আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৩৫steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

বর্ষাকাল নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@rex-sumon

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বৃষ্টির দিনে সুমন ভাইয়া ও হাফিজ ভাইয়া মুখোমুখি এমন এক ইট বিছানো রাস্তায়, যেখানে একসঙ্গে একজনের বেশি হাটা যায় না। দুইজনের মধ্যে কে কাদায় নেমে পথ ছেড়ে দেবে এই নিয়ে দ্বিধা।

সুমন ভাইয়া: আপনি পথ ছাড়ুন। নইলে ঐদিন যা করেছি আজও কিন্তু তেমন করবো!

হাফিজ ভাইয়া ভয়ে রাস্তা থেকে কাঁদায় নেমে পথ ছেড়ে দিলো।

সুমন ভাইয়া পার হয়ে চলে গেলে দূর থেকে হাফিজ ভাইয়া জানতে চাইলো, ‘ভাই, ঐদিন কী করেছিলেন?’

সুমন ভাইয়া: আজ আপনি যেটা করলেন।

হা হা হা। হাফিজ ভাইয়া এইটা কি করলো।

  ·  2 years ago (edited)

আমার মনে হয়,ওইদিন সুমন ভাইয়া কাঁদায় নেমে দাঁড়িয়েছিল।☺️☺️

হ ঠিক ধরছেন। 😁

☺️☺️

নিরীহ ও নরম দিলের মানুষতো!

হি হি☺️☺️.

বর্ষাকালে একদিন আমি এবং আমার এক বড় ভাই হেঁটে আসছিলাম সেওলা পড়া একটি রাস্তা দিয়ে । আমি বড় ভাইয়ের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর বড় ভাই আমার পিছন পিছন গান গেয়ে আসতেছিলো।পুরো রাস্তা শ্যাওলা পড়া ছিল যার কারণে খুব কেয়ারফুলি হাঁটছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে বড় ভাইয়ের গান আর শোনা যাচ্ছিল না আওয়াজটা বন্ধ হয়ে গেল। চিন্তা করলাম কই গেল বড় ভাই আওয়াজ শুনি না কেন। এই ভেবে পেছনে তাকাই।তখন দেখতে পাই বড় ভাই স্লিপ খেয়ে জমিতে পড়ে শরীরে কাদা লেগে গেল।তখন হাসতে হাসতে তো অবস্থা খারাপ।

বৃষ্টির রাত হটাৎ একটা শব্দ ক্রমাগতভাবে আসতে লাগলো- ‘ধাক্কা দাও‘
মালেক সাহেব দরজা খুলে বাহিরে এসে বললেন কে ওখানে?
: এদিকে আসেন।
মালেক সাহেব সামনে এগিয়ে গেলেন।
: বাগানের ভিতর আসেন।
মালেক সাহেব বাগানে ঢুকে পড়লেন, ‘ভাই, আপনাকে দেখছি না তো!’
: ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।
মালেক সাহেব টবের পাশে গেলেন।

: ভাই ,আপনার মত মানুষ হয় না। বৃষ্টির মাঝেও উপকার করতে আসছেন। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। বৃষ্টির মাঝে অনেকক্ষণ দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি। কেউ ধাক্কা দিতে আসছে না।

এইডা কিছু হইলো দেখতো দেখি .😁😁

প্রায় চার বছর আগের কথা হবে। কোন এক বর্ষাকালের সন্ধ্যায় আমি এবং আমার এক বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। আমাদের এইখানে কিছু কিছু এলাকা আছে যা একটু বর্ষা হলেই ডুবে যায় অর্থাৎ রাস্তায় অনেকটা জল চলে আসে। যাইহোক এরকম একটি রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ করেই সামনে একটি শোল মাছ দেখতে পাই । দুপুরের দিকে বেশ জোরালো বৃষ্টি হয়েছিল সেই জন্য সন্ধ্যার সময়ও রাস্তার উপরে যথেষ্ট জল ছিল । ওই শোল মাছ দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ কোন কিছু না ভেবেই দৌড়ে যাই শোল মাছ ধরতে। দৌড় দিতে গিয়ে আমি জলের মধ্যে পড়ে যাই কিন্তু শোল মাছটাকে আমি ধরেই ফেলি। বন্ধুর বাড়ি ওই জায়গা থেকে অনেকটা কাছে থাকায় আমি তার বাড়ি গিয়ে এই শোল মাছটা দিয়ে আসি। আমার এইভাবে শোল মাছ ধরার ঘটনাটি অনেকেই জেনেছিল এবং অনেকেই আমার মজা উড়িয়েছিল। সবাই ঠিক এইভাবে ব্যঙ্গ করতো , "ভাই আমাকে একটা শোল মাছ ধরে দিবি" ? - এই বলে।

শিক্ষকঃ কী ব্যাপার! তুমি গতকাল স্কুলে আসনি কেন?

