Better Life with Steem|| The Diary Game||5 July 2024||

" হ্যালো স্টিমের বন্ধুরা "

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
‌

🥀সকাল বেলা🥀

আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে। তাই ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়েছে। কারণ বৃষ্টির মধ্যে ঘুম অনেকটা ভালো আসে আর খুব সুন্দর হয়। তো ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু নাস্তা করে বাড়ি থেকে বের হই। তো বৃষ্টি পড়তে ছিলো আমি একটা ছাতা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হই কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

তো কিছুদূর যেতেই আমি একটা গাড়ি পেয়ে যাই। তাই আর আমার বৃষ্টির মধ্যে বেশি দূর হেঁটে হেঁটে যাওয়া লাগে না। তো গাড়িটা পেয়ে আমি ভালোভাবে গাড়িতে উঠে যাই। গাড়িওয়ালা সাথে একদম কোচিং এর সামনে চলে যাই। সেখানে গিয়ে তাকে তার ভাড়া টাকা দিয়ে আমি কোচিং এর মধ্যে গিয়ে ঢুকি।

তো পরীক্ষার থাকে বন্ধ পেয়ে বড় ভাইরা ও বোনেরা তাড়াতাড়ি করে পড়তে চলে এসেছে এই বৃষ্টির মধ্যেও। আর আমরাও এত বৃষ্টি থাকাও কেউ বাড়িতে বসে থাকলাম না সবাই পড়তে চলে আসলাম। কারণ সামনের গণিত পরীক্ষা ওটা সবার কাছেই খুব কঠিন। তাই সবাই পড়তে চলে আসলাম। তো আমাদের সুন্দরভাবে পরালো ছাড়ে অনেক অংক বুঝিয়ে দিল আমরাও ভালোভাবে বুঝে নিলাম।

তারপর কোচিং থেকে বের হই বৃষ্টি পরতেছিল তাই আর কোথাও দাঁড়াই না। কোচিং ছুটি দেওয়ায় সাথে সাথে চলে যাই আমার এক বন্ধুর বাসায়। সেখানে আমার কিছু কাজ ছিল তাই সেখানে তাড়াতাড়ি করে চলে যাই। তো বেশ সেখানে অনেকক্ষণ তার সাথে বসে বসে সেই কাজ সম্পূর্ণ করি। তারপর সেখান থেকে চলে আসি আমি বাড়িতে যাওয়ার জন্য।

তো সেখান থেকে বের হয়ে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায়। সে বৃষ্টিতে ভিজতেছিল তো তাকে দেখে আমারও ভিজতে ইচ্ছা করলো। তাই আমিও দোকান থেকে একটা পলিথিন এনে ফোনটাকে পেচিয়ে ভিজতে শুরু করি তার সাথে। তার সাথে ভিজতে ভিজতে ব্রিজের উপরে চলে যাই সেখানে গিয়ে একটা পিক তুলে নেই। তো বেশ অনেকটা সময় সেখানে দুজনে বৃষ্টিতে ভিজি। তারপর আমি বাড়িতে চলে আসি।

🥀দুপুর বেলা বিকাল বেলা🥀

তো আজকে জুম্মার দিন ছিল। আমি বাড়িতে এসেই গোসল করতে চলে যাই। তখনো বৃষ্টি পরতেছিলো আমি গোসল করে ঘরে চলে আসি। ঘরে এসে সুন্দরভাবে পরিপাটি হয়ে মসজিদের চলে যাই। সেখানে গিয়ে ইমাম হুজুরের বয়ান শুনতে থাকি। তো অনেক ভালোভাবে ইমাম হুজুরের বক্তব্য শুনি।

তারপর সবার সাথে সালাত আদায় করি। সালাত শেষ করে মিলাদে বসে যাই। অনেকদিন পরে আমি মিলাদে বসেছি। ছোট বেলায় কত দিন এই মিলাদের জন্য বাড়ি থেকে তাড়াতাড়ি এসেছি তার কোন হিসাব নেই। এই মিলাদে বসার কারণ হচ্ছে সামান্য দুটো জিলাপি। এই জিলাপি খাওয়ার জন্য ছোটবেলায় কতই না তাড়াহুড়ো করে মসজিদে আসতাম। নামাজ শেষ করে মসজিদে সবাই মিলে গোল হয়ে বসে থাকতাম মসজিদের বারান্দায়। তো মিলাদ শেষ করে জিলাপি পেয়ে সবাই মিলে একটা পিক তুলে নিলাম। অনেকদিন পরে আমরা সবাই এভাবে মসজিদে মিলাদে অংশগ্রহণ করলাম। তাই মনে আলাদাই একটা আনন্দ লাগছিল।

তারপর জিলাপি গুলো সবাই খুব আনন্দ সহকারে খেলাম। খেয়ে যে যার বাড়িতে চলে আসলাম। তো বাড়িতে এসে আমি খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিছানায় শুয়ে পড়ি। অল্প কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পরেই। বাড়ি থেকে বের হই বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায় বাজারে দিকে। বাজারে যাওয়ার কারণ হলো আমার একটু টেইলারের দোকানে কাজ ছিল তার জন্য বাজারে যাওয়া। তো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সে কাজ শেষ হয়ে যায়।

সেখান থেকে চলে আসি কলেজের দিকে। কলেজে এসে দেখি সবাই ফুটবল খেলতেছিল। তাই আমি পাশে একটা স্থানে বসে বসে খেলা উপভোগ করতে থাকলাম। বেশ অনেক সময় এভাবে খেলা উপভোগ করি আর বসে বসে ফোন দেখি। তো সন্ধ্যা হয়ে আসতে ছিল তখন সেখান থেকে উঠে বাড়ির দিকে চলে আসি।

🥀সন্ধ্যা বেলা+রাত্র🥀

তো আমার বাড়িতে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। বাড়িতে এসে হাত পা ধুয়ে একটু বসি। তারপর আম্মুকে এক কাপ কফি বানিয়ে দিতে বলি। তো আমি পড়তে বসবো তাই আম্মু তাড়াতাড়ি করে আমাকে কফি বানিয়ে এনে দেয়। আমি সুন্দরভাবে কফি টাকে পান করে পড়ার টেবিলে চলে যাই।

তো টেবিলে এসে সুন্দর ভাবে পড়তে বসে যাই। আজকে একটু কেমন জানি ভয় ভয় লাগতেছিল পড়ার টেবিলে বসে। কারণ সামনে যে পরীক্ষাটা আছে সেটা আমার কাছে অনেক কঠিন। কঠিন হইতো না যদি সাড়ে ঠিকভাবে আমাদের গণিত পড়াতো। আমাদের গণিত কিছুই তেমন পরায় নাই। আর আমরাও তেমন কোন চেষ্টা করিনি তাই সবার কাছেই একটু কঠিন এই বিষয়টা। তাও বসে বসে অনেকটি অংকই করলাম। দেশ অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ করেই কারেন্ট চলে যায়। তাই আর টেবিলে বসে থাকতে ইচ্ছা হয় না। টেবিল থেকে উঠে ফোনটাকে হাতে নিয়ে সবার প্রথমেই নোটবুক খুলি করি। তো নোটবুক খুলে পোস্ট লিখতে বসে যাই

তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।