"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #৩৪১ [ তারিখ : ১৯.০৬.২০২৪ ]

in hive-129948 •  3 months ago  (edited)

Todys_Featured_Articles_2.png

Banner Credit @alsarzilsiam


বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @selinasathi1


অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম - সেলিনা সাথী। স্টিমিট আইডি - @selinasathi1। উনি প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর।সে সাথে একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছাড়া ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। তিনি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার" এর। উনার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর তিনি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করেন।স্টিমিট প্লাটফর্ম এ যুক্ত হয়েছেন ২০২১ সালের জুন মাসে।বর্তমানে স্টিমিট জার্নির বয়স প্রায় ৩ বছর চলমান।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

Screenshot_2024-06-19-10-24-41-301-edit_com.android.chrome.jpg


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :


6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzmudTgsBZYa2vwBnuMCfnmiqV6qZEN1o4Szyark36hsRjn1MswsiCbRUh1E1uuNYo7GJYxK3P1wunndC2.jpeg

তিন বছর পর বাবার বাড়িতে... @selinasathi1 (19.06.2024 )

বন্ধুরা প্রায় তিন বছর পর আজ বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। যে বাড়িতে আমার শৈশব কেটেছে। চিরচেনা চিরজানা সেই বাড়িটা যেটা ছিল আমাদের বাড়ি। সেই বাড়িটার নাম দিতে হয় এখন বাবার বাড়ি। মেয়েদের জীবনটা কতটা কষ্টের একবার ভাবুন। ..


আজকের ফিচার্ড আর্টিকেল পোস্ট বাছাই করার সময় উনার পোস্টের টাইটেলটি চোখে পরাতেই ভাবলাম, পোস্টটি একটু পড়ে দেখা যাক।

পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আমার এক প্রকার আনন্দ ও বিষাদ মাখা অনুভূতি অনুভব হয়েছে। কারণ আমরা একটা সময় কিন্তু সকলেই বাবার বাড়িতেই থাকি। অর্থাৎ অন্তত বিয়ের আগ পর্যন্ত কারোরই কিন্তু বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি বলতে আলাদা কোনো বাড়ি হয় না। শুধুমাত্র নিজের বাড়ি হয়। কিন্তু বিয়ে এমন অদ্ভুত একটা ব্যাপার। যেটা জীবনে আসার সাথে সাথেই মানুষের নিজের বাড়িটাকেই অন্য একটা নামে ডাকতে হয় এবং নিজের বাড়ির প্রতি অধিকারবোধ চলে যায় হয়তো।

হয়তো আমি এখনো সে অধ্যায়টি পার করিনি বলে আমি উনার কষ্টটাকে সেভাবে ফিল করতে পারবো না। কিন্তু একটু হলেও ফিল করতে পারছি। কারণ নিজের বাড়িতে প্রায় তিন বছর পর যাওয়া ব্যাপারটা সত্যিই খুব কষ্টদায়ক। আসলে আমাদের মনের মধ্যে অভিমানগুলো এমন ভাবে জমা হয়ে যায় মাঝেমধ্যে যে তার মেঘ কাটতে অনেকটা সময় লেগে যায়। সেলিনা আপুর ব্যাপারটিও ঠিক তেমনটাই ছিলো। কিন্তু পরমুহূর্তেই আপন মানুষেরা ডাকলে কখনোই না করা যায় না। কারণ তারা ভালবাসার মানুষ।

উনার আজকের পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করার মূল কারণটি হলো, উনার অনুভূতিটা অর্থাৎ স্পেশাল সেই অনুভূতি। কারণ তিন বছর পরে নিজের বাবার বাড়ি যাওয়ার খুশিটা উনার পোষ্টের মধ্যেই আমাদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছিলো। কিছু কিছু সুখের মুহূর্তের কথা কিংবা কিছু কিছু আনন্দের কথা সব সময় লিখে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। লেখাগুলোর ধরণ দেখেই অনুভব করতে হয় যে, তার আনন্দের পরিমাণ কতখানি। উনার আজকের লেখাটিও ঠিক তাই। অর্থাৎ উনার লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে যে উনার সেই সুখের মুহূর্তগুলো যেনো আমরা দেখতে পাচ্ছি, খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পারছি।

হয়তো প্রতিটি মেয়ের জীবনেই এই চিরস্থায়ী সুখটা এভাবে করেই একদিন ক্ষণস্থায়ী সুখে পরিণত হয়। আর চিরস্থায়ী সুখ ক্ষণস্থায়ী সুখে পরিণত হতে যে কতোটা কষ্ট। সেটা আশা করি সকলেই আমরা ফিল করতে পারি।


6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzmudTgsBZYa2vwBnuMCfnmiqV6qZEN1o4Szyark36hsRjn1MswsiCbRUh1E1uuNYo7GJYxK3P1wunndC2.jpeg

ছবি গুলো সেলিনা আপুর ব্লগ থেকে নেওয়া

সব মিলিয়ে উনার পোস্টের লেখার ধরণ, বানান সবকিছুই খুব ভালো ছিলো।সে সাথে টপিক নির্বাচন ও খুব ভালো ছিলো।আশা করছি উনি ভবিষ্যতেও আমাদের সাথে এভাবেই যুক্ত থাকবেন এবং আমার বাংলা ব্লগ কে দারুণ সব পোস্ট উপহার দেবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner New.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকের এই ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে সাথী আপুর ব্লগ দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। সাথী আপু অনেক সুন্দর করে এই লেখাটা লিখেছেন। প্রত্যেকটা মেয়েকেই শ্বশুরবাড়িতে আসা লাগে। আর আস্তে আস্তে বাবার বাড়িতে যাওয়া অনেক বেশি কমে যায়। এক সময় তো একেবারেই কমে যায়। প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনের সুখ আসলেই কিন্তু এরকম ভাবে চিরস্থায়ী থেকে ক্ষণস্থায়ী হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ সাথী আপুর লেখা এই ব্লগ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে মনোনীত করার জন্য।

আমরা প্রতিদিন এবিবি ফিচার্ড আর্টিকেলের মাধ্যমে কমিউনিটির কোয়ালিটি পোস্ট গুলো দেখতে পারি। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো। আজকের সেলিনা সাথী আপুর একটি পোস্ট করা হয়েছে, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। সেলিনা সাথী আপু তার কোয়ালিটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের পোস্ট টি এবিবি ফিচার্ড আর্টিকেলের মধ্যে রাখতে পেরেছে।

আজকের ফিচারড আর্টিকেল পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। সাথী আপু অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে গিয়েছিল জেনে সত্যিই ভালো লেগেছিল। আসলে অনেক সময় অভিমান করে অনেকে আপন মানুষগুলোর থেকে দূরে থাকে। এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লেগেছে।

আজকের এই ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে নিজের এই পোস্টটি দেখে কেঁদে ফেলেছিলাম।
অনেক আবেগ আর অনুভূতি দিয়ে ঘেরা ছিল, এই পোস্টটির পুঙতিমালা। নারীদের জীবনের বৈচিত্র গুলো বড় বেশি বৈচিত্রময়। যা আবেগ অনুভূতি কিংবা লিখে বোঝা মুশকিল। 🙏💕🌹

সাথী আপু আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটা ব্লগ শেয়ার করে নিয়েছেন। ওনার এই ব্লগটা আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছে দেখে। আর ওনার ব্লগটি ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে সিলেক্ট করা হয়েছে দেখে তো আরো বেশি ভালো লেগেছে। আসলে প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনটা অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। সাথী আপু তিন বছর পরে বাবার বাড়িতে গিয়েছে। তিনি অনেক সুন্দর করে এই পোষ্টের মধ্যে সবকিছুকে তুলে ধরেছেন। পোস্টটা সিলেক্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

আজকের ফিচার্ড আর্টিকেল পোস্টটি খুব ভালো লাগলো।আপু অনেকদিন পর তার বাবার বাড়িতে গিয়েছেন।এই জিনিসটা আসলেই অদ্ভুত মেয়েদের নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়ি গিয়ে থাকতে হয়।এই বিষয়টা ভাবতে গেলেই কেমন লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।