কল্পনা!

in hive-120823 •  18 days ago 

মানুষের ইচ্ছার কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। এই মহাকাশ যেমন সীমাহীন তেমনি মানুষের কল্পনা জগৎ মহাকাশে ভাসমান একটা ধুলি কনা মাত্র ।

লাইফজ্যাকেট পরলে হয়ত সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব তবে কল্পনার জগতে ডুবে গেলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেও ইচ্ছে করে না!

কেন এমনটা হয় বলুন তো?

আসলে বাস্তব জীবনের হাজারো ঝনঝাটের বাইরেও যে একটা সুন্দর জীবন রয়েছে সেটা বোঝার জন্য অবশ্যই কল্পনায় নিমজ্জিত হতে হবে।

বাস্তব জীবনে না পাওয়ার গল্প থাকে, অপূর্ণ স্বপ্নগুলো থাকে সর্বোপরি বাস্তব জগতে সব কিছু হয়ত আমাদের মন মতো হয় না তবে পক্ষান্তরে কল্পনার জগতে হয় স্বর্গের মতো সুখের স্থান । সেখানে আমাদের ইচ্ছের বাইরে কিছু ঘটে না।

কল্পনার জগতে আমরা পাখি হয়ে ডানা মেলে মুক্ত আকাশে উড়তে পারি। এমন কিছু নেই যেটা কল্পনায় সম্ভব হয় না। এখানে কেউ আপনার কাজে বাঁধা দেবে না, কেউ পিছে সমালোচনা করবে না। কল্পনা জগৎ টা শুধু আপনার, এখানে আপনি নিজেই রাজা নিজের রাজ্যে।

অনেকে ভাবতে পারেন, জীবনটা তো আর কল্পনায় চলে না। এটা ঠিক জীবন কখনও কল্পনা শক্তির গতিতে চলে না। তবে কল্পনা করতে পারাটাও আমাদের জীবনের একটা অংশ।

কল্পনা করা মানে স্বপ্ন দেখা। কল্পনা করা মানে মনের মধ্যে নিজের ভালো লাগা ও ইচ্ছাগুলোর রূপ দেওয়া। আমিও যে জীবনে কিছু করার স্বপ্ন দেখি বা নিজের মনের মধ্যে কিছু ইচ্ছেকে লালন করি সেটাই ভেসে ওঠে আমাদের কল্পনায়!

কল্পনায় আপনি আপনার পছন্দের স্থানে ঘুরতে যেতে পারবেন, যেটা মন চায় সেটাই করতে পারবেন কারন? কারন সেই জগৎ টা একান্তই আপনার।

আমি জানি না, আপনারা কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে ভালোবাসেন কিনা তবে কিছু কিছু সময় আমার কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। তখন ক্ষণিকের জন্য মনে হয় হয়ত জীবনের সকল চাওয়া পূরণ হয়ে গেছে, পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ মনে হয়।

তবে কল্পনার ঘোর থেকে বেরিয়ে আসতেই যখন বুঝতে পারি, এতক্ষণ যেটা দেখলাম সেটার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়।

মাঝে মাঝে ভাবি আকাশে তারার সংখ্যা কতো? আদৌও কি গণনা করা সম্ভব? হয়ত না! আচ্ছা, তারা গুলো স্থিরভাবে জ্বলে না থেকে মিটমিট করে কেন জ্বলে? যদি সম্ভব হতো ওদের কাছে গিয়ে শুনে আসতাম!

বর্তমানে দাঁড়িয়ে আমরা সকলে আমাদের ছোটবেলাকে খুব মিস করি তবে সেই দিনগুলো কখনও আর ফিরে পাবার নয়। বর্তমানে শুধুমাত্র কল্পনার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাল্যকালের মুহুর্তগুলো ফিরে পেতে পারি।

এখনও অনুভব করি, দিনের বেলায় দাদু আমাকে বিভিন্ন রকম ঘুড়ি আর খেলার সামগ্রী তৈরি করে দিচ্ছে আর রাতের বেলায় ঠাকুমার কাছ থেকে অবাস্তব সব রাজার যুদ্ধ করার গল্প শুনে সেই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার আনন্দ পাচ্ছি!

সত্যি বলতে মাঝে মাঝে আমি নিজে সেই দিনগুলো কল্পনায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করি তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এসব ভাবলে নিজের ই হাসি পায় কারন কতই না বাস্তব বিমুখ ছিলো সেই গল্প আর সেই চিন্তাগুলো। সেই দিনগুলো ফিরে পাবো না জেনেও ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখাটাই কল্পনা!

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার এই আর্টিকেলটি আমি যখন কাজ করছিলাম তখন কিছুটা পড়ছিলাম সম্পূর্ণ টা শেষ করতে পারি নাই। আমিও আজকে এমনটাই লিখেছি আমরা ছোটবেলায় যে দিনগুলো ফেলে এসেছি সেগুলো আর ফিরে পাবো না সেগুলো এখন আমাদের শুধু স্মৃতি।

ফেসবুক ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা হয়তো কেউ কল্পনা করার সময় পায়না কেননা আমরা এসব গুলোই নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকি চিন্তা করা এবং কল্পনা করার সময় আমাদের নাই। একটা সময় ছিল যখন রাতে আমরা ঘুমাতে যেতাম তখন বিভিন্ন গল্পের শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে পড়তাম আর এখন মোবাইল দেখতে দেখতে ঘুমাই।

দাদা আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন এই দোয়াই করি।

কল্পনা করাও একটা শক্তি আর এই শক্তি সবার থাকে না। ছোটবেলায় ফেলে আসা আমাদের মধুর স্মৃতিগুলো আর কখনও ফিরে পাবো না। প্রযুক্তির যুগে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এত সময় ব্যয় করি যে কল্পনা করার সময় পাই না, তবে আমি কিন্তু মাঝে মাঝে আজগুবি বিষয় নিয়ে কল্পনা করতে ভালোবাসি।

কল্পনার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু ভেবে থাকি এবং ভাবতে পারি যেগুলো হয়তোবা বাস্তব জীবনের সম্ভব হয় না সেই কাজ গুলো আমরা কল্পনার মাধ্যমে করতে পারি।

এটি একদম ঠিক কথা শৈশব জীবন হয়তো বা কখনো ফিরে পাবো না কিন্তু কল্পনার মাধ্যমে সেই ছোট্টবেলার দিন গুলো অনুভব করতে পারি যেগুলো অনুভব করে আমরা আনন্দিত অনুভব করে যাই হোক অনেক সুন্দর ভাবে একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমরা যে কাজগুলো বাস্তব জীবনে করতে পারি না সেগুলো কল্পনার জগতে ঠিকই করতে পারি। কল্পনা করে আমরা নিজের রাজ্যে রাজা হতে পারি। এমনকি শৈশবের মধুর স্মৃতিগুলোও ফিরে পেতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।