আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৭৬

in hive-129948 •  10 days ago 

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

স্কুল লাইফ নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@rex-sumon

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনুগল্প:
যখন আমরা ক্লাস ফোরে উঠলাম তখন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো যে কিনা আগের ক্লাসে ছিল।কিন্তু ফেল করার দরুন সে আবার ক্লাস ফোরে রইলো।তাই আমরা তাকে দিদি বলে ডাকি।কোনোক্রমে টেনেটুনে পাস করে সে আমাদের সঙ্গে ফাইভে উঠলো।সেখানে আবার একটা ছেলে বার বার ফেল করে একই ক্লাসে রয়েছে।ওদিকে ওই দিদির বাবা-মা আবার বাড়ি থেকে পাত্র খুঁজছে বিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে।যেহেতু ক্লাসে এই দুজন আমাদের থেকে অনেক বড় তাই সবারই দাদা ও দিদি।মেয়েটির ইচ্ছে ছিল কিন্তু ঘটে নেই কিছু----আমাদের স্কুলের হেডস্যার একদিন ক্লাসে ঢুকেই এই দুজনকে দেখে আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো।বললো এদেরকে সম্মান করবে।তারা তোমাদের ক্লাসের আদু ভাই ও আদু বোন।তাই তোমরা এদের বড়দা ও বড়দি বলে ডাকবে।সেই থেকে আমরা তাদের সেভাবেই ডাকতাম।ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে একটা ভাব জমে উঠছে।তারা আবার ফেল করলো তাই তাদের ফাইভে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হলো না।যদিও মেয়েটির পরিবার অনেক চেষ্টা করেছিল।।

হায় হায় কপাল পোড়া।।

☺️☺️

  ·  9 days ago (edited)

শিক্ষক রতন স্যার নির্দিষ্ট বিষয় পড়ানোর পর ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বললো আজ তোমাদের সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্ন করবো।
শিক্ষক:- আকাশ বলতো দেখি পাখি কাকে বলে?
আকাশ:- যার ডানা আছে যে উড়তে পারে এবং গুনগুন করে গাইতে পারে তাকে পাখি বলে।
শিক্ষক:- উদাহরণ দাও তো দেখি?
আকাশ:- উদাহরণ হচ্ছে মশা।
শিক্ষক:- আচ্ছা এবার বলতো দেখি তোমাদের বাসায় যদি চুলায় লারকি এবং গ্যাস না থাকে তাহলে আগুন জ্বালাবে কি দিয়ে?
আকাশ:- রবি সিম চুলার মধ্যে দিয়ে বলবো জ্বলে উঠো আপন শক্তিতে।
শিক্ষক:- এবার প্রশ্ন উত্তর তুমি খুব বুঝে শুনে দিবে। আকাশ বলোতো এসএসসি শব্দের অর্থ কি?
আকাশ:- কিছুক্ষণ চুপ রয়েছে তারপর বললো, হেডমাস্টার স্যান্ডেল চোর।

শিক্ষক:- রাগ করে বললো দাঁড়িয়ে থাকো আমি অফিস রুম থেকে আসি। কিছুক্ষণ পরে দেখছি হেডমাস্টার ডান হাতে বেত আর বাম হাতে একটি সাধারণ জ্ঞানের বই নিয়ে আসতেছে। আর রতন স্যার তার পেছনে পেছনে আসতেছে।

আমাদের সাধন স‍্যার বাংলা ক্লাস নিতেন। বরাবরই বেশ মজার মানুষ ছিলেন। তখন ক্লাস টেন এ পড়ি। অন্যদিকে আমার বন্ধু দীপ্ত ছিল ফাঁকিবাজ। স‍্যার ক্লাসে পড়া ধরছেন এমন সময়

সাধন স‍্যার: এই দীপ্ত দাঁড়া।

দীপ্ত: পারব নানে স‍্যার।

স‍্যার: তোর বাবার নাম কী?? স‍্যারের প্রশ্ন।

দীপ্ত: নিরঞ্জন দও। দীপ্তর উওর।

তখনই স‍্যার বললেন তো পারবি নানে বললি যে। সঙ্গে সঙ্গে পুরো ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল।

ঘটনাটা আমার স্কুলজীবন থেকে নেওয়া।।

আপনার বন্ধু দীপ্ত স্যারের কথা শুনে তো হতবাক হয়ে গিয়েছিলো। যাইহোক খুবই মজা পেলাম।

এমন কিছু স্টুডেন্ট থাকে যারা সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে ভয় পায় হা হা।

স্কুল লাইফ নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।

তখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। তখন আমাদের ইংরেজি ক্লাস নিতেন হরিসাধন স্যার। উনার বয়স মোটামুটি ভালোই ছিলো তখন। উনি অনেক লম্বা ছিলেন,কিন্তু কানে কম শুনতেন। স্টুডেন্টরা যদি পড়া না পারতো,তাহলে বেত দিয়ে জোরে জোরে পিটাতেন। আমি মাঝখান দিয়ে ২/৩ দিন স্কুলে যাইনি। হঠাৎ যেদিন স্কুলে গেলাম,হরিসাধন স্যার সবাইকে "এ মুনলিট নাইট" প্যারাগ্রাফ জিজ্ঞেস করলেন। বেশিরভাগ স্টুডেন্ট পারেনি বলে,ইচ্ছেমতো মাইর খেলো তখন। যখন আমার কাছে আসলো,তখন আমি দাঁড়িয়ে বলা শুরু করলাম এ মুনলিট নাইট এটা,এ মুনলিট নাইট সেটা। মানে মুখে যা আসতেছে তাই বলতেছিলাম😂😂। তারপর কিছুক্ষণ পর বললাম স্যার শেষ হয়ে গিয়েছে। স্যার বললো হইছে, তবে তেমন ভালো হয়নি। আরও ভালো করে পড়িস🤣🤣। আমি তো আস্তে আস্তে বললাম এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছি। সেই কথা মনে পড়লে আমার এখনো হাসি পায়। এটা একদম সত্যি ঘটনা।

আমার বেলায় ও এমন ঘটেছে ভাই।হাহাহা

জি ভাই, এমন ঘটনা আমার জীবনে অনেক বার ঘটেছে। ভাগ্যক্রমে অনেক সময় মার খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যেতাম।

অনুগল্প:-
স্কুল জীবনে সপ্তম শ্রেণীতে আমার এক বন্ধু হয়েছিলো তার নাম হলো শফিক। আমাদের ক্লাসে এক বান্ধবী ছিলো তার নাম হলো ঈশিতা। শফিক একদিন আমাকে বলল বন্ধু আমাদের বান্ধবী ঈশিতাকে আমি প্রপোজ করবো। আমি তো শুনে একেবারে হতবাক😲। কারণ আমি সব সময় প্রেম ভালোবাসার বিরুদ্ধে ছিলাম 🤠। শফিককে বারবার নিষেধ করার পরেও সে একদিন ঈশিতাকে প্রপোজ করে ফেললো। কিন্তু ঈশিতা তখনই বাসায় গিয়ে ওর আম্মু আব্বু বলে দিছে। ঈশিতার আব্বু আম্মু ঈশিতাকে নিয়ে স্কুলে চলে এসেছে। এসে প্রিন্সিপালকে এই বিষয়ে নালিশ করেছে। তখন প্রিন্সিপাল স্যার শফিককে ডেকে নিয়ে বেদম ক্যালানি দিয়েছে 🤓। তারপরে কান ধরে ওঠ বস করিয়ে ছেড়ে দিছে। পরের দিন বন্ধু শফিকের সাথে দেখা হলে জিজ্ঞেস করলাম বন্ধু কেমন হলো প্রপোজ করা? তখন শফিক বলতেছে বন্ধু প্রেম যদি খাঁটি হয় জুতার বাড়িও খাওয়া যায় 😲🤠। আমিও বললাম বন্ধু, প্রেম যদি খাঁটি হয় প্রেমিকার সামনে কান ধরে উঠবস করাও যায় 🤣🤣।

হাহাহা দারুন বলেছেন ভাই। হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।

বেশ দারুন গল্পতো ভাই।

আমার সাথে ঘটে যাওয়া স্কুল লাইফের একটি মজার ঘটনা। আমাদের ক্লাসের হৃদয় খান নামের একটি ছেলে আমাকে প্রপোজ করার জন্য একটি ডাইরি ও গোলাপ নিয়ে একটি টেবিলে রাখে। একজন আমাকে বলে এগুলি একটি ছেলে আমার জন্য এনেছে। ছেলেটি স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। তখন আমি রেগে ছেলেটির সামনে যাওয়া মাত্রই গনিত স্যার ডাক দেই। স্যার তিন দিনের জন্য ট্রেনিং যাবে, তাই প্রাইভেট বন্ধ থাকবে।এই কথাটা আমরা যারা প্রাইভেট পড়ি সবাইকে জানিয়ে দিতে বলেছিল। অপরদিকে হৃদয় খানের হাটু শীতের মত ভয়ে কাঁপতেছিল, সে ভাবছে তার নামে বুঝি স্যারের কাছে নালিশ করছি। তা দেখে আমারও প্রচুর হাসি উঠে গিয়েছিল। হাহাহা। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে ছেলেটির সামনে গিয়ে বললাম, কিরে তুই কি আমাকে চিনোস। ছেলেটি বলল না। আমি বললাম তর ভাগ্য ভালো তুই আমাকে চিনোস না। তাই ভুল করেছিস। নইলে তোকে জুতা খুলে জুতার বাড়ি দিতাম। তাছাড়া আজকে নতুন মুজা পরে এসেছি। জুতা খুললে মুজায় ময়লা লেগে যাবে। তোকে মেরে আমি আমার মুজা নষ্ট করবোনা। আমি যখন ছেলেটির সামনে এভাবে কথা বলছিলাম। ছেলেটি এমনভাবে কাঁপতেছিল যে, ভেতরে ভেতরে আমি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। তাড়াতাড়ি করে আমি আমার সাইন্সের রুমে গিয়ে আমার সব বান্ধবীদেরকে নিয়ে অনেক জোরে জোরে হেসেছিলাম। হাহাহা। আজ আবারও মনে পড়ে গেল। হাহাহা। 🤣🤣

হাহাহা।মজা পেলাম।

হা হা হা, দারুন বলেছেন আপু। একেবারে ব্যাপক বিনোদন পাইলাম 😂😂।

ছেলেটির অন্তর খুব ভালোবাসা ছিলো তবে সাহস ছিল না । তাই সে কোন কিছু বলতে পারল না। গল্পটি মজার হলেও ছেলেটির জন্য কষ্ট লাগছে।

শিক্ষক: বলতো, ‘Honesty is the best policy’ এর অর্থ কী?
ছাত্র: স্যার, সত্য বলাই সর্বদা ভালো নীতি।
শিক্ষক: খুব ভালো! এবার বলো, জীবনে কখনো সত্য বলেছো?
ছাত্র: হ্যাঁ স্যার, একবার বলেছিলাম।
শিক্ষক: কবে?
ছাত্র: পরীক্ষার হলে, স্যার! পাশের বন্ধু জিজ্ঞেস করেছিল, "তোর পড়া হয়েছে?" আমি বললাম, "সত্যি বলছি, একদম হয়নি!"

হাহাহা।।।

জীবনের একমাত্র সত্যি পড়া একদম হয়নি,হাহাহা।

শিক্ষক: বল তো, সবচেয়ে বেশি তাপ কোন জিনিস ধারণ করতে পারে?

ছাত্র: স্যার, আমার খালা!

শিক্ষক: কি বললি? মাথা ঠিক আছে?

ছাত্র: হ্যাঁ স্যার! গতকাল খালাকে বললাম, "আপনার বয়স কত?" তারপর থেকে এখনো গরম হয়ে আছেন!

ছাত্রের উত্তর একদম ঠিক আছে।

এজন্যই তো খালা দের বয়সে জিজ্ঞেস করতে নেই।

হাহাহা।,

আমাদের ক্লাসের এক ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করতো।একদিন ছেলেটা তার বন্ধুর মাধ্যমে মেয়েটাকে চিঠি দেয়।মেয়েটা ভেবেছে যে চিঠি দিয়েছে সেই তাকে পছন্দ করে। পরে ছেলেটার বন্ধুর সাথেই মেয়েটার প্রেম হয়ে যায়। আর ছেলেটা ছ্যাকা খেয়ে যায়,হাহাহা।