আজকের এই লেখাটা আপনারা কাল পড়বেন।কারণ আজ অলরেডি একটা লেখা আমি incredible india তে দিয়েছি।তাই লেখা টা আজ লিখলেও পোস্ট করব আগামী কাল।
হাই,
আজ আমার কলেজ জীবন শেষ হল।আমাদের লাস্ট সেমিস্টারের শেষ পরীক্ষা ছিল আজ।সকাল থেকে যা কিছু হয়েছে সমস্ত কথা একটা লেখায় দেওয়া সম্ভব না।তাই আজকের লেখা টা দু ভাগে ভাগ করে লিখবো।অর্থাৎ আজকের দিনের পর্বটি দুদিন ধরে পড়বেন আপনারা।
এরকম ভাবে দুটো ভাগে ভাগ করার কারণ একটু পর গিয়ে আপনারা বুঝতে পারবেন।সকাল থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া অব্দি একটা ফেজ এবং পরীক্ষার পর আমাদের সকল ক্লাসমেট মিলে ছবি তোলা,টি শার্টে নানান কথা লেখা দুটো সম্পূর্ন ভিন্ন ঘটনা।
তাই শুরুতে শুধু পরীক্ষার পার্ট টুকু বলি।সকাল বেলা দুটো অ্যালার্ম দিয়েছিলাম,সকাল ৮ টা ও সকাল সাড়ে ৮ টায়।অনেক ক্ষণ বিছানায় এদিক ওদিক করার পর ৯ টায় ঘুম থেকে উঠলাম।ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম দিদির চায়ের দোকান।সকাল সকাল চা খেয়ে মাথাটা পরিষ্কার করে নিলাম।
এর পর সোজা হসপিটাল বিল্ডিং।আমাদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা হসপিটাল ওয়ার্ডে হয়।আসল পেসেন্ট এর রোগ নির্ধারণ করতে হয় আমাদের।আমাদের ৩ জনের গ্রুপে আমি ইয়াস ও মেহেদী পড়েছিলাম।আমাদের পেসেন্ট ছিল এক দাদু।তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মাদক সেবন করে করে নিজের লিভারের ১২ টা বাজিয়েছেন।
যে কারণে অ্যাসাইটিস নামক পেটে জল জমার মতন একটা অসুখ বাঁধিয়ে বসে আছেন।
দাদুকে আমরা তিনজন এত প্রশ্ন করতে থাকলাম যে তিনি বারবার বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন।
পেশেন্টের উপর নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলামই এমন সময় আমাদের এক সিনিয়র ইন্টার্ন দাদা এলেন।পেশেন্টের উপর প্যারাসিন্টেসিস করবে,অর্থাৎ পেট থেকে জল বের করবে।
দাদা জল বের করতে শুরু করলেন।আমরা ৩ জন খুশিও হলাম।যে এবার স্যার আসলে পেশেন্টের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেবেন না।কিন্তু দুঃখের বিষয় স্যার এলেন,বললেন জল বের হচ্ছে তো কি হল,বলে এটা সেটা পরীক্ষা করতে দিলেন।সে সব প্রসিডিওর পেশেন্টের উপরই দেখাতে হল আমাদের।
এর পর আমাদের ইনস্ট্রুমেন্ট টেবল হবে।অর্থাৎ বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্র,ঔষুধ,ইসিজি,এক্সরে এই সব দেখতে হবে,তাদের কাজ বলতে হবে।এবং এগুলো কখন ব্যাবহার করতে হয়।এই সম্বন্ধিত নানান প্রশ্ন।
তার পরই শেষ হবে আমাদের সব পরীক্ষা।
অনেক ক্ষণ অপেক্ষার পর আমাদের পালা এলো।আগের গ্রুপের টেবল হয়ে গেছে।এবার আমরা ঢুকলাম।স্যার অসম্ভব ভালো ছিলেন।আমাদের বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ফাইনালে কি ভাবে প্রশ্ন হবে।আমাদের কি ভাবে পড়তে হবে।এখনো কোথায় কোথায় ঘাটতি হচ্ছে।এই সমস্ত।
যথারীতি আমাদের টেবল ও শেষ হয়ে গেল।
এবার যেনো নিজেকে মুক্ত পাখি মনে হতে লাগল।অনেক দিন পর যেনো স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।হসপিটাল বিল্ডিং থেকে দিদির দোকান।চা খেয়ে ক্যান্টিন গেলাম।সেখানে খেয়ে নিজের রুম।
এর পর কি ভাবে আমাদের টি শার্ট সেরেমোনী শুরু হল তা নিয়ে বাকিটা কাল লিখব।
ধন্যবাদ বাকিটা পরের পর্বে।
great
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব ভালো লাগলো পোস্টটি। জীবনের একটা ধাপ পার করলেন আপনি সেজন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকে। আশা করছি পরবর্তী ধাপগুলোও এভাবেই পূরন করে এগিয়ে যাবেন সোনালি ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে।
আর অপেক্ষায় রইলাম আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য।আশা করছি খুব শীঘ্রই পরতে পারবো পরবর্তী পর্বটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit