প্রদ্যুৎ এর জন্মদিন

_{আমি মার খাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত}

প্রদ্যুৎ এবং মলয় দুজন রুমমেট।কয়েকদিন আগে মলয়ের জন্মদিন পালন করার পর গত 4 দিন আগে প্রদ্যুৎ এর ও জন্মদিন ছিল।সেই উপলক্ষে আমরা সকলেই প্রতিবারের মতন কলেজের নিচে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে উপস্থিত হলাম।

সেখানে সবাই আসার পর আমরা কেক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।কিন্তু কারোর মধ্যেই তেমন উত্তেজনা নায়।সামনে পরীক্ষা অথচ দুদিন পরপর এরকম ভাবে জন্মদিন পালন করলে সবাই চাপে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

_{গ্রুপ ফটো}

প্রথমেই কেক কাটার পর্ব শেষ হল।সেই একই পদ্ধতিতে আমরা আবারো কেক ভাগ করছিলাম।অর্থাৎ প্রদ্যুৎ উল্টো দিকে মুখ করে বসে থাকবে এবং একজন কেকের নির্দিষ্ট একটা ভাগের উপর আঙ্গুল দিয়ে রাখবে।প্রদ্যুৎ যার নাম বলবে সেই উক্ত কেকের ভাগটা সেই নামের মালিকের ভাগে পড়বে।

এরকম কয়েকজনের ভাগ দেওয়া হচ্ছিল তখন অসীম মাঝ খান থেকে অন্য একটা বড় ভাগ নেবে বলে জেদ ধরে বসল।কারণ সে নাকি প্রতিবার ছোট ভাগটাই পায়।আমরা নাকি ইচ্ছে করে চালাকি করে সব আমি তাকে ছোট ভাগ দিই।

এভাবে সে একটা নির্দিষ্ট ভাগ নেওয়ার জন্য টানা টানি করছিল।কিন্তু সে সময় আমরা তাকে কেক এ হাত দিতে দিচ্ছিলাম না। জোর করে তাকে আটকে রেখে ছিলাম।কিছু মুহূর্তে সে যেই ভাগ টা চেয়েছিল সেটাও অন্য জনের নামে পড়ে গেল,এবং যার ভাগে পড়েছিল সে সেটা দ্রুত নিজের মুখের মধ্যে চালান করে দিল।এতে ক্ষুব্ধ অসীম কেক খাবে না বলে দূরে গিয়ে দাড়িয়ে গেল।

এর পরও আমরা তাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করছিলাম।এসব হতে হতেই আবারো কে একটা পেছনে লাথি মারার খেলা শুরু করে দিল।প্রথমে আমাদের কারোর তেমন এনার্জিই ছিল না কেক কাটতে আসার,অথচ এখন সবাই আবারো নতুন উদ্যমে পরস্পরের পেছনে লেগে পড়ল।

_{যে মুহূর্তে ছবি তোলার জন্য বসেছিলাম}

কিছুক্ষণ এসব চলার পর আমরা বললাম ভাই আর ভালো লাগছে না তাড়াতাড়ি কি খাওয়াবি খেয়ে ঘর যায়।পড়তে হবে।সেই মতন আমরা গেটের দিকে এগোচ্ছিলাম।কিছুদূরে গিয়ে সবাই বলল এই জায়গায় পর্যাপ্ত আলো আছে,এখানে ছবি তুলি।আমি পাশে জায়গা পাচ্ছিলাম না বলে সামনে গিয়ে বসে পড়লাম। ওমা,পেছন থেকে কে একটা আমাকে ধরে চ্যাং দোলা করে তুলে ক্যালাতে শুরু করল।

এভাবেই ক্রমে আমি,প্রদ্যুৎ,আলি,হাসান,সৌমেন,অসীম সকলেই এই ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম,এবং বাকিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদেরও ক্যালাতে নিজের নিজের হাত লাগলাম।

এর পর আমরা কোল্ড ড্রিংকস,বিস্কুট,কেক, ভুজিয়া এই সব খেয়ে মজা করতে করতে ঘরে ফিরে এলাম।