ছাত্রঃ বৃষ্টির জন্য আসতে পারিনি।

শিক্ষকঃ বৃষ্টি, বলো কী? আরে একে তো শীতকাল তার উপর গতকাল বৃষ্টি হলে তো আমরাও টের পেতাম!

ছাত্রঃ টের পাবেন ক্যামনে স্যার! এই বৃষ্টি তো সেই বৃষ্টি নয়। বৃষ্টি হচ্ছে আমার খালাতো বোন। ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসেছে। তাই ওকে ফেলে স্কুলে আসা হয়নি।

বৃষ্টির দিনে দুজন লোক মুখোমুখি এমন এক ইট বিছানো রাস্তায়, যেখানে একসঙ্গে একজনের বেশি হাটা যায় না। দুইজনের মধ্যে কে কাদায় নেমে পথ ছেড়ে দেবে এই নিয়ে দ্বিধা।

১ম জন: আপনি পথ ছাড়ুন। নইলে ঐদিন যা করেছি আজও কিন্তু তেমন করবো!

২য় ব্যক্তি ভয়ে রাস্তা থেকে কাঁদায় নেমে পথ ছেড়ে দিলো।

১ম ব্যক্তি পার হয়ে চলে গেলে দূর থেকে ২য় ব্যক্তি জানতে চাইলো, ‘ভাই, ঐদিন কী করেছিলেন?’

১ম ব্যক্তি: আজ আপনি যেটা করলেন

Posted using SteemPro Mobile

বর্ষাকালের এক বৃষ্টির দিনে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা জানালার পাশে বসে ছিলেন। তিনি একজনকে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দ্রুত দৌড়ে যেতে দেখলেন। হোজ্জা তাকে থামিয়ে বললেন, বৃষ্টি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি। এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিও আল্লাহর নিয়ামত। সেই নিয়ামত এভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।

হোজ্জার কথা শুনে লোকটি লজ্জিত হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গন্তব্যে রওনা হলো। এর কয়েকদিন পর আবার বৃষ্টি নামল। তুমুল বৃষ্টি। এবার দৃশ্যপট উল্টো। লোকটি জানালা দিয়ে দেখল, হোজ্জা বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে যাচ্ছে।

লোকটি হোজ্জাকে ডেকে বলল, আরে তুমিই তো সেদিন বললে, বৃষ্টি খোদার নিয়ামত। আজ সেই নিয়ামত ফেলে তুমিই পালিয়ে যাচ্ছ?

হোজ্জা কিন্তু লোকটির কথায় থামল না। বরং দৌড়াতে দৌড়াতেই বলল, হ্যাঁ, আমি এখনও তাই বলছি। খোদার সেই নিয়ামত কি পা দিয়ে মাড়ানো উচিত? এ জন্যই তো দ্রুত বাড়ি যাচ্ছি।

প্রিয় বন্ধুরা, আমাকে অনুসরণ করুন. হৃদয়ের অন্ত: স্থল থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি.

বর্ষাকালে বৃষ্টির কারনে রাস্তাঘাট পিচ্ছিল থাকে। একদিন একটি চার পাচঁ বছরের বাচ্ছা পিচ্ছিল রাস্তায় পড়ে গেছে। সে পড়ে ব্যাথা পেলেও কেউ না দেখায় না কেঁধে উঠে গেছে। উঠার পড়ে একজন বললো ব্যাথা পাওনি তো...? আর অমনি হলো শুরু.... অ্যা...........অ্যা......... অ্যা........, হা হা হা।😁😁😁

গ্রামের চৌচালা ঘর। বন্ধুরা মিলে তাস খেলছে। একজন উঠে বলল, এক মিনিট, ছোট কাজটি সেরে আসি।

সে ফিরে এলে দেখা গেল, তার জামা প্যান্টে জলের ছাট লেগে আছে।

সবাই কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল, কিরে! বাইরে বৃষ্টি হয় নাকি?

ছেলেটি বলল, না, তবে প্রচণ্ড বাতাস।