"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #৩৩৬ [ তারিখ : ১৪-০৬-২০২৪]

in hive-129948 •  4 months ago 

Todys_Featured_Articles_2.png

Banner Credit @alsarzilsiam


বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @wahidasuma


অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ ওয়াহিদা সুমা। জাতীয়তা: বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগের শুরু থেকে যেসব সদস্যরা জুড়ে আছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ওয়াহিদা সুমা দিদি। উনি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞান নিয়ে অনার্স পড়ে তারপর সেই বিষয় নিয়েই মাস্টার্স করেছেন। ঘুরে বেড়াতে, ঘুমোতে এবং গান শুনতে উনি ভীষন পছন্দ করেন। পাশাপাশি সুমা দির শখ বাগান করা। এছাড়াও আর্ট, নানান রেসিপির রান্না করতেও উনি ভালোবাসেন।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

Screenshot_20240614-210911~2.png


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :


IMG.png

কাঁঠালের বিচি, আলু ,বেগুন দিয়ে টেংরা মাছ রান্নার রেসিপি by wahidasuma (তারিখ 14.06.2024)

বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট করতে বেশ ভালই লাগে। যদিও ইদানিং ভীষণ গরমের কারণে রেসিপি পোষ্ট খুব একটা করা হয় না।কয়েকদিন আগে এই রেসিপিটি করেছিলাম। কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে খেতে বেশ ভালই লাগে ।এখন যেহেতু প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে ।সেহেতু কাঁঠালের বিচিও পাওয়া যায়। যদিও কাঁঠাল খাওয়া হয় না, তার কারণে কাঁঠালের বিচি বাজার থেকে কিনে আনতে হয় ।যাই হোক আজ আমি আলু ,বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছি। সেই রেসিপিটি এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।।…


কাঁঠালের বিচির সাথে টেংরা মাছের কম্বিনেশন দেখে শুরুতে অবাক হলেও রেসিপির ছবি দেখে মনে হলো খেতে দারুন হবেই। আমার সবসময় মনে হয় খাবারের সাথে কিছুটা হলেও এক্সপেরিমেন্ট করা ভালো তাহলে রান্নায় ভিন্নতা আসে সেই সাথে সাথে আমাদের জিভ ভিন্ন স্বাদে খানিকটা শান্তি পায়। আজ সেই চিন্তা থেকেই মূলত পোস্টকে আমার বেছে নেওয়া ব্যক্তিগত ভাবে আমি কাঁঠালের বিচি খুব একটা পছন্দ করি না। এমনকি পাকা কাঁঠাল থেকে আমি শত হস্ত দূরে। তবুও যখন কাঁঠালের সময় আসে সেই সময় বাড়ির বিভিন্ন সবজিতে কাঁঠালের বিচি দেয়। খেতে বসে যদি পাতে সেগুলোকে দেখতে পাই তখন খুঁজে খুঁজে বাদ দিই তবে খুব ছোট করে কাটলে মুখে ঢোকার আগ পর্যন্ত সেটা বোঝা সম্ভব হয় না।

আজকে যখন সাভার বাংলা ব্লগ স্ক্রল করছিলাম তখন মূলত পোস্টটা আমার নজরে আসে। মূলত টেংরা মাছ দেখে আমি থেমে যাই কারণ ডিমওয়ালা টেংরা আমার খুবই পছন্দের। আর ছবিতে দেখে বুঝতে পেরেছি সব কটা টেংরার পেটেই ডিম। তারপর পোস্টটা খুলে যখন দেখলাম তখন আসলেই বানানোর পদ্ধতিতে আমার ভালো লেগেছে। কারণ কাঁঠালের বিচির থাকলেও সেটার মধ্যে আমার পছন্দের একটা সবজি ছিলো সেটা হল বেগুন। খুব সহজ রেসিপি যা বর্তমানের গরমের সময় পেটের জন্য খুবই ভালো।

পেট এবং স্বাদকোরক দুটিকেই শান্তি দেবে এমন একটা পদ সবারই পছন্দ সেই ভাবনা থেকে আমার আজকের পছন্দের পোস্ট। আশা করব আপনারাও পোস্টটি একবার হলেও চোখ বুলিয়ে দেখবেন।


IMG.png

ছবিটি সুমা দির ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমার পোস্টটি আজকের ফিচারড আর্টিকেলে নির্বাচিত করার জন্য। আসলে মাঝেমধ্যে ভিন্ন ধরনের রেসিপি ট্রাই করলে স্বাদে বৈচিত্র আসে। যার কারণেই এই রেসিপিটি করা।অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সোমা আপুর এই পোস্ট আমি দেখেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। নদীর বড় বড় টেংরা মাছগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর এই রেসিপিটাও দারুন ছিল। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে। এছাড়া সোমা আপুর প্রত্যেকটা রেসিপি পোস্ট আমার অনেক ভালো লাগে। সোমা আপুকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আজকের এই ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে সুমা আপুর নামটা দেখে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপু অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। উনার এই রেসিপিটা তেমনই ভাবে কিন্তু অনেক বেশি ইউনিকও ছিল। আমার কাছে কিন্তু ওনার তৈরি রেসিপি টা দারুন লেগেছে। আমি তো ভাবতেছি এটা বাড়িতে একবার ট্রাই করবো। অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটা সিলেক্ট করার জন্য।

আজকের ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে ইউনিক একটা রেসিপি দেখে তো অনেক ভালো লেগেছে। সুমা আপু অনেক ইউনিক এবং মজাদার ভাবে আজকের রেসিপিটা তৈরি করেছেন এবং সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। যারা ওনার রেসিপি টা দেখেনি তারা কিন্তু ফিচারডে দেখে নিতে পারবে। রেসিপিটা তো আমার দারুন পছন্দ হয়েছে। এই পোস্টটা ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে মনোনীত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।