গত ৩১শে জানুয়ারি জগন্নাথ গুপ্তা মেডিকেল কলেজের ফেস্টে গিয়েছিলাম।সেখানে যাওয়ার কোনো প্ল্যান ছিল না আমার।দুপুরের দিকে সায়েরী হটাৎ কল করে বলল তোর জন্য Pass জোগাড় করেছি,চলে আয়।
সায়েরী মলয়ের গার্লফ্রেন্ড এবং আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড।একেই আগের থেকে যাওয়ার প্ল্যান করিনি তাই যাবো কি যাব না কিছু ঠিক করতে পারছিলাম না।কল কেটে দেওয়ার পর মলয় কল করল কিছুক্ষণ পর।তাকে বললাম ভাই,যাওয়ার তো ইচ্ছে নেই,কিন্তু pass যখন জোগাড় করেছে অনেক কষ্ট করে তো চল যাই।
আমাদের লোকেশন সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ, কামারহাটি,কলকাতা |
---|
আমাদের কলেজ থেকে আমি,মলয় আর প্রদ্যুৎ যাব।মলয় আমাকে সময় দিল ২ টো বেজে ৩০ মিনিটে বেরোব।আমিও সেই মতন রেডি হয়ে ওই বিল্ডিং গেলাম।ওখান এ গিয়ে দেখলাম বরাবরের মতন মলয় নিজেই রেডি হয়নি।সে স্নান করছে।অগত্যা আরো প্রায় আধ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর আমরা তিন জন বেরোলাম।
জগন্নাথ গুপ্তা মেডিকেল কলেজ একটা প্রয়ভেট মেডিকেল কলেজ।সেখানকার নিয়ম আমাদের কলেজের মতন না।ওখানে অনেক হাজার গন্ডা নিয়ম কানুনে ভর্তি।আমাদের কলেজে যেমন আমরা নিজেরা অর্থাৎ স্টুডেন্টরা ফেস্ট অর্গানাইজ করি,ওদের আলাদা।ওদের ম্যানেজমেন্ট থেকে অর্গানাইজ করে এবং স্টুডেন্ট দের হাতে কোনো পাওয়ার থাকে না।আমাদের তিন জনের জন্য শায়েরী অনেক কষ্ট করে তিনটে এক্সট্রা pass জোগাড় করেছে।
শায়েরীর কলেজের লোকেশন জগন্নাথ গুপ্তা মেডিকেল কলেজ বজবজ ,দক্ষিণ ২৪ পরগনা |
---|
আমরা প্রথমে মেট্রো করে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে নামলাম।ওখান থেকে আবার ট্রেন ধরতে হবে বজবজের।এর মধ্যেই পিজি মেডিকেল কলেজের সোহেল নামের এক জুনিয়র আমাকে call করে জিজ্ঞেস করে যে আমার কাছে এক্সট্রা pass আছে কিনা?তাহলে সেও আসবে।
আমার কাছে এক্সট্রা pass কোথা থেকে আসবে।pass নেই জেনেও ওকে বললাম তুই চলে আয় ঠিক ম্যানেজ হয়ে যাবে।আমরা যতক্ষণে রবীন্দ্র সরোবরে এসে পৌছালাম ততক্ষণে সোহেল ও সেখানে এসে পৌঁছে গেছে।স্টেশনে আমাদের দেখা হল।
এখন মুস্কিল হল সোহেল সঙ্গে করে আরো একটা বন্ধুকে নিয়ে এসেছে।সে বিশাল হাস্যকর ব্যাপার।একজনের ই এক্সট্রা pass ম্যানেজ করা হল না,দুজন এসে হাজির।ওই কলেজে শায়েরী ছাড়াও আরো দুটো বন্ধু রয়েছে আমার।তাদের কল করলাম।তারাও বলল এক্সট্রা pass নেই।কলেজ থেকে অনেক কড়াকড়ি pass ম্যানেজ করা অসম্ভব।
তবুও বললাম চল তো দেখা যাবে।এর পরই কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের ট্রেন চলে আসে।আমরা উঠলাম ট্রেনে।খুব একটা ভিড় ছিল না।শায়েরি এই সেম বগি তেই উঠবে কিন্তু কয়েকটা স্টেশন পরে।এর মাঝেই ওই কলেজ থেকে দুজন বন্ধুর মধ্যে একজন কল করে বলল একটা pass ম্যানেজ হয়ে গেছে।একজনের তো ম্যানেজ হয়েছে তবে সেটা ওপর বন্ধুকে বললাম না।তাকে call করে বললাম ভাই আর একটু ভালো করে চেষ্টা কোর ম্যানেজ হয়ে যাবে।
এখন এই এক্সট্রা পাস টা ম্যানেজ কি ভাবে হচ্ছে?কলেজের অনেক স্টুডেন্ট নিজেদের ফেস্টে আসে না।যারা আসে না,তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের pass কালেক্ট করতে হয়।অনেক ঝামেলার ব্যাপার।
এর পর আমরা মাঝের হাট স্টেশনে পৌছালাম,এখানেই সায়েরি উঠবে।আমরা ট্রেনের গেটের দিকে দাড়িয়েছিলাম এবং আগেই শায়েরী কে আগের থেকেই বলা ছিল এমরানকে বগি তে আছি।সে সেইমত স্টেশনে দাড়িয়েছিল।ট্রেন তো দাড়াবে মাত্র ১ মিনিট,এর মধ্যেই নিজেদের খোঁজাখুঁজি করে ট্রেনে উঠতে হবে।
ট্রেনে কি শায়েরী উঠতে পারল?নাকি সে স্টেশনেই রয়ে গেল?জানতে হলে পড়ুন পরের পর্ব...
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রাইভেটে কোন কলেজ মানেই হাজারো নিয়ম কানুন এটাই স্বাভাবিক। সবগুলো নিয়ম কানুন মেনে পড়াশোনা করতে হয়।
আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। আপনার বেশ আনন্দই করেছেন পরবর্তীতে বন্ধুদের চাপের পড়ে আপনাকে যেতে হয়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ,দিদি সেদিন ভালোই মজা হয়েছিল।ওদের কলেজে সতিই এত বেশি নিয়ম কানুন,তার উপর বেশিরভাগ নিয়মই কোনো কাজের না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit