আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ২৯steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

বৃষ্টি স্নান নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@rex-sumon

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বৃষ্টির দিনে দুজন লোক মুখোমুখি এমন এক ইট বিছানো রাস্তায়, যেখানে একসঙ্গে একজনের বেশি হাটা যায় না। দুইজনের মধ্যে কে কাদায় নেমে পথ ছেড়ে দেবে এই নিয়ে দ্বিধা।

১ম জন: আপনি পথ ছাড়ুন। নইলে ঐদিন যা করেছি আজও কিন্তু তেমন করবো!

২য় ব্যক্তি ভয়ে রাস্তা থেকে কাঁদায় নেমে পথ ছেড়ে দিলো।

১ম ব্যক্তি পার হয়ে চলে গেলে দূর থেকে ২য় ব্যক্তি জানতে চাইলো, ‘ভাই, ঐদিন কী করেছিলেন?’

১ম ব্যক্তি: আজ আপনি যেটা করলেন।

হাহাহা । এটা কাজ হল দেখো তো দেখি 😅

আরিফ ভাই সদ্য বিয়ে করেছে। হাতে তখনো মেহেদির চিহ্ন। একদিন তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। আর ভাবির পিৎজা খেতে মন চাইলো। কি আর করার! কোন মতে একটি নামি পিজার দোকানে দৌড়ে গিয়ে ছাতা গুটাতে লাগলো মন খারাপ করে। এমন সময় সেলসম্যান পিজার বক্স তার হাতে দিতে দিতে প্রশ্ন করল-

সেলসম্যান: আপনি নতুন বিবাহিত মনে হচ্ছে...
আরিফ ভাই: হুম, না হলে কোন মা তার ছেলেকে এই কেয়ামতের মধ্যে বাইরে পাঠায়! তা-ও একটা পিৎজার লাইগা?

আরিফ ভাইয়ের এই কষ্টের জন্য আমরা সবাই সুখে মর্মাহত,হা হা হা।

আরিফ ভাইয়ের জন্য এক বালতি সমবেদনা ।🤣🤣🤣

কৈশোর বয়সে একবার বন্ধুদের সাথে নৌকায় করে বিলে ভ্রমণ করতে গেছিলাম। তুলনামূলক ছোট একটি নৌকা নিয়ে কয়েকজন বন্ধু গেছিলাম। সময়টা ছিল বর্ষাকাল। বিল ভ্রমন করে বাড়ি ফেরার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রচন্ড জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কোন উপায় ছিল না তাই সবাইকে ভিজে যেতে হয় কিন্তু সমস্যা হল বৃষ্টি থামার নামই নিচ্ছিলো না। এদিক দিয়ে নৌকায় জল ভরে যাচ্ছিল তাই দেখে আমরা বন্ধুরা মিলে নৌকা থেকে জল ফেলে দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করতে লাগলাম। সেই সময় নৌকা ব্যালেন্স হারিয়ে বিলের মধ্যে ডুবে যায়। আমরা কি করবো কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে নৌকা রেখে সাঁতরে নিকটবর্তী একটি ঘেরের পাড়ে গিয়ে উঠি। সে এক অদ্ভুত কান্ড । তারপর চার-পাঁচ ঘন্টা আমরা ওই ভাবেই ঘেরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকি। পরে কয়েকজন লোক বিলে এসে আমাদের এই অবস্থায় দেখে। তারা আমাদের সব কথা শুনে জল থেকে নৌকা উঠিয়ে দেয় এবং আমাদের বাড়িতে আসতে সাহায্য করে।

আরেব্বাস!! একদম সেম ঘটনা তো আমার সাথেও ঘটেছিল। কিন্তু আমরা ভয়ে নৌকা রেখে চলে এসেছিলাম ।

দাদা আমাদের নৌকা রেখে বাড়ি যাওয়ার কোনো উপায়ও ছিল না কারণ চারপাশে ছিল অথৈ জল । যদিও কাছাকাছি একটা ঘেরের উঁচু পাড় দেখতে পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েই আশ্রয় নিয়েছিলাম নৌকা ফেলে রেখে।

ঘরের ভিতরে বন্ধুরা মিলে তাস খেলছে। একজন উঠে বলল, এক মিনিট আমি ছোট কাজটি সেরে আসি।

সে ফিরে এলে দেখা গেল, তার জামা প্যান্টে পানির ছাট লেগে আছে।

সবাই কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল, কিরে! বাইরে বৃষ্টি হয় নাকি?

ছেলেটি বলল, না, তবে প্রচণ্ড বাতাস,হা হা হা।🤣🤣🤣

বুঝলে বুঝ পাতা না বুঝলে তেঁজ পাতা,হা হা হা।

এটা কোন কাজ হলো , দেখো তো দেখি।🤣

এইযে আজকে বৃষ্টি হলো তখন আমি ছাদে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমার চা খাওয়ার জন্য পানি রাখছি, বৃষ্টির পানির চা অনেক মজা। যখন বৃষ্টি হয় আমি বেলকনি থেকে হাত বারিয়ে বৃষ্টির পানি ধরি, বৃষ্টির যে ছিট আসে ভাল্লাগে এটা অনেক, আকাশের দিকে তাকিয়ে মহান আল্লাহর কাছে নিজের ফরিয়াদ জানাই, কারন আল্লাহ খুশি হলে বৃষ্টি দেন ❤️

এটা তো জানা ছিল না। তাহলে বৃষ্টির পানির চা খেতে হবে তো একদিন। আপনার অনুভূতিটা ভালো লাগলো।

আমার এক বান্ধবী শুনেছিলাম সে কারো থেকে কিছু নেই না।একদিন বৃষ্টির দিনে আমাদের বাড়ি এসেছিল, কিন্তু ছাতা নিয়ে আসেনি।আমার ছাতাটা নিয়ে গেছে, আজ ১ বছর হয়ে গেল বান্ধবী আর দেখা করেনি 🙂।

এটা একদম ঠিক,,, বান্ধবীরা কিছু নিলে তা কখনো আশা করা যায় না। 🥴

হ্যাঁ আপু 🙂🙂🤧🤧।

ওরে বাপরে ,মেয়েরা বুঝি এরকম 😅

সব মেয়েরা না,🤧🤧🤧 কিছু কিছু মেয়েরা।

ওটা ফেরত দিয়ে হয়তো ভুলে গেছে, ভুল হতেই পারে হি হি হি।

হুম ঠিক বলেছেন ভাই, হয়তো আমাকেও ভুলে গেছে ছাতার জন্যে 🙃😉।

তীব্র প্রতিবাদ জানাই 😅

🤧🤧🤧🤧

যখন ছোট ছিলাম আমি তখন মায়ের কড়া নির্দেশ ছিল বৃষ্টিতে স্নান করা নিষেধ। কিন্তু গরমের দিন আমার গায়ে ছোট ছোট ঘামাচি বের হতো কেউ কেউ বলতে যে, বৃষ্টির জলে স্নান করবি দেখবি ঘামাচি মরে যাবে। তাই আর কি ঘামাচি মারার জন্য বৃষ্টি আসলেই স্নান করতাম। আর ঘামাচি মারার বাহানা দিয়ে মাকে ম্যানেজ করে নিতাম। আসলে তো বৃষ্টির জলে ঘামাচি মরে না এটা বুঝতাম। তারপরেও বৃষ্টি চলে স্নান করে ঘামাচি মারার চেষ্টা করতাম প্রায় দিনই। 🤓😎🙃

এক বৃষ্টির দিনে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা জানালার পাশে বসে ছিলেন। তিনি একজনকে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দ্রুত দৌড়ে যেতে দেখলেন। হোজ্জা তাকে থামিয়ে বললেন, বৃষ্টি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি। এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিও আল্লাহর নিয়ামত। সেই নিয়ামত এভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

হোজ্জার কথা শুনে লোকটি লজ্জিত হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে রওনা হলো। এর কয়েকদিন পর আবার বৃষ্টি নামল। তুমুল বৃষ্টি। এবার দৃশ্যপট উল্টো। লোকটি জানালা দিয়ে দেখল, হোজ্জা বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে যাচ্ছে।

লোকটি হোজ্জাকে ডেকে বলল, আরে তুমিই তো সেদিন বললে, বৃষ্টি খোদার নিয়ামত। আজ সেই নিয়ামত ফেলে তুমিই পালিয়ে যাচ্ছ?

হোজ্জা কিন্তু লোকটির কথায় থামল না। বরং দৌড়াতে দৌড়াতেই বলল, হ্যাঁ, আমি এখনও তাই বলছি। খোদার সেই নিয়ামত কি পা দিয়ে মাড়ানো উচিত? এ জন্যই তো দ্রুত বাড়ি যাচ্ছি।