Better Life With Steem || The Diary game || 23th January 2025

in hive-120823 •  6 days ago 
IMG_20250123_094303.jpg
কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল

বিগত দিন আমি মাসির বাড়ি এসেছিলাম এটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। বাড়িতে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলেও আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। কেন জানি বেড়াতে গেলে আমার ঠিক মতো ঘুম হয় না। বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও আমি ঠিক মতো ঘুমাতেই পারি না। এই বাজে অভ্যাসটা আমার ছোটবেলার!

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শীতের সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ হলো তবে সেই সাথে বেশ শীত পড়ছিলো আজ। বাড়িতে থাকলে সচারাচর শীতের এমন পরিবেশ দেখা হয় না।

IMG_20250123_104123.jpg

IMG_20250123_104208.jpg

রাতে আমার দিদির মেয়ের জ্বর এসেছিলো। এসময় শীতের কারনে সব থেকে বেশি সমস্যা হয় বাচ্চাদের। বড়রা হয়ত আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারে তবে বাচ্চারা বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অন্য সময় আমার কোলে আসতে না চাইলেও এবার ঠিকই আমার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। সারা রাত দিদিকে ঘুমাতে দেয় নি কারন বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কতটা বায়না করে সেটা তো আপনারা সকলে জানেন। ছোট্ট বাচ্চারা আসলে শীতের পোশাক পরতে চায় না, জোর করে পরানো যায় না আর তাই ঠান্ডা লেগে যায়। তবে রাতে জ্বর হওয়ায় সকালে একদম লক্ষী মেয়ের মতো শীতের সকল পোশাক পরে নিয়েছে দেখে ভালো লাগছে।

সকালে আমি ওকে কোলে নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছি তখন আমাকে বলছে-

মামা, রাতে শিয়াল ডাকছিলো তাই ভয় পেয়েছিলাম এজন্য আমার জ্বর আইছিলো। এসব উদ্ভট কথা কি করে ওদের মাথায় আসে জানি না। দুজন মিলে খানিকক্ষণ বকবক করলাম। গায়ে এখনও হালকা জ্বর আছে তাই একটু পরে ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যার যাই হোক, বাচ্চাদের অসুস্থ নিয়ে খামখেয়ালি হলে চলবে না।

IMG_20250123_115604.jpg

IMG_20250123_115900.jpg

সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে দিদি, দাদাবাবু আর আমি চালনায় আসলাম ডাক্তার দেখাতে। বাড়ি থেকে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে চালনাতে আসতে। তবে ডাক্তারের কাছে এসে বেশ খানিকটা দেরি হলো কারন আরও কয়েকজন তাদের বাচ্চাদের দেখাতে এসেছিলো।

যাই হোক, ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে চালনা বাজারে কিছু কেনাকাটা সেরে নিলাম। এদিকে মামার কাছে তো সকলেই আবদার করে, মামা এটা লাগবে, ওটা লাগবে তাই যা যা চাইলো সব কিনে দিলাম।

তারপর গাড়িতে উঠে মাসির বাড়িতে চলে আসলাম। আজ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করেই আবার বাড়ি চলে যাবো। তবে বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবলে কিছুটা খারাপও লাগছিলো কারন এখানে সকলের সাথে বেশ ভালো সময় কাটছিলো। তবে সমস্যা একটাই মোবাইলে নেটওয়ার্কই পাচ্ছে না।

কোনো প্রয়োজন হলে বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে তাই কাজ করতে হচ্ছে যেটা বেশ বিরক্তিকর। রান্না শেষ হলে খেতে খেতে প্রায় বিকাল হয়ে গেলো। তারপর প্রস্তুত হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

অনেকেই আছে কারো বাসায় ঘুরতে গেলে রাতে ঘুমাতে একটু সমস্যা হয় বা ঘুম আসে না কিন্তু এরকম সমস্যা আমার নেই।।

বর্তমান সময়ে হঠাৎ ঠান্ডা পড়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত।। পোষ্টে দেখতে পেলাম সবাই মিলে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন আবার সেখান থেকে বাসায় আসেন।। সব মিলিয়ে সুন্দরভাবে দিনটি অতিবাহিত করেছেন।।।

এটা সত্যিই বলেছেন, নিজের বাড়ি ছাড়া অন্যের বাড়িতে সঠিকভাবে ঘুম আসে না। এই সমস্যাটি আমারও হয়ে থাকে, আপনার ভাগ্নিটি অনেক কিউট 💕 আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম ভাগ্নির জ্বর হয়েছে। যা পড়ে অনেক খারাপ লাগলো, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এই সমস্যাগুলো ছোট বাচ্চাদের হয়ে থাকে বেশিরভাগ সময়। ভাগ্নির জন্য দোয়া রইল, আজকে এত সুন্দর বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন! এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

আপনার সকালটা অনেক সুন্দর ছিলো, বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশটা খুবই মনোরম। বাচ্চাদের অসুস্থতা সত্যিই চিন্তার বিষয়, কিন্তু আপনার যত্ন আর ভালোবাসা তাদের দ্রুত সুস্থ করে তুলবে। মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা সত্যিই বিরক্তিকর, তবে আশাকরি দ্রুত এই সমস্যা দূর হবে। ভালো থাকবেন।