Hello Everyone,,,
বিগত বছর আমাদের গ্রামে অনেক দিন পর মহা নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। করোনার সময় থেকে যজ্ঞ বন্দ হয়ে গিয়েছিলো এবং অনেক দিন পর বিগত বছর সকলের চেষ্টায় আবারও অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
আসলে একবার বন্দ হয়ে গেলে সেটা আবারও শুরু করা কিছুটা ঝামেলার হয়ে যায়। তবে এবছর এখনও আমাদের বাড়ির পাশে নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় নি। তবে গ্রামের সকলের মধ্যে কথা হচ্ছে বা মিটিং করা হচ্ছে নাম যজ্ঞের ব্যাপারে। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি নাম যজ্ঞের তারিখ ঠিক করা হবে।
![]() |
---|
আজ শনিবার। আমাদের গ্রামে অনেক জায়গাতেই নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। আজ গ্রামের অন্য একটা জায়গায় নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাড়ির থেকে খুব বেশি দুরে নয়। বাড়ি থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে।
এবছর গ্রামের আশেপাশে কোথাও নাম যজ্ঞ হয় নি, এটাই প্রথম। তাই ভাবলাম একটু নাম যজ্ঞ শুনতে যাবো। বাড়ির পাশের সকল বন্ধু বান্ধব সন্ধ্যার সাথে সাথেই রওনা হলো। তবে আমি অনেকটা দেরি করে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
গ্রামের যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় সকলের উদ্যোগে, কারোর একার পক্ষে এত বড় আয়োজন করা সম্ভব হয় না আর হলেও খুব কষ্ট হয়ে যায়। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহোযোগিতা করে কাজ করলে তবেই যেকোনো অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
কারোর দায়িত্ব থাকে হিসাব রাখার আবার দায়িত্ব থাকে আনন্দবাজারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা। সমাজে যে একা বাঁচা সম্ভব নয়, সকলে নিয়েই বাঁচতে হবে এটা এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই অনুভব করা সম্ভব হয়।
![]() |
---|
আমাদের গ্রামে যেসব জায়গায় নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় সেগুলো ৮ম প্রহর ও ১৬ প্রহর ব্যাপি হয়ে থাকে। আজ যেখানে নাম যজ্ঞ হচ্ছে সেটা ৮ম প্রহর ব্যাপি অনুষ্ঠিত হবে অর্থাৎ ১ দিন, ১ রাত।
যেহেতু আশেপাশের কোথাও এখনও নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় নি তাই অনেক লোকের সমাগম হয়েছিলো এখানে। আমিও গিয়ে প্রথমে নাম যজ্ঞের এখানে চলে গিয়েছিলাম এবং মহা নাম শুনলাম। মন যতই খারাপ থাকুক না কেন কৃষ্ণ নাম শুনলে মন ভালো হয়ে যায়। মন থেকে সকল দুশ্চিন্তা দুর করে যায়।
ঘন্টা খানেক পর আকাশে মেঘ করে আসলো এবং ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করলো। তাড়াতাড়ি প্রসাদ নিয়ে বাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রসাদ হিসাবে খিচুড়ি দেওয়া হয় যেটা আমার অনেক বেশি প্রিয়। সবাই মিলে প্রসাদ নিলাম। বাড়িতে আসার আগে বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য কয়েক পদের খাবার নিলাম তারপর বাড়িতে চলে আসলাম। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুক এই আশা রাখি!
যেকোনো অনুষ্ঠান যখন একবার বন্ধ হয়ে যায় সে অনুষ্ঠান আবারও নতুন করে তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগে আপনাদের ওখানে যজ্ঞের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে যেটা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেকেই অনেক দায়িত্ব পালন করছে আবার যোগের শেষে আপনারা খিচুড়ির আয়োজন করেছেন। আপনাদের এই অনুষ্ঠানগুলো আসলে আমার এত বেশি জানা নেই তারপরে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে যতটুকু বুঝতে পারলাম এটা আপনাদের জন্য খুবই স্পেশাল ধন্যবাদ আপনাদের ঠাকুরের স্মরণে এই অনুষ্ঠান আমাদের সাথে খুব ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit