আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -১০steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

নির্বাচন নিয়ে কৌতুক বা মজার কোন অনুগল্প ।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@hafizullah

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাস্তব একটা অনুগল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।

আমার বাড়িতে এক জেঠু মশাই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। তখন আমার জেঠুর প্রচার-প্রচারনার জন্য গ্রামে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমার জেঠাতো ভাইও ছিল,আর জেঠাতো ভাইটি একটু দুষ্ট প্রকৃতির ছিলো। তখন মিছিলের মধ্যে যখন স্লোগান দেয়া হচ্ছিল তোমার ভাই আমার ভাই হোসেন ভাই হোসেন ভাই। তখন আমার জেঠাতো ভাই স্লোগান দিচ্ছিল আমার আব্বা তোমার ভাই হোসেন আব্বা হোসেন ভাই😀😀।

হা হা হা বেশ মজা পেলাম পড়ে।

এক লোকের ইচ্ছে হয়েছে, তিনি সংসদ নির্বাচন করবেন। ইচ্ছে অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েও গেলেন। ভোট হলো। গণনা শেষে দেখা গেল, তিনি মাত্র তিনটি ভোট পেয়েছেন। ফলাফল দেখে লোকটির স্ত্রী তো রেগে আগুন। বললেন, ‘আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম, তুমি নিশ্চয় অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাস। তা না হলে তৃতীয় ভোটটা দিল কে?'

তাই বলে এতটাও সন্দেহ করা ঠিক না।🤣

যেখানে তৃতীয় ব্যক্তি আছে সেখানে তো সন্দেহ থাকবেই একটু।☺️

হা হা হা দারুন লিখেছেন। পড়ে খুব মজা পেলাম।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

নাটু কাকা(ভোট দিতে গিয়ে) -এই রাজু তোর কাকিমার ভোট পড়ে গেছে?
রাজু (হাসতে হাসতে)-হ্যাঁ কাকা!
নাটু কাকা-ইস্ আরেকটু আগে আসলে দেখা হয়ে যেতো।
প্রিসাইডিং অফিসার-কেনো আপনার স্ত্রী আপনার সাথে থাকে না?
নাটু কাকা-আরে না রে বাবা! উনি ১০ বছর হল স্বর্গবাসী হয়েছেন। শুধু ভোট এলে ভোটটা দিয়ে চলে যান।

হাহাহাহাহা!!!!!
মৃত ব্যক্তিও ভোট দেয় ৷

হুম ভোটের সময় আরো কত কিছু ঘটে যায়, স্বর্গবাসী হয়েও চমৎকারভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পায় হা হা হা।

এখন থেকে যাদের আত্মীয় ও পিতা-মাতার মৃত্যু হয়েছে। তারা ভোটের সময় সারাদিন ভোটকেন্দ্রে বসে থাকবো।একটু তাদের সাথে সাক্ষাৎ এর জন্য।

এক নেতা ভোট চাইতে ভোটারের কাছে গেলেন-

নেতা- চাচা, কথা দেন, ভোটটা আমাকেই দিবেন।
ভোটার- কিন্তু ভাতিজা, আমি যে আরেকজনকে ভোট দেব বলে কথা দিয়ে ফেলছি।
নেতা- তাতে কী? কথা দিলেই যে কথা রাখতে হবে, এমন টা তো নয়।
ভোটার- তাইলে ভাতিজা তোমারেও কথা দিলাম।

হিহিহি।

হুম কথা দিলে তো দোষের কিছু নেই ৷ এবার ভোট এলে এভাবেই বলতে হবে ৷
হিহিহিহি!!!

তাহলে এই ভাবে কথা দিতে হবে লোকজন কে... হা হা হা....🤣

হ্যাঁ ভাই ভোটের দিনে তো পদপ্রার্থীরাও কথা চাই, আর ভোটাররাও কথা দেয়। আর কথা দিলে যে ভোট দিতে হবে এমনটি তো নয়। কৌতুকে যুক্তি ছিল। অসাধারণ হয়েছে।

হিহি🤣🤣 দারুন হয়েছে ভাই। কথা দিতে যখন সমস্যা নেই সবাইকেই কথা দেওয়া যায়।

এটা চমৎকার ছিল আমিও কথা দিলাম এবার আমিও ভোট দেবো।

শরিফ মিয়া আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আর জলিলের মার্কা ছাতা। একদিন রাস্তায় কথা হচ্ছিল তাদের-

শরিফ: বুঝলা জলিল, ভোটে কিন্তু আমিই পাস করব। কেন জানো? আমার দলের কর্মীরা যখন রিকশায় ওঠে রিকশাঅলার খোঁজখবর নেয়। রিকশা থেকে নামার সময় তাকে ১০ টাকা বকশিশ দেয়। আর বলে, ‘ভাই, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায়ই দিয়েন।’
জলিল: না রে শরিফ, ভোটে আমিই জিতব। কারণ, আমার লোকেরা রিকশায় উঠেই রিকশাওয়ালাকে গালিগালাজ করে। রিকশা থেকে নামার সময় ১০ টাকা কম দেয়। আর বলে, ‘ওই ব্যাটা, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায় দিবি।’

জলিল সাহেবের লোকদের আপনার মতই বুদ্ধি। এত বুদ্ধি কই রাখেন🤣🤣

Steemit এর একটা গোপন চেম্বার আছে। সেখানে জমা করে রাখি।😁

ওরে উল্টো বুদ্ধি।

না হলে তো নির্বাচনে জেতা যাবে না😁😁

এটা ঠিক নির্বাচনে জিতাটাই আসল।কার কি হলো দেখার সময় নেই।

বাপরে বাপ এরকম বুদ্ধিও যে মানুষের হয় তা আজকে প্রথম জানলাম।😜😜

নেতা মন্ত্রীদের অনেক চালাকি বুদ্ধি থাকে তো। না হলে নির্বাচন জিতবে কেমনে। খিক খিক খিক.....😁😁

পরের বার ভাবছি আমার বিপরীতে আপনাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেব। হিহি 🤣 জলিল, শরীফ অনেক নির্বাচন করলো এবার আমাদের পালা।

কথা ঠিক। হা হা হা 🤣

ভোটার নেই, নির্বাচনী আমেজ নেই, মিটিং-মিছিল নেই, স্লোগানের হট্টগোল নেই। কিন্তু তার পরও এক নেতা হাজার হাজার পোস্টার ছাপিয়েছেন।
প্রেসের লোক এসে বলল, ‘স্যার, এত পোস্টার ছাপাইলেন, বিলটা কিন্তু এখনো পাইলাম না।’
নেতা বললেন, ‘খাড়াও মিয়া। সংসদে তো যাইতেছিই। তখন তো খালি বিলই পাস করমু।

ভোটার নেই, নির্বাচনী আমেজ নেই, মিটিং-মিছিল নেই, স্লোগানের হট্টগোল নেই। তার পরও এক নেতা হাজার হাজার পোস্টার ছাপিয়েছেন।

  • প্রেসের লোক : স্যার, এত পোস্টার ছাপাইলেন, বিলটা কিন্তু এখুনো পাইলাম না স্যার।

  • নেতা : খাড়াও মিয়া। সংসদে তো যাইতেছিই। তখন তো খালি বিলই পাস করমু!

তখন কয়টা বিল নিবা দেখা যাবে।।।।

বল্টু ভোট দিয়ে পোলিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল : স্যার আঙ্গুলের এই দাগ কি পানি দিয়ে ধুলে যাবে?

অফিসার: না।
বল্টু: তা হলে স্যার, সাবান দিয়ে ধুলে যাবে?
অফিসার: না।
বল্টু: তাহলে স্যার, কত দিন পরে উঠবে?
অফিসার: (বিরক্ত) এক বছর পর যাবে।
বল্টু: তাহলে আরও একটু দেবেন স্যার?
অফিসার: কেন?
বল্টু: চুলে লাগাব স্যার। আজকাল হেয়ার ডাই গুলো এক সপ্তাহের বেশি থাকে না।

হাহা! এই কালি আমারও চাই। চুল পেকে যাচ্ছে।

হুম সাদা চুলগুলোতো ঢাকতে হবে নাকি, কেমন জানি বুড়া বুড়া লাগছে হা হা হা।

হ্যাঁ আমারো। কেমন বুড়ি বুড়ি লাগছে। 😆

ভালো বুদ্ধি তো। পরের বার ভোট দিতে গিয়ে কিছুটা নিয়ে আসবো।🤣🤣

কি বুদ্ধি, টাকা ও বাচলো, সাথে সাথে স্হায়ী চুলের রং হলো।

হাহাহা এবার ভোটের সময় ঠিক এই কাজ করতে হবে ৷

হি হি,দারুণ মজার ছিল ভাইয়া।

চুলে লাগানোর বুদ্ধিটা অনেক বেশি কার্যকরী হবে অবশ্যই। অসাধারণ ছিল কৌতুকটি।

ভাগ্যিস নির্বাচনের সময় হাতে সাদা রং লাগায় না। তাহলে তো সবাই মেকআপ ভেবে মুখে লাগিয়ে নিত।

হিহি...এই বার ভোট দিতে গেলে আমিও ওই কালি চেয়ে নিয়ে আসবো। সুন্দর পরামর্শ পেলাম বল্টুর কাছ থেকে।

আসলেই তো ট্রাই করে দেখা যেতে পারে, হাহাহা চমৎকার ছিল টাকা বাঁচানোর বেশ বড়সড় ধান্দা, চুলের জন্য পার্মানেন্ট রং হয়ে যাবে।

বল্টুর বউ: ভোট দিতে গিয়ে বল্টুর বউ বলল আপা আমার ভোট কখন দিমু?
ডিউটি অফিসার: আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সিরিয়াল বলেন?
বল্টুর বউ: আমি এতকিছু জানি না আপা আমার স্বামী বল্টুর নামের পরেই আমার নাম।
ডিউটি অফিসার: উনি তো একটু আগেই ভোট দিয়ে চলে গেলেন।
বল্টুর বউ: আহারে আর একটু আগে আইলেই আমার স্বামীর দেখা পেতাম। কতদিন দেখি না।
ডিউটি অফিসার: কেন উনি বাড়িতে থাকেন না?
বল্টুর বউ: উনি তো পাঁচ বছর আগেই মইরা গেছে। কিন্তু প্রত্যেকবার ভোট দিতে আসে।
😅😅😅

হাহাহা এত সত্য কথা ফাঁস হয়ে গেল বেশী সত্য কথা বলতে নেই। হিহিহি

দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা বিষয়ে কথা বলছেন, ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক কর্মী।

ব্রিটেনের রাজনৈতিক কর্মী বললেন, ‘গত বছর আমি দলের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে আমাদের এক কর্মীসভায় বক্তৃতা দেই। আমি বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও মূল্য দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম মাসে আমি কোনো উন্নতি দেখলাম না, দ্বিতীয় মাসেও আমি তেমন কোন উন্নতি দেখলাম না, তবে আমি আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখলাম। তৃতীয় মাসে দেখা গেল, পার্টির বড় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের কথাও কিছু কিছু শোনা হচ্ছে।

এবার বাংলাদেশি কর্মীর পালা। তিনি বললেন, 'গত বছর আমিও আমাদের পার্টির এক কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখি। কর্মীসভায় সিনিয়র নেতাদের সামনে আমিও আপনার মতোই জোর গলায় বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম দিন আমি কিছু দেখলাম না, দ্বিতীয় দিনও আমি কিছু দেখলাম না, তৃতীয় দিন চোখ মেলে দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি। ডান চোখটা তখনও মেলতে পারছিলাম না...'

নির্বাচনের প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করছেন সাংবাদিক: আপনি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন?
প্রার্থী: আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, চারদিকে কী ঘটছে? সরকারি লোকেরা আমোদ-প্রমোদে মত্ত, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ।
সাংবাদিক: আপনি কি এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই নির্বাচন করছেন?
প্রার্থী: পাগল নাকি! আমার কি আমোদ-প্রমোদ করতে শখ হয় না?

হাহাহা 🤣🤣 সবারই এখন "আমোদ-প্রমোদ করতে" করতে ইচ্ছা জাগে ভাই।

বউ জামাইকে বলছে, বিয়ের আগে বলেছিলে আমাকে তুমি রাজরানী করে রাখবে এখন দেখি দাসীর মত কাজ করে মরছি।

উত্তরে জামাই বলছে, পৃথিবী থেকে এখন রাজতন্ত্র উঠে গেছে গণতন্ত্র চলছে, সরকারের কার্যকলাপে জনগণ খুশি না হলে ভোট দিয়ে পরিবর্তন করে দেবে।
একথা শুনে বউ আরও বেশি বেশি করে কাজ করতে শুরু করলো।

চেয়ারম্যান: আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি, তাহলে এই এলাকায় একটি ব্রিজ করে দিব।😎


জনৈক ব্যাক্তি: এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই, আপনি ব্রিজ করবেন কিভাবে?😂


চেয়ারম্যান: ইয়ে… প্রথমে খাল করব, তারপর ব্রিজ করব!
🙂

এই চেয়ারম্যান এক কথার মানুষ বলেছে যেহেতু করেই ছাড়বে। হাহাহা।

সেটাই তো মনে হচ্ছে ভাই।😅

আমাদের এখানে একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। সে আশাবাদী তার বাপের অনেক সুনাম অনেক জনপ্রিয়তা তিনি আশা করেছিলেন ভোট না চাইতে তিনি অনেক ভোট পাবেন। কিন্তু ভোট শেষে দেখা গেল তার বাড়ির ভোট গুলোই সে পায়নি হা হা হা।

এক নেতা মামা ভাগ্নের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে তারপর যা হলোঃ

নেতা: ভাইগ্নে ভোটটা এবার আমাকে দিও।
ভাগ্নে: না মামা আমি আবার ভোট দিতে পারবো না।
নেতা: না আমাকে ভোট দিতে হবে এবার।
ভাগ্নে: না আমি পারবো না।
নেতা: কেন ? ভাগ্নে তুমি তোমার মামাকে ভোট দিতে পারবে না।
ভাগ্নে: আরে মামা বুঝছো না কেন আমার বয়স ১৭ আমার এখনো ভোটার আইডি কার্ডই হয়নি।হাহাহা

আমার কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড হয়ে গেছে কিন্তু এখনো ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি 🥱🙄

চেয়ারম্যান: প্রিয় এলাকাবাসী আমার মার্কা হলো কচু ৷ তাই আপনারা যদি এই কচু মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে ৷ সবার বাড়ি বাড়ি কচু তরকারি দেওয়া হবে৷

এলাকাবাসী: চেয়ারম্যান সাহেব কচু রাস্তা ঘাটে পাওয়া যায় ৷ আর কিছু কচু আছে গলায় ধরে৷ তার মধ্যে আপনি ৷

চেয়ারম্যান:কেন??

এলাকাবাসী : এই যে আপনি আমাদের এলাকার সবাইকে ধরেছেন আপনার মার্কায় ভোট দিতে ৷

চেয়ারম্যান সাহেবকে ইনডাইরেক্টলি অপমান করা হলো নাকি ভাই?

রহিম সাহেব নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রচারনার জন্য এলাকার ছেলেদেরকে টাকা দিলেন। এলাকার ছেলেরা প্রতিদিন রহিম সাহেবের জন্য গণসংযোগ শুরু করলেন। এই গণসংযোগে রহিম সাহেবের ছোট ছেলেও আছেন। এক সময় মিছিল হয়- সবাই জোরে জোরে চিৎকার দিচ্ছে তোমার ভাই আমার ভাই। রহিম ভাই রহিম ভাই। রহিম ভাইয়ের মার্কা কি? পতাকা ছাড়া আর কি। সবার মত রহিম সাহেবের ছেলেও একই কথা বলতে লাগল। তার মানে কি দাঁড়ালো? নির্বাচনে বাপ ছেলে সবাই ভাই ভাই। হা হা হা

যাইহোক আমার পাশের বাড়ি চাচা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়াইছে।তো যেদিন মার্কা দেয় ওইদিন থেকেই নির্বাচনের একটা আমেজ পড়ে সব দিকে।তো মার্কা নিয়ে ফেরার পথে মিছিল হচ্ছিল আমার ভাই তোমার ভাই সিরাজুল ভাই সিরাজুল ভাই।আমিও সবার তালে তালে তাই কইতেছিলাম। এইদিকে আমি কখন তালে মাতাল হইসি সেইটা আর মনে নাই।মিছিল শেষে বাড়িতে এসে চাচা আমাকে ডেকে বললো তোর চাচীর কাছে টাকা আছে নিয়ে আয় তো।আমি গেলাম সোজা বাড়িতে গিয়ে চাচীরে চাচী আম্মা বলে ডাক দিয়ে বললাম সিরাজুল ভাই টাকা গুলা চাইলো তাড়াতাড়ি দেন।তারপর চাচী ও আমার দিকে দেখে আমিও চাচীর দিকে দেখি🤣

নির্বাচন নিয়ে কোন কৌতুক মাথায় আসছে না । মনে হচ্ছে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যাই, কোন ভোট যখন পরবে না তাই দেখে মানুষ এমনিতেই হাসবে। হিহি 🤓😂🤣

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ভোটারের কথোপকথন

প্রথম পদপ্রার্থী: আমার সাইকেল মার্কাতে এবার ভোট দিও বিশ্বাস ভাই।
বিশ্বাস: আচ্ছা কথা দিলাম আমি আপনার সাইকেল মার্কাকে ভোট দেব।
দ্বিতীয় পদপ্রার্থী: আমার আনারস মার্কায় কিন্তু ভোট দিতেই হবে বিশ্বাস কাকা।
বিশ্বাস: হ্যাঁ ভাতিজা তোমার আনারস মার্কায় আমি অবশ্যই ভোট দেবো।

বিশ্বাস বাবু ভোটের দিন গিয়ে এক ব্যালট পেপারেই সাইকেল ও আনারস মার্কায় যথাক্রমে ভোট প্রদান করে। দুজনকে কথা দিয়েছে তাই ভোট তো দুজনকে দিতেই হবে।

বিশ্বাস বাবু নামটা তার, করে না কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।🤓🤓🤓

হ্যাঁ এটাই ঠিক করেছে সবাইকেই সমানভাবে দেখেছে অনেক ভাল ছিল আপনার নির্বাচনের গল্প।

হ্যাঁ ভাই তো সবাই চায় তাই তাই বিশ্বাস বাবু কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নাই সবাইকে সমান চোখে দেখেছে।

বিশ্বাসঘাতকতা করে নাই ঠিক আছে কিন্তু যে ভোট দিয়েছে সেটা তো মূল্যহীন হয়ে গেল।🤩🤩

বিশ্বাস বাবু এটাও ভালো করে জানে বর্তমানে ভোটের কোন মূল্য নেই। তাইতো সে মূল্য অমূল্য খুঁজতে যায় নাই। 🤩🤩🤩

চেয়ারম্যানঃ আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি, তবে একটা ব্রিজ করে দেব।
জনৈক ব্যক্তিঃ চেয়ারম্যান সাহেব, আমাদের গ্রামে তো কোন খাল নেই, তবে ব্রিজ করবেন কিভাবে??
চেয়ারম্যানঃ ইয়ে, মানে আগে খাল করব তারপর ব্রিজ করব।

নির্বাচন হলে সব এলাকাতেই কমবেশি মিছিল হয়। নির্বাচনের সময় সাধারণত আপন মানুষ গুলোকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয় আর তাদের বড় ভূমিকা পালন করতে হয়। এদিকে
যে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে তার ছেলে মিছিলের সামনে গিয়ে বলছে তমক ভাইয়ের মার্কা --- মার্কা। পাড়ার মুরুব্বি চাচা বলছে বাপুরে , নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তোমার বাপ ও তোমার ভাই হয়ে গেছে। হা হা হা

হ্যাঁ এরকম হয় কিন্তু আপনার ক্ষেত্রেও মনে হয় এরকম হয়েছিল তা না হলে অভিজ্ঞতা হলো কি করে।