এবিবি ফান প্রশ্ন- ৪৬৮ | শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

in hive-129948 •  17 days ago 

Fun Cover-2.png

আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।

আজকের প্রশ্নঃ

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

প্রশ্নকারীঃ

@mohamad786

প্রশ্নকারীর অভিমতঃ

কারণ, শরীর ভাবে সে কোনো আর্কটিক অভিযানে যাচ্ছে, আর গরম পানির বদলে স্রেফ তুষার ঝড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে!

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
  • অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
  • উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
  • এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner_3_years.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

শীতকালে গোসলের কথা শুনলে ছেলেদের শরীরের হাড় কেঁপে উঠে না ভাই, বরং শুধুমাত্র মেয়েদের শরীরের হাড় কেঁপে উঠে😂😂। সেজন্য শীতকালে মেয়েরা মাসে একদিন গোসল করে এবং ছেলেদেরকে সারা মাস মেয়েদের শরীরের দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়🤣🤣।

ভাই এটা কি বললেন ভাই 🤣🤣🤣🤣 সেই বলছেন।

মনে হয় ছেলেদের হাড় অনেক শক্ত। এই কারণে শীতকালে তারা ভয় পায় না তাই মনে হয়।

ছেলেদের হাড় তো অবশ্যই অনেক শক্ত। তাছাড়া মেয়েদের চেয়ে তো ছেলেদের শক্তিও অনেক বেশি হা হা হা।

আমি তো জানি ছেলে শীতের পুরো চার মাসই গোসল করে না ভাই🤣

একদম ভুল জানেন আপু,ছেলেরা তীব্র শীতেও প্রতিদিন গোসল করে। এমনকি বাহিরের তাপমাত্রা মাইনাস ২৫/৩০ ডিগ্রী থাকলেও।

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

শীতে শরীর সবসময়ই উষ্ণতা চায় কিন্তু হঠাৎ হিমশীতল পানি হঠাৎ হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। এই কারনে মেয়েরা গোসল করতে চায় না 😀

ভাইয়া মেয়েদের থেকে ছেলেরা গোসল করতে বেশি ভয় পায়। শীত সবার জন্য সমান। এই কারণে নিজের দোষ মনে হয় মেয়েদের কাঁধে তুলে দিচ্ছেন।

হা হা হা 😄
ব্যাপারটা বেশ মজার

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে কারণ, হাড়গোড়ের মিটিং বসে যায় এই ভেবে "গোসল মানে আবার ঠান্ডা পানির অত্যাচার, হাহাহা। আমাদের কি এই বয়সে সাঁতার শেখানো হবে নাকি?" 🛁😂

আর শরীরের মন তো বলে, "গোসল করানোর প্ল্যান বাদ দাও, আমাদের তো এখন কম্বলের নিচে রিটায়ারমেন্ট দরকার!"

একদম যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন ভাই 🤣🤣

এটা একেবারে সত্য বলেছেন ভাইয়া। তখন তো কম্বল শুধু আমাদেরকে ডাকতে থাকে।

এই অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই উপায়। একদম গোসল বন্ধ করে দিতে হবে ভাইয়া। গোসলও করতে হবে না আর ঝামেলাও নেই। 😆

গোসল মানে আবার ঠান্ডা পানির অত্যাচার কথাটি একদম বাস্তব বলেছেন। যুক্তিটি ভালই লাগলো ভাইয়া।

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

সাপ আর বেজির মধ্যে যেরকম শত্রুতা, তারা যেমন একে অপরের নাম শুনতে পারে না একেবারেই। ঠিক তেমনি ভাবে শীতের সময় মানুষ পানির সাথে ততটাই শত্রুতা করে ফেলে😅😁। যার কারণে গোসলের নাম শুনলে এরকম হয় 🤣🤣।

সাপ এবং বেজির শত্রুতা সবসময় লেগে আছে আপু। এটা কিন্তু একদম দারুন উদাহরণ দিয়েছেন। অনেক চমৎকার ছিল।

আপু আপনার যুক্তি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। অনেকে মনে করে শীতকালে পানির সাথে মনে হয় শত্রুতা আছে।

শীতকালে স্নান করি না ভাই। তাই এসবের কোন জ্বালা নেই। সেই কোটা টা গরম।কালে তিনবার স্নান করে পুষিয়ে নিই।😜

তারমানে পুরো শীতকালে একবারও গোসল করেন না আপু 🤭।

আরে আপু আপনি তো একেবারে ভালোই আছেন। স্নান করার ঝামেলাও নেই আর চিন্তা করারও দরকারও নেই। 😆

কারন শরীর তখন ভাবে এটাই প্রকৃত সময় অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ার।তাই শীতকালে শরীর আগুনে ঝাঁপ দিতে রাজি কিন্তু পুকুরেল কিংবা জলে নয়।☺️☺️

আপু শীতকালে মানুষ পানিকে যতটুকু ভয় পায় মনে হয় ওই সময় বিষাক্ত সাপকে ভয় পাই না ।

হি হি,ঠিক বলেছেন আপু।

ভাই সব ভালো লাগে কিন্তু শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন জানি মন খারাপ হয়ে যায়।

কারণ শীতকাল আসলেই মানুষের হাড় কাঁপে। মানুষ যখন গোসল করতে যায় তখন ঠান্ডা পানির ছোঁয়ায় শীত লেগে যায় যার কারণে শরীরের সাথে সাথে শরীরের হাড় গুলো কাপতে শুরু করে।

এতোদিন তো শরীর গরম ছিল। তাই আরামছে গোসল করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন শীত, পানি ঠান্ডা। আর ঠান্ডার মধ্যে আরও ঠান্ডা পানি! সমান সমান ক্রিয়ায় বিকর্ষণ হয়ে যায় 😂। তাই শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই শরীরের প্রতিটা হাড় কেপেঁ উঠে।

শীতকালে এমনিতেই অবস্থা খারাপ। আর যদি গোসলের কথা মনে হয় তাহলে তো মনে হয় ঠান্ডা আরো বেশি হয়ে যায়।

জি আপু 😁

এক্স গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ডের কথা মনে পড়ে যায় নিশ্চই। 😆

তাইতো হাড় কেঁপে উঠে।

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

পানি ছুঁয়ে দিলে হায় আমার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কি যে হয়ে যায়😄 । কারণ শীতের সময় উষ্ণতা আর ঠান্ডা মাঝে ভালোবাসার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়💔 ‌। শীতের সময় গোসল করতে গেলে ঠান্ডা পানির সাথে দেখা হয়ে যাবে এই ভেবে হৃদয় শিহরিত হয়ে ওঠে। তার সাথে সাথে শরীরে প্রতিটা হাড় কাঁপতে থাকে। কারণ শীতের সময় সবাই ঠান্ডা কে ব্যাকআপ করে। ঠান্ডা পানি শরীরে লাগাল কথা ভাবতে শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে।

বাপরে বাপ আপনি তো দেখি একদম দারুন উত্তর দিয়েছেন ভাইয়া। অনেক ভালো ছিল উত্তরটি। 😆

শীতে পানির গোসলে আনন্দ আবার গোসলে ভয়। আর যে যেভাবে নিবে সেভাবে শীতকালের গোসল ধরা হবে।

শীতকালে পানি মনে হয় বরফ তাই গোসল করতে একটু ভয় লাগে।

গরম পানি হলে তো গোসল করতে ভালোই লাগে পরে যখন পানি শেষ হয়ে যায় তখন শীত লাগে আরকি

এটা দারুণ বলেছেন আপু।

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই কেন শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠে?

শীতের সময় সবাই গোসল করাকে একটু বেশি ভয় পাই। তাইতো অনেকে সপ্তাহ পর গোসল করে। আর গোসলের নাম শুনলে শরীরের প্রত্যেকটা হাড় একেবারে কেঁপে উঠে।

মনে হয় শীতের দিনে পানির মধ্যে কেউ বরফ রেখে দেয়।

শীতকালে পানিতে গোসল করতে অনেকের এমনিতে শরীরে কাপ এসে যায়। ওই সময় যাদের দাঁতগুলো নরম ওই দাঁতগুলো নিচে পড়ে যাবে। আর শীতকালে বীরপুরুষ ও গোসল করতে গিয়ে থর থর করে কাঁপে। আর পানির মধ্যে দুই মিনিটের ওপর তিন মিনিট থাকতে কষ্ট হয়। এই কারণে হাড় কেঁপে বেশি।

সুখবাসে শরীর চায় সুখ ঠান্ডা যেটা অপছন্দ সেজন্যই শীতের সময় গোসল করতে গেলে আর কেঁপে ওঠে।

গিজার আবিষ্কার এর পূর্বের কাহিনী... আমাদের তখনকার পূর্বপুরুষেরা শীতকালে প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে গিয়ে এমন শিক্ষা পেয়েছিলেন যে তারা তাদের ইচ্ছেশক্তি দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জিনেই এই বিষয় টি গেঁথে দিয়েছেন। একারণেই পুরো বিশ্বজুড়েই শীতপ্রধান দেশে বা শীতকালে গোসলের সাথে হাড় কাপানো ভয়ের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আছে।

শীতকালে গোসলের কথা শুনলেই শরীরের প্রতিটা হাড় কেঁপে উঠার কারণ হল ঠান্ডা পরিবেশে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যখন আমরা শীতকালে গোসল করি, তখন তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এবং আমাদের ত্বক ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, যার ফলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।

এতে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে যায়, যাতে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় আমাদের পেশীগুলি সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং শীতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাঁপুনি শুরু হয়। এই কাঁপুনি শরীরের তাপমাত্রা পুনরায় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যাতে শরীর সুস্থ থাকে।

শীতকালে গোসল করতে গেলে আলাদা একটা মজা লাগে। বিশেষ করে শত্রুকেও এত ভয় পাই না শুধু ঠান্ডা পানিকে যতটুকু ভয় পাই। এই কারণেও কমবেশি সবাই শীতকালে হাড় কেঁপে উঠে। আবার অনেকে দেখা যায় গোসল না করে ভয়ে কাঁপে।