এবিবি ফান প্রশ্ন- ৫২৬ || শৈশবে রমজানের মজার কোন ঘটনা।

in hive-129948 •  5 days ago 

Fun Cover-2.png

আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।

আজকের প্রশ্নঃ

শৈশবে রমজানের মজার কোন ঘটনা।

প্রশ্নকারীঃ

@moh.arif

প্রশ্নকারীর অভিমতঃ

তিন বেলা ভাত খেয়ে , মনে করতাম তিনবার রোজা রেখেছি ।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
  • অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
  • উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
  • এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner_3_years.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শৈশবে রমজান মাসে রোজা রেখে নদীর মধ্যে ডুব দিয়ে বেশি করে পানি খেতাম। আমার সাথের ছোট ছোট বন্ধু বান্ধবীরা সবাই আমাকে বলতো যে নদীর পানিতে নাকি ডুব দিয়ে পানি খেলে রোজা ভাঙ্গে না। আমিও বোকার মত নদীতে ডুব দিয়ে পানি খেতাম। হা হা হা 🤭🤭। তাছাড়া বড়রা অনেক সময় বলতো যে,বারবার খাবার খেয়ে, বেশি করে কলসে অথবা গ্লাসের পানিতে ফু দিলে নাকি রোজা হয়। আমি ও বারবার খাবার খেয়ে বেশি করে কলসের মধ্যে ফু দিতাম। যতগুলা ফু দিতাম আমি ভাবতাম আমার বুঝি ততগুলোই রোজা হচ্ছে। 😆😆😆😆। আর আমি সবার কাছে বলতাম আমার একদিনে পাঁচশত রোজা হয়েছে। সবাই আমার কথা শুনে অনেক হাসতো।😆😆😆😆।

হা হা হা। যতগুলো মজার ঘটনা পড়লাম আপনারটা এখনও পর্যন্ত সেরা। আমি তো আসলে সব নিয়মই কিভাবে ভাঙা যায় সেদিকেই বেশি নজর দিই৷ এখনও তাই। আপনি দারুণ বুঝেছিলেন আপু।

শৈশবে রমজানের মজার কোন ঘটনা।

আমি তো ভাবতাম, দুপুর বারোটা বাজে ভাত খেয়ে ফেললে রোজা অর্ধেক হয়, আর এভাবে দুই দিনে একটা রোজা হয় 😁🤣😃।

ভাইয়া আমিও এমন ভাবতাম, হাহাহা।

শৈশবে রমজানের মজার কোন ঘটনা।

প্রতিদিন সেহেরির সময় খাবার খেয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপোস থেকে অর্ধেক রোজা রাখতাম এবং পরের দিন আবারও একইভাবে অর্ধেক রোজা রাখতাম। এভাবে ২ দিনে ১ টা রোজা রাখতাম আর কি 😂😂। তখন রোজা রাখতে বেশ আরাম লাগতো। ফাঁকে ফাঁকে একটু পানিও পান করে নিতাম 🤣🤣। সেই দিনগুলো কোথায় যে হারিয়ে গেলো।

হা হা হা। জল জীবন। জানেন তো শরীরকে কষ্ট দিয়ে কিছু করতে নেই। তাই যখন যতটা পেরেছেন ততটাই করেছেন। কোন দোষ দেখছি না এতে। তবে যত বয়স বাড়বে তত ওই দিনগুলোই সোনার দিন মনে হবে।

সেই দিনগুলো খুব মিস করি আপু। সেই দিনগুলো সত্যিই মধুর ছিলো।

আমার দাদা সবজি ব্যবসা করতো। গ্রামের বাজারে সবজি বিক্রিয় করার সময় আমিও দাদার সাথে বাজারে যেতাম। একদিন আমি রোজা রেখেই তিনটার দিকে বাজারে গিয়েছি, গিয়ে দেখি হরেক রকম ইফতারি সাজিয়ে বিক্রয় করছে। দাদাকে বললাম টাকা দেও ইফতারি কিনবো, দাদা বললো ইফতারির সময় হোক তখন কিনে দিবো। কিন্তুু আমি বললাম ইফতারির সময় হতে হতে সবাই নিয়ে শেষ হয়ে যাবে, পরে আর পাবো না। অবশেষে আমার জোরাজোরির কারনে দাদা টাকা দিলো। আমি ইফতারি কিনে এনে দাদার পিছনে রাখলাম আর একটু পর পর ইফতারির দিকে তাকায়। ইফতারির ঘ্রানে আমি আর দেরি সহ্য করতে পারলাম না। দাদা পাঁচটার সময় আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেছে৷ আর আমি সেই সময় মুড়ি বাদে সব ইফতারি একাই পেটে চালান করে দিলাম,হা হা হা।😅😄

হা হা হা। খাবারের লোভ যে ভীষণ লোভ তা বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া রোজা রেখে আপনি তখন বুভুক্ষু মানুষ৷ তাই এমনটা হতেই পারে।

আমি ভাবতাম ইফতার মানে আলাদা কিছু,তো এক মুসলিম বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণে গিয়েছিলাম ইফতার এর। আজান এর পর আন্টি ছোলাবুট,মুড়ি আর পেয়াজু এনে দিল। খাওয়াদাওয়ায় পর অনেক্ষণ বসে থাকি আর ভাবি ইফতার টা কখন দিবে।এদিকে লজ্জায় বন্ধুকে বলতেও পারি না। শেষে অনেকক্ষণ পর বলেই ফেললাম ভাই ইফতার টা কখন খাওয়াবি।বন্ধু তো হেসেই খুন,সেই সাথে সবাইকে বলে দিছে। সবাই হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ। এখনো সবাই ইফতার করতে বসলে মজা নেয়।

হা হা হা। এটা তো দারুণ। আমি হো হো করে হেসে উঠেছি।

রমজানের প্রথম রোজা ও শেষ টি করলে সব গুলো করা হয়ে যায় এমন ধারনা ছিলো😊

গোসল করতে গিয়ে সবার আড়ালে পানি খেয়ে নিতাম যে কত বার। আর সবাইকে বলতাম যে রোজা আছি।

হা হা হা। আপু আমি ভাবি বিনা জল খেয়ে মানুষ যে এভাবে উপোস থাকে তাতে তাদের শরীর খারাপ করে না?

শৈশবের রমজান মাসে যখন বেশি পানি পিপাসা লাগতো তখন সবার আড়ালে একটু পানি খেতাম , আর মনে মনে ভাবতাম বেশি খেলে রোজা টা বেশি ভেঙ্গে যাবে তাই অল্প খেলে ভাঙবে না আর কেউ তো দেখবে না।

ছোট বেলায় রোজা রেখে চুপি চুপি পানি খেতাম🤭🤭।বিশেষ করে গোসলের সময় পানি খেতাম কেউ বুঝতেই পারতো না।🤣🤣🤣

শৈশবে রমজান মানেই ছিল দুপুর ১টা বাজলেই অর্ধেক রোজার গর্ব, লুকিয়ে খেজুর খাওয়া, তারাবির নামাজে দুষ্টুমি, আর ইফতারের আগে বারবার ঘড়ি দেখা! এখনো সেই মধুর স্মৃতিগুলো মনে পড়লে মন ভরে যায়।

ছোটবেলায় কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ঘরে এসে জিজ্ঞাসা করতাম আজান কবে দিবে। আর আম্মুর বকা শুনতাম। সেই মজা ছিল তখন যেটা এখন আর নেই।

নিয়ত একটাই থাকতো আল্লাহ,এইবারের মতো মাপ কইরা দাও।কাল থেকে আর কিছুই চুরি করে খাবো না।🤲

সবচেয়ে মজার বিষয় ছিলো ভাইবোনদের সাথে ইফতারি নিয়ে কাড়াকাড়ি করা। আর বাসায় বাসায় ইফতার দেয়া। সেই সাথে গামলা ভর্তি করে মসজিদের ইফতার নিয়া যাওয়া।

মনে মনে ভাবতাম সবার হয় ৩০ টা রোজা আর আমার হয় ৬০ টা কারন দুপুরের দিকে আরো একবার সাহরী খাওয়ার জন্য।