আজ সকাল থেকে তেমন কিছু আলাদা হয়নি।প্রতিদিন এর মতনই।তবে দুপুরের দিকে সঞ্জয় বিষ্ণু দা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানালো রাতে নিউরোলজির ক্লাস নেবে।যাবো কি যাবো না সেটা নিয়ে ভাবতে বসলাম।কারণ,নিউরোলজি ভীষন কঠিন একটা বিষয়,অনেকবার পড়েও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।এদিকে অন্য একটা chapter বর্তমানে পড়ছি।তাই যাবো কি যাব না সেটা নিয়ে ভাবতে বসলাম।নিউরোলজি আমাদের মস্তিষ্ক বিষয়ক পড়াশোনা।মস্তিষ্ক নিয়ে পড়া, মস্তিষ্কেই ঢোকে না।বড়ই জটিল সমীকরন।
এসব ভাবছিলাম তখনই গ্রুপে সৌমেন মেসেজ করল,ওর বার্থডে এর পার্টি আজ সন্ধে বেলা দেবে। কোথায় খাওয়াবে,কি খাওয়াবে কিছুই জিজ্ঞেস করলাম না।এমনিতেও আমাদের বার্থডে পার্টি গুলো আমরা ভালো রেস্টুরেন্টেই দিয়ে থাকি।২-৩ জন মিলে একসাথে পার্টি দিই,ফলে খরচটা যারা পার্টি দেয়, নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিই।
তো আজ কারা পার্টি দেবে জানি না।কথায় দেবে তাও জানি না।এটা সেটা করতে করতে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম।সন্ধ্যে ৬ টা বাজতে ১০ মিনিটের দিকে সৌমেন আবারো সকলকে মেসেজ করে জানিয়ে দিল,৬ টায় বেরোনোর কথা।
এমনিতে আমি ভুলেই গেছিলাম,পার্টির কথা।তবে আমাদের রেডি হতে কতক্ষণই বা লাগে।মেসেজ দেখে,ট্রাউজারটা শুধু পায়ে গলিয়ে নিলাম।ব্যাস!রেডি।
ইন্টার্ন বিল্ডিংয়ে আমি,হাসান ও আলি থাকি।আমাদের বন্ধুরা এখনো বয়েজ হোস্টেলে থাকে।তো নিচে আমরা তিনজন নামতেই দেখলাম,ওদিক থেকেও দল ভারী হয়ে গেছে।অর্থাৎ ওই বিল্ডিং থেকেও সকলে নেমে পড়েছে,শুধু আমাদেরই অপেক্ষা চলছিল।
আমরা ১৩ জন বন্ধু তো ছিলামই সঙ্গে ছিল এক জুনিয়রও।ওর নাম আমি আগের ধাবা যাওয়ার ব্লগে লিখেছি।তো,আমাদের সঙ্গে সেও চলল।কলেজ গেট থেকে বেরিয়ে ডান দিক ধরে হাঁটলে,৫ মিনিটও লাগেনা গন্তব্যে পৌঁছাতে।ও,হ্যাঁ। কোথায় যাচ্ছি বলা হয়নি,না?
আমাদের গন্তব্য ধোসা এর দোকানে যাওয়া।যেখানে যাওয়ার ব্লগও আগে লিখে ফেলেছি।কিই বা করা যাবে,আমাদের নিত্তনৈত্তিক জীবনে অনেক জিনিষই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসে,তাই লেখাতেও এগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসছে।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে,গল্প করতে করতে ধোসা এর দোকানে পৌঁছে গেলাম।তবে সকলেই এখনো পৌঁছায়নি।মলয় এবং প্রদ্যুৎ এখনো এসে পৌঁছায়নি।আগেও বলেছি, মলয়কে যদি বলা হয়, কাল পৃথিবী ধ্বংস হবে,তোমরা তাড়াতাড়ি চলে এসো।মলয় সেখানেও ১০ মিনিট লেট করে পৌঁছাবে।এটাই মলয়ের ট্রেডমার্ক।
আমরা যে কজন পৌঁছে গেছি,গিয়ে টেবিলে বসলাম।কি জানি কি হল দেখলাম ওয়েটার এসে আমার টেবিলে একটা ধোসা এর প্লেট রেখে দিল।অবাক হলাম একটাই কারণে,এখানে ধোসা অর্ডার দিলে অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়,অথচ আমি গিয়ে বসতে না বসতেই টেবিলে ধোসা চলে এলো।
পরে শুনলাম,বেচারা ওয়েটার অন্য কাস্টমারকে দিতে গিয়ে ভুল করে আমাকে দিয়ে চলে গেছে।আমিও আর অপেক্ষা করিনি। ক্ষিদে পাচ্ছিল,খেতে শুরু করে দিয়েছি।আমার ধোসা যখন শেষ হল,তখন বাকিদের ধোসা টেবিলে সার্ভ করা হচ্ছে।
কিছু সময় পর মলয় প্রদ্যুৎ ও এসে পড়ল।সবার ধোসা খাওয়া হলে,বিল সৌমেন মেটালো,কারণ পার্টি ওর পক্ষ থেকেই ছিল।এর পর গুটি গুটি পায়ে আমরা আবার ফিরতে শুরু করলাম হোস্টেলের দিকে।এদিকে রাতে ৮ টা থেকে আবার ক্লাসও আছে।তাই দেরি না করে সবাই নিজের নিজের রুমে ফিরে এলাম।
আসলে আপনাদের বন্ধুদের এই আয়োজন দেখে অনেকটা হিংসে হয়।
যদি আমরা এমন ভাবে কোন আয়োজনের অংশগ্রহণ করতে পারি না, কিন্তু তারপরও সর্বদাই চেষ্টা করে ভালো কিছু করার।
খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো, অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দিদি,এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধুদের সাথে খাওয়াদাওয়া আর ইনজয় করার ফিলিংসটা সত্যিই দারুন। গল্পগুজব আড্ডাবাজি এসবে মিলে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন সুন্দর। তবে খাবারের পোস্ট দেখলে আমারও খিদে পেয়ে যায়, এতে কিছু করার নাই🤣। যাইহোক বেশ মজার সময় কাটিয়েছেন মনে হলো। ভালো থাকবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit