HELLO.
everyone,,
আজকে আমাদের কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ভাইভা পরীক্ষা ছিল যার জন্য আজকে একটু সকাল সকাল ঘুম ভেঙে যায় ৷ তারপর সকালের টুকটাক কাজ গুলো খুব তারাতারি সেরে ফেলি সকাল ৯ টার মধ্যেই কলেজে সবাইকে উপস্থিত হতে হবে ৷
যাই হোক দেশের পরিস্থিতির কারণে এতদিন ভাইভা পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছি আর দীর্ঘদিন পর আজকের দিনে পরীক্ষা টি নির্ধারণ করা হয়েছে যেটা শুনে আমরা সবাই অনেক খুশি হয়েছি ৷
তারপর সকাল ৮ টা বেজে রেডি হয়ে নিলাম একেবারে ভাইভার ড্রেস সহকারে রেডি হয়ে চলে গেলাম কলেজের উদ্দেশ্যে ৷ আমার বাড়ি থেকে কলেজে যেতে ১৫ মিনিটের মত সময় লাগে তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে কলেজে পৌঁছে গেলাম ৷
কলেজে গিয়ে দেখি আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেক স্টুডেন্ট চলে এসেছে আমরাও সেখানে যোগ হয়ে গেলাম ৷ তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই যে স্যার গুলো আমাদের ভাইভা নিবে তারাও চলে আসলো ৷ ঠিক ১০ টা বেজে ভাইভা আরাম্ভ শুরু করে দিলো আমাদের ডিপার্টমেন্টের মোট স্টুডেন্ট ছাত্র সংখ্যা ছিল শুধুমাত্র ৫০ জন ৷
একে একে ভাইভা চলতে লাগলো এর মধ্যে আমরা ভাইভা শেষে খাবারের আয়োজন করেছিলাম সেই আয়োজন গুলো সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখতে গেলাম ৷ গিয়ে দেখি সব আয়োজন শেষ হয়েছে প্যাকেট করা হচ্ছে আর এই আয়োজনে ছিল খাসির মাংসের বিরিয়ানি ৷
যাই হোক স্যার এবং স্টুডেন্ট এর জন্য সর্ব মোট ৬৫ টা প্যাকেট করা হয়েছে সাথে পানির বোতল রাখা হয়েছে সেগুলো নিয়ে খুব দ্রুত কলেজে চলে আসলাম ৷
এদিকে প্রায় অর্ধেক স্টুডেন্ট এর ভাইভা কমপ্লিট হয়ে গেছে এর পর আমাদের সিরিয়াল তারপর আমরা একে একে বাকি স্টুডেন্ট গুলো ভাইভা দিতে চলে গেলাম ৷ আমাকে তিনটি প্রশ্ন ধরেছি দুইটির উত্তর দিতে পেরেছি আর একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নি কিছুটা ভূল হয়ে গেছে যাই হোক তারপর স্যার আমাকে বলেন সমস্যা নেই এখন আসতে পারো ৷
এভাবে সবার ভাইভা নেওয়া শেষ হলে তারপর আমরা খাবারের আয়োজন করি সবাই হল রুমে বসে পড়লেন তারপর আমরা একটি করে প্যাকেট আর একটি করে পানির বোতল পরিবেশন করি ৷ সবাই হাতে হাতে সবকিছু পেয়ে গেছে তারপর আমরা সবাই মিলে খেতে বসলাম ঐ দিকে স্যার গুলাও খাওয়া শুরু করেছিল ৷
প্রায় দুপুর দুটো বেজে যায় খাওয়া দাওয়া সবকিছুই কমপ্লিট হয়ে গেল তারপর স্যার গুলো আমাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন আমরা সবাই নিজ নিজ সিট আসন গ্রহন করলাম তারপর স্যার রুমে এসে আমাদের অনেক কথা বললেন আমরা নিস্তব্ধ ভাবে সবকিছু শুনলাম ৷
তারপর স্যার গুলো আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলো আমরাও বিদায় নিয়ে নিলাম তারপর আমরা সবাই মিলে বন্ধুরা অনেক ফটোগ্রাফি করলাম যেগুলো আমাদের চার বছরের একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে সারাজীবন ৷
আমাদের তো অনার্স শেষ হয়ে গেলো জানি না এখন কে কোথায় কীভাবে থাকবে তবে সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ৷
প্রায় বিকেল ৩ টা বেজে যায় আর এদিকে প্রচুর রোদ শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তাই আর কলেজে দেরী করলাম না খুব দ্রুত চলে আসলাম বাড়িতে ৷
আজকের মত এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সকলে ৷
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 13 pro + |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
দেশের পরিস্থিতির কারণে অনেক পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে, আপনাদের ভাইবা পরীক্ষাও এই কারণে পিছিয়ে গেছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়, আপনাদের বিদায়ী সংবর্ধনাতেও সেই আয়োজন ছিল, আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরীক্ষার সকলের জীবনে আসে। পরীক্ষা আমাদের দেখ অন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়। আবে চাকরির পরীক্ষা আমাদের কাছে একটা অন্যরকম পরীক্ষা। আমি এখনো ওই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়নি। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগল! ভাইভা পরীক্ষার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এত দিন পর পরীক্ষার আয়োজন হওয়ায় নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছেন। আমাদের পরিক্ষাও স্থগিত ছিল অনেকদিন তবে কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে। তবে লিখিত পরিক্ষা শেষ হলেও ভাইবা এখন ডেট দেয়নি। খাবারের আয়োজন এবং সবার সাথে একত্রে খাওয়া দাওয়া করা খুবই ভালো একটি স্মৃতি হবে। আমরাও এরকম আয়োজন করে থাকি । যাত্রা শেষ করে নতুন পথে পা রাখা একটি নতুন শুরু, এবং আশা করি ভবিষ্যতে সবাই নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাবে। ফটোগ্রাফিগুলো নিশ্চয়ই আপনাদের কলেজ জীবনের মধুর স্মৃতি হিসেবে থাকবে। ভালো থাকবেন, আপনার নতুন জীবনের জন্য অনেক শুভকামনা!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit