এসেছি. অনেকদিন পর্যন্ত আমি ঘুমাতে পারিনি, যখনই আমার এই কথা মনে হতো আমি নিঃশ্বাস নিতে পারতাম না আমার দম বন্ধ হয়ে যেত. এবং বিধাতার কাছ থেকে আমার সবচেয়ে বড় উপহার ছিল আমার ছেলেকে ফিরে পাওয়া. তার এক বছর পর আমার বড় ভাই ইটালিতে গিয়েছিল আমাদের সাথে দেখা করার জন্য. আমার ছেলে তখন সেকেন্ড স্ট্যান্ডারে পড়ে, আমার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলাম এবং সাথে আমার বড় ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম তার স্কুল দেখানোর জন্য. আমি স্কুলে পৌঁছে দেখি সব গার্জিয়ানদের সাথে ওখানে একজন বাস ড্রাইভার আছে তার ইউনিফর্ম পড়া এবং তার ওয়াইফ তার সাথে, বাস ড্রাইভার এর ছেলে ওই স্কুলে পড়ে তখন, কিন্তু আমি জানতাম না, ঐদিন তাকে দেখে আমি বাস ড্রাইভারকে কুশল বিনিময় করার পর ওই বাস ড্রাইভার তার ওয়াইফ কে বলতেছিল এই বাচ্চাটা এক বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল . এ কথা শুনে অবাক হয়ে বা ড্রাইভার কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে জানেন এই কথা. তখনই বাস ড্রাইভার শপ স্টোরি আমাকে খুলে বলল, যে আমার ছেলে এক মধ্যবয়স্ক লোকের সাথে বসে আছিল, সে যখন বাস স্টার্ট করবে তখন লুকিং গ্লাসের দিকে তাকিয়ে দেখে আমার ছেলে বাসে আর আমি এপাশ ওপাশ দৌড়াদৌড়ি করতেছি. তখন বাস ড্রাইভার আমার ছেলের কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করল তোমার মা কোথায় এ কথা শুনে আমার ছেলে নাকি হাসতে শুরু করেছে. সাথে যে লোকটি ছিল বাস ড্রাইভার ও লোকটাকে জিজ্ঞেস করেছে এই বাচ্চাটাকে কি আপনি চিনেন? এ বাচ্চাটা আপনার কি হয়. ওই লোকটা না করেছে যে না আমি তাকে চিনি না তার পাশে খালি সিট ছিল তাই আমি এসে বসেছি. তখন বাস ড্রাইভার তার পকেট থেকে মোবাইল ফোন খুলে আমার ছেলের হাতে দিয়েছে আর বলেছে চলো তোমার আম্মুকে ফোন করি. আর উনি তার উচ্চ পদস্থ একজনকে ফোন করে জানিয়েছে . বাস ড্রাইভার উচ্চ পদস্থ যখন বাস ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করেছে যে আপনি বাচ্চাকে চেনেন তখন তিনি বলেছেন হ্যাঁ আমি তার মাকে চিনি তারা যেখানে থাকে ওই রোডে আমি গাড়ি চালাই এবং প্রতি শনিবার রবিবার তারা আমার বাসে উঠে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে. আর ওই সময় আমি বাসের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিলাম তখন বাস ড্রাইভার হাতে ইশারা করে আমাকে দেখিয়েছে ওই যে মহিলা দৌড়িয়ে যাচ্ছে সেই তার মা. এই জন্য তার উচ্চপদস্থ কিছু তদন্ত না করেই আমার ছেলেকে আমার কাছে নিয়ে এসেছে. ছেলেকে পেয়ে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখে তারা আমাকে আর কোন প্রশ্ন করে নাই কিভাবে হারিয়েছে কি হয়েছে কিছু জিজ্ঞেস করে নাই শুধু বলেছে সাবধানে থাকবেন. আর আমার বড় ভাই এই কাহিনী শুনে আমার ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছে. আনন্দ এবং বেদনা মিলিয়ে আমার এই কাহিনী. কিন্তু আমি এটা এখনো ভুলিনি এখনো এই কাহিনী মনে হলে আমার হৃদয় কাঁপে.
|
---|
এই ঘটনার পর থেকে প্রতিটা ড্রাইভারকে আমি আরো বেশি করে সম্মান করতাম.তাদের জন্য খুব দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের খুব ভালো রাখে এবং সর্বদা যেন তাদের সুস্থ রাখে . আমার এই স্মৃতি থেকে আমি যে শিক্ষাটা খুব ভালো করে পেয়েছি সেটা হলো সব সময় সবার সাথে সুন্দর আচরণ করা, কারণ ড্রাইভার আমাকে বলল যে প্রতিবারই যখন আপনি বাসে উঠেন আপনি খুব সম্মানের সহিত আমাদের সাথে কৌশল বিনিময় করেন , এজন্য আপনার বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে যতগুলো বাস চলে সবগুলো বাসের ড্রাইভার আপনাকে খুব ভালো করে চিনি.ড্রাইভারের মুখে এই কথা শুনে আমার খুব ভালো লেগেছে আমি নিজেও কখনো রিয়ালাইজ. কখনো বাসে সিট খালি না থাকলে কোন বৃদ্ধ লোক যদি বাসে উঠে বা কোন গর্ভবতী মহিলা যদি বাসে ওঠে আমি আমার সিট তাদের জন্য ছেড়ে দিতাম, আমার এই সদয় আচরণের কথা বাস ড্রাইভার সেদিন উল্লেখ্য করে তার ওয়াইফকে এবং আমার বড় ভাইকে বলল. এ কথা শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং আমার মায়ের শিখানো কথা মনে হল যে সর্বস্তরে আমাদের ধৈর্য ধরে ভালো কাজ করা উচিত, আর এই ভালো কাজের ফল কোন না কোন ভাবে পুরস্কার হিসেবে সৃষ্টি কর্তা উপহার হিসেবে দেন.
|
---|
এই পাট থেকে আমি যেটা সবচেয়ে বেশি অনুভব করেছি সেটা হলো, সর্বদা সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন আপনি যদি সবার সাথে সুন্দর আচরণ করেন, তাহলে অন্যেরাও আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করবে. আপনার চলার পথে তারা আপনাকে মনে রাখবে, আপনাকে বন্ধু হিসেবে সবাই গ্রহণ করবে.