শান্ত প্রকৃতি!

in hive-120823 •  3 days ago 
IMG_20241120_165934_768.jpg

Hello Everyone,,,

আশা করি, সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি বরাবরই একটা কথা বলি যে, আমি প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফার না হলেও মাঝে মধ্যে টুকটাক ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আমার ফটোগ্রাফির কেন্দ্রবিন্দু হলো প্রকৃতি।

গ্রাম বাংলার প্রকৃতি কেন এত ভালো লাগে সেটার সঠিক উওর আমার কাছে নেই।

তবে হ্যা, ছোটবেলা থেকেই এই গ্রাম্য পরিবেশে প্রকৃতির ছত্রছায়ায় বড় হয়েছি বলেই হয়ত প্রকৃতির উপর একটা আত্মার টান জন্মেছে। তাছাড়া আমি মনে করি, প্রকৃতির সৌন্দর্য্যকে ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না।

IMG_20241120_165944_964.jpg
সবুজ ধানক্ষেত

আর সেই ভালোবাসা থেকেই প্রকৃতির বিভিন্ন মুহুর্ত বা বলতে পারেন প্রকৃতির সৌন্দর্য্যকে ক্যামেরাবন্দী করতে বেশ ভালো লাগে।

আমাদের চারপাশের গাছপালা, ফুল, শষ্য ক্ষেত, তরুলতায় ভরপুর এই সবুজশ্যামল প্রকৃতি। প্রকৃতির রূপের কোনো অন্ত নেই। সকালে প্রকৃতির রূপ এক রকম থাকে আর বিকালে একরকম থাকে এবং রাতে প্রকৃতির রূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যায়।

আমি প্রতিদিন বিকালে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে পড়ি। মাটির রাস্তা তো এখন চোখে পড়ে না তবে আমাদের বাড়ির পাশেই বিলের ধার দিয়ে মাটির রাস্তা রয়েছে আর প্রতিদিনই এই রাস্তায় সময় পার করি।

IMG_20241120_165941_173.jpg
অতি পরিচিত রাস্তা
IMG_20241120_165926_549.jpg
রাস্তার দু'ধারে সবুজ ধানক্ষেত

ফটোগ্রাফিতে প্রকৃতির রূপ হয়ত সম্পূর্ণ তুলে ধরা সম্ভব নয় তবে কিছুটা ধারন করা সম্ভব। রাস্তার দু'ধারে শুধুই সবুজের মেলা। তাল গাছ থেকে শুরু করে খেজুর গাছ সবই দেখা মেলে রাস্তার দু'ধারে।

বহু দুর পর্যন্ত সবুজের ধান ক্ষেত। যদিও আর বেশি দিন এই ধান মাঠে থাকবে না কারন কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষক তার ফসল কেটে ঘরে তুলবে। সকাল ও বিকালে পায়চারী করার জন্য একদম উপযুক্ত জায়গা এটা।

তবে এই রাস্তাটা বর্ষার মৌসুমে আমাদের জন্য চলা ফেলা করার অনুপযোগী হয়ে যায়। বর্ষার মৌসুমে এই রাস্তায় এত বেশি কাঁদা হয়ে যায় যে হাটা চলা করা যায় না। তবে আমি যখন প্রাইমারি তে পড়াশোনা করতাম তখন সব সময় এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতাম।

বৃষ্টির দিনেও এই রাস্তা দিয়ে কাঁদার মধ্যে দিয়ে স্কুলে যেতাম। কাঁদার ভিতর যে কত পড়ে গিয়েছি সেটার ঠিক নেই। তবে সকলে মিলে যেতে বেশ মজাই লাগতো!

IMG_20241120_165939_146.jpg
জাল দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা

মাছ ধরার তো অনেক পদ্ধতি রয়েছে। কেউ জাল ফেলে আবার কেউ বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরে। তবে উপরোক্ত ছবির মতো পদ্ধতি ব্যবহার করেও গ্রামের মানুষ মাছ ধরে।

খালে এভাবে জাল দেওয়া থাকে এবং সকাল ও বিকালে জালের মালিক এখান থেকে মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এই মাছ অনেকে বিক্রি করে আবার কেউ নিজের খাওয়ার যোগান দেয়। প্রকৃতিই আমাদের সকল কিছুর যোগান দিয়ে থাকে।

ছোটবেলায় বাবার সাথে এই খালে মাছ ধরতে আসতাম। তবে এখন আর আসা হয়। একসময় এইসব ছোট ছোট খালে অনেক মাছ পাওয়া যেত তবে সময়ের সাথে সাথে সেসব বিলীন হয়ে গেছে। এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না!

IMG_20241120_165933_382.jpg
IMG_20241120_165929_847.jpg

রাস্তায় একা একা হাঁটতে হাঁটতে কিছু সময়ের মধ্যে সূর্যের রশ্মির তেজ অনেকটা কমে এলো। কেউ যতই শক্তিমান হোক না কেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর তার শক্তিও মলিন হয়ে যায়।

সূর্য অস্ত নীত হওয়ার মাধ্যমে সন্ধ্যার আগমন ঘটে এবং রাত পার হলে আবারও সূর্যের প্রখরতা দেখা যায়। প্রকৃত শক্তিমানকে হয়ত বেশি সময় কেউ আড়াল করে রাখতে পারে না। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন।

সমাপ্ত
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।