মোবাইল আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। আলো বাতাস ছাড়া যেমন আমরা বাঁচতে পারি না তেমনই মোবাইল ছাড়া যেন এক মুহুর্ত চলতে পারি না। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিদিন যেমন তিনবার ভাত খেতে হয় তেমন মোবাইলের ব্যবহারও তেমনই হয়ে গেছে।
Source |
---|
আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছেন, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে কত ঘন্টা আমরা মোবাইল ব্যবহার করি?
ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মোবাইলের নোটিফিকেশন চেক করা যেন অভ্যাস হয়ে গেছে। তারপর থেকেই যেন শুরু হয় মোবাইল ব্যবহারের একটা কার্যদিবস।
এমন তো অনেকেই রয়েছে যারা ওয়াশরুমেও মোবাইল নিয়ে যায়, ভাববেন না যে আমিও সেই দলে। তবে আমি দেখেছি অনেককেই নিয়ে যেতে!
মোবাইলে ভিডিও চালিয়ে দিয়ে ভাত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে নাকি আপনার?
Source |
---|
আমার কিন্তু গোপাল ভাড় দেখতে দেখতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে এজন্য অবশ্য বাবার কাছে বকা শুনতে হয়। আমার মতো কে কে আছেন যে খাওয়ার সময় গোপাল ভাড় দেখেন?
আমরা কত ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করি? হয়ত এই সংখ্যাটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হবে। তাছাড়া একেকজন একেক উদ্দেশ্যে মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।
কেউ হয়ত সারাদিন ফেসবুক, ইউটিউবে ফানি ভিডিও দেখে দিন পার করে দেয়। তারা ভিডিও দেখেই নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে। বিপরীতে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য মোবাইল ব্যবহার করে।
প্রদীপের নিচেও যেমন অন্ধকার থাকে তেমনই সব কিছুরই ভালো ও মন্দ দুটো দিক রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার হলো মোবাইল। তবে আমার অধিকাংশ মানুষই সব কিছুর খারাপ দিকটেই বেশি আকর্ষিত হয়ে থাকি।
মোবাইলের মাধ্যমে লেখাপড়া যেমন করা যায় তেমনই সারাদিন গেমিং করেও সময় নষ্ট করা যায়। আসলে একটা জিনিসকে যে যেভাবে ব্যবহার করবে তেমনই ফল পাবে। ভালো কাজের জন্য ভালো ফল আর মন্দ কাজের পরিণামও তেমন হবে!
Source |
---|
যেকোনো জিনিসের ভালো দিকগুলো আমাদের নিতে শিখতে হবে এবং বাজে দিকগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। সব কিছু যখন একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বাইরে চলে যায় তখন সেটার প্রতিক্রিয়া আমাদেরই উপর পড়ে।
দিনের বেশিরভাগ সময় যদি কেউ একটা গেমিং বা ভিডিও দেখে তাহলে সেটা তার চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে। বিনোদনের জন্য ভিডিও দেখা ভালো তবে সেটারও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হওয়া উচিত।
আমি যদি আমার ব্যক্তিগত কথা বলি তাহলে বলবো, সারাদিনে ভিডিও দেখে সময় নষ্ট খুব কমই করি। এমনও দিন কেটে যায় যেদিন ইউটিউব চালু করাই হয় না। আর যদি বলি টিকটকের কথা? তাহলে বলবো, আমার ফোনে টিকটক কখনও ডাউনলোড করিনি।
তবে হ্যা, একসময় বাজে কাজে ফোনের পিছনে সময় দিয়েছি। একটা সময় অর্থাৎ করোনা কালীন সময়ে গেমিং এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। সারাদিন গেম খেলতাম তবে নিজের চেষ্টায় সেই গেমিং এর নেশা থেকে বেরিয়ে এসেছি অনেক আগেই।
মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। অনেকেই তো আছে রাস্তার মধ্য হাটার সময় মোবাইল দেখতে দেখতে চলে যায় অনেক সময় দুর্ঘটনা ও ঘটে যায়। আমিও অনেক মানুষকে দেখেছি মোবাইল চালাতে চালাতে ওয়াশরুমে যেতে। যাই হোক ভাত খাওয়ার সময় আমি আগে ভিডিও দেখতাম এখন আর দেখি না। মোবাইল আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হয়ে উঠেছে। মোবাইল ছাড়া এখন একটি মানুষ বাঁচতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। যাই হোক মোবাইল ও মানুষের সাথে সংযোগ কেমন সেই বিষয়ে কিছু লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মোবাইল ব্যবহার দিন দিন ব্যধিতে রূপান্তর হয়েছে। মোবাইলের ভালো ও মন্দ দুটো দিকই রয়েছে। তবে অধিকাংশ মানুষই যেকোনো জিনিসের নেগেটিভ দিককে বেশি আকর্ষণ করেন। মোবাইল ব্যবহার করে বা কানে হেডফোন দিয়ে গান গান শুনতে শুনতে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit