নমস্কার বন্ধুরা, আপনারা কেমন আছেন ? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমাদের উৎসবের পর উৎসব তো লেগেই আছে। উৎসবের আবহাওয়া আশা করি সবাই আরো ভালো আছেন ।আনন্দে আছেন ।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমার বাড়ির কার্তিক পূজা।
কার্তিক পূজার আগের দিন রাত্রে এক ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে একটি কার্তিকের ছোট্ট একটি মূর্তি ফেলে রেখে চলে যান। এর কারণ হচ্ছে যেন আমাদের বাড়িতে সেই মূর্তি টির পূজা দেওয়া হয়। খুব যত্ন সহকারে সেই মূর্তি টি তুলে এনে আমরা ঘরে রাখি এবং তারপরের দিন আমরা যথারীতি সেই মূর্তি টি অর্থাৎ কার্তিক ঠাকুরটিকে আমরা জাঁকজমক সহকারে পূজা আয়োজন করে থাকি। যথারীতি পুরোহিত মশাই ডেকে যথেষ্ট জাঁকজমক ভাবেই পূজাটি আয়োজিত হয় এবং আমাদের যারা প্রতিবেশী রয়েছে তারাও যাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
রাত্রি নটার সময় পূজা টি শুরু হয় এবং রাত্রি দশটার মধ্যে সম্পন্ন হয় ।প্রসাদের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রকমের মিষ্টি ,বিভিন্ন রকমের ফল ইত্যাদি ।শুধু বলাই চলে সেই সব মিলিয়ে দারুন আনন্দ উপভোগ করেছি আমরা। এই পূজাটিকে ঘিরে। শুধু পূজার ভোগ প্রসাদ আমরা নিজেরাই খেয়েছি এমন নয়। আমাদের প্রতিবেশীদেরও আমরা বিতরণ করেছি এবং বাইরের কাউকে কাউকে আমরা পাঠিয়েছি। বাড়িতে নিজেরাই সকলে মিলে জোগাড় করা এবং রান্না বান্না সমস্ত কিছুই করা হয়েছে। পূজাটি আরো অনেক আগেই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুরোহিত মশাই আস্তে একটু দেরি করেছিলেন ।আসলে পূজার দিন তারও বেশ কয়েকটি পূজা থাকে। তিনি পূজার শেষেও বলেন যে এই পূজাটি সম্পূর্ণ করে আমাদের বাড়ি থেকে উনি আর আরো অন্য কোন পূজা মন্ডপে গিয়ে পূজা করবে।
এই পূজাটি অনুষ্ঠিত করে এত আনন্দ পেয়েছি যে আগামী বছর করার একটা পরিকল্পনা আমরা করেছি এবং সেটি আরো বড়সড়ো করে সুন্দর করে জাঁকজমক করে করার ইচ্ছে সকলেরই রয়েছে। এবার দেখা যাক বাস্তবে সেটিকে রূপান্তরিত করা যায় কিনা। তবে বাড়িতে এরকম ছোটখাটো একটি পূজা আয়োজন করে কিন্তু ক্ষণিকের জন্য ভীষণ আনন্দ উপভোগ করা যায় ।এই বিষয়টি এই পূজাটি না করলে কিন্তু বোঝা যেত না। অবশ্য এই কার্তিক ঠাকুরের বাড়ির দালানে যিনি দিয়ে গেছেন তিনি যদি নাও দিয়ে যেতেন তাহলে হয়তো এই পূজাটি অনুষ্ঠিত হতো না এবং এই আয়োজন ও আনন্দ উপভোগ করা যেত না। তাই ওনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।এটি করার জন্য । দেবসেনা কার্তিক দেব হয়তো আমাদের অনেক অনেক আশীর্বাদ করেছেন। তার আশীর্বাদে আমরা ভীষণভাবে স্নেহধন্য হয়েছি।
তবে আপনাদের এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় না বললেই চলছে না। কারণ এই পোস্টটি লেখার সময় মৌসুমির থেকে জানতে পারলাম যে কার্তিক দেবতার এই মূর্তি টি আর কেউ নন স্বয়ং আমাদের বাড়ির সামনের বাড়ি কাকু অর্থাৎ ঈশার বাবা রেখে গেছেন। কাকুর নাকি ভীষণ ইচ্ছে ছিল ।আমাদের বাড়িতে একটা ছোটখাটো পূজার আয়োজন হোক এবং সেই পূজাকে কেন্দ্র করে আমরা সকলে মিলে ভীষণ আনন্দ উপভোগ করি । ঠাকুরের ভোগ সকলে একসাথে গ্রহণ করি অর্থাৎ সকলে মিলে একসাথে হওয়া এবং আনন্দ করা। এটাই তার উদ্দেশ্য ছিল ।তাই ঈশাদের পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিলেন আমাদের বাড়িতে। সবশেষে কাকু নিজেও এসেছিলেন। আমাদের বাড়িতে। তবে যখন জানতাম না যে কে এই কাজটি করেছে। ততক্ষণে মনে মনে ভীষণ একটি রাগ হচ্ছিল। সেই অজানা ব্যক্তির প্রতি। কবে এখন তো জেনে গেছি তো এখন মনে হচ্ছে যেন কাকা কাজটি করে খুব ভালোই করেছে। তাই এর জন্য কাকুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যাইহোক আমার পোস্টটি এখানেই শেষ করছি ।আপনারা সকলেই আনন্দে থাকবেন ।ভালো থাকবেন। অন্যদের ভালো রাখার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit