পেঁপের পুস্টি গুণ ও চাষ পদ্ধতি ( জাত, চারা উৎপাদন,সার প্রয়োগ,রোগ দমন,ফল স়ংগ্রহ)steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনার বাড়িতে থাকুন এবং COVID-19 থেকে নিরাপদ থাকুন, আপনার জীবন উপভোগ করুন।

আমার বাড়ির ছাদে ছয় মাস বয়স এর পেঁপের গাছ। ছবি টি তুলেছি আমার নতুন রিয়েলমি সি২১ মোবাইল দিয়ে।
IMG20211119151604.jpg

পুষ্টি মূল্য: পাকা পেঁপে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ একটি ফল। কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে পেপেইন নামক হজমকারী দ্রব্য থাকে।

ভেষজ গুণ: অজীর্ণ,কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, একজিমা, কিডনি ও পাকস্থলীর ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করে।

ব্যবহার: পাকা পেঁপে ফল হিসেবে এবং কাঁচা পেপে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।

উপযুক্ত জমি ও মাটি : উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি ভাল।

জাত পরিচিতি:
বারি পেঁপে-১ (শাহী পেঁপে): স্ত্রী ও পুরুষ ফুল আলাদা গাছে ধরে। চারা লাগানোর ৩-৪ মাস পর ফুল আসে। কান্ডের খুব নিচ থেকেই ফল ধরা শুরু হয়। প্রতিটি ফলের ওজন ৮৫০-৯৫০ গ্রাম। চারা লাগানোর ৩-৪ মাস পর ফুল আসে, ফুল আসার ৩-৪ মাস পর পাকা পেঁপে সংগ্রহ করা যায়। এ জাতটি প্রায় সার বছরই ফল দিয়ে থাকে।

চারা তৈরি: বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। পলিথিন ব্যাগে চার তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

চারা রোপণ: দেড় থেকে দুই মাস বয়সের চারা রোপণ করা হয়। ২ মিটার দূরে দূরে চারিদিকে ২ ফুট পরিমান গর্ত তৈরি করে রোপণের ১৫ দিন আগে গর্তের মাটিতে সার মিশাতে হবে। পানি নিকাশের জন্য দুই সারির মাঝখানে ৫০ সে.মি নালা রাখা দরকার। বানিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষের জন্য বর্গাকার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রতি গর্তে ৩ টি করে চার রোপণ করতে হয়।
বাড়ির ছাদে বড় ২০" টবে অথবা ২' চওড়া প্লাস্টিক এর ড্রামে ৪৫ দিনের পেঁপের চারা রোপণ করতে হবে।

ফুল আসলে ১ টি স্ত্রী গাছ রেখে বাকি গাছ তুলে ফেলা দরকার। পরাগায়ণের সুবিধার জন্য বাগানে ১০% পুরুষ গাছ রাখা দরকার।

IMG_20211212_074357.jpg

সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গাছে ১৫ কেজি জৈব সার, ৫৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ৫৫০ গ্রাম টিএসপি সার, ৫৫০ গ্রাম এমওপি সার, ২৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২৫ গ্রাম বোরাক্স সার এবং ২০ গ্রাম জিংক সালফেট সার একত্রে ভালভাবে প্রয়োগ করতে হয়। ইউরিয়া ও এমওপি সার ছাড়া সব সার গর্ত তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর পর গাচে নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমওপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি ১ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়। গাছে ফুল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ করা হয়।

অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা: ফুল হতে ফল ধরা নিশ্চিত মনে হলে একটি বোঁটায় একটি ফল রেখে বাকিগুলো ছিড়ে ফেলতে হবে। গাছ যাতে ঝড়ে না ভেঙ্গে যায় তার জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছ বেঁধে দিতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: চারা রোপণ এবং সার প্রয়োগের পর প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। খরা মৌসুমে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর হালকা সেচ দিতে হবে।

রোগ ব্যবস্থাপনা:
রোগের নাম: পেঁপের ড্যাম্পিং অফ রোগ দমন।
ভূমিকা: মাটিতে যে ছত্রাক থাকে তার দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত: চারা অবস্থায় অথবা বীজ গজানোর সময় হয়ে থাকে। বীজের অংকুর গজানোর সময় এ রোগের জীবাণু অতি সহজেই বীজ অথবা অংকুরকে আক্রমণ করে।
ক্ষতির নমুনা: এ অবস্থায় বীজ পচে যায় এবং চারা মাটির উপর বের হয়ে আসতে পারেনা। এভাবে অংকুর গজানোর আগেই পচন হতে পারে। চারা গজানোর পরেও জীবাণুর আক্রমণ ঘটে। এ পর্যায়ে চারার গোড়া বা শিকড় পচে গিয়ে আক্রান্ত চারা মাটিতে পড়ে যায় এবং মারা যায়। চারার বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ রোগের প্রকোপ কমে যায়।
অনুকূল পরিবেশ: বর্সা মৌসুমে ঢলে পড়া রোগের প্রকোপ খুব বেশি।
বিস্তার: বৃষ্টির পানিতে অথবা সেচের পানিতে এ রোগের জীবাণু ছড়ায়।
ব্যবস্থাপনা: গাছের গোড়ার পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা রাখা দরকার। রোগাক্রান্ত চারা গাছ মাটি থেকে উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। আক্রমন বেশি হলে রিডোমিল এমজেড-৭২ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর গাছের গোড়ার চারিদিকের মাটিতে প্রয়োগ করা দরকার। জিংকের ঘাটতির জন্য মোজাইক লক্ষণ দেখা দিলে গাছের গোড়ায় গাছপ্রতি ৫-১০ গ্রাম জিংক প্রয়োগ করলে এবং ০.২% জিংক গাছের পাতায় স্প্রে করলে এ সমস্যা কমে যায়।

ফসল তোলা: সবজি হিসেবে কচি ফল সংগ্রহ করা হয়। পাকানোর জন্য ফলের ত্বক হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে সংগ্রহ করতে হয়।

তথ্য সূত্রঃ sis.gov.bd

আমি স্টিমিটে প্রতিদিন একটি ভিন্ন ধরনের নতুন ধারণা নিয়ে পোস্ট করি, এবং এখানে আমি প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারি, এটি আমার জন্য প্রতিদিন একটি খুব আনন্দের দিন। আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি Steemit সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ৬ মাস বয়সের পেঁপে গাছে তো বেশ সুন্দর পেঁপে ধরেছে। দেখে খুবই ভালো লাগছে। পেঁপে খেতে খুবই মজা লাগে। তাছাড়া আপনি খুব সুন্দর করে পেঁপের পুষ্টিগুণ, লাগানোর পদ্ধতি পরিচর্যা উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়লে পেঁপে গাছের যত্ন নিতে কারো আর কোন সমস্যা হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ, পোস্ট টিতে ১টি আপ ভোট , শেয়ার ও রিস্টিম করে আমাকে আরো নতুন নতুন পোস্ট করতে উৎসাহিত করবেন

পেঁপে গাছের ড্যাম্পিং অফ রোগ দমন ব্যবস্থাপনা টি ভাই অনেক সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন, পেঁপে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি খাবার এবং এটি বারোমাসি পাওয়া যায়। পেপে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক পছন্দ করি। আমাদের কিছু পেঁপে গাছ রয়েছে যেগুলো পাকলে অনেক মিষ্টি লাগে। পেঁপে দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করে খাওয়া যায়, ভাই পেঁপে গাছ নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

ধন্যবাদ, আপ ভোট , শেয়ার ও রিস্টিম করে আমাকে আরো নতুন নতুন পোস্ট করতে উৎসাহিত করবেন

আপনার পোস্টের লেখাগুলো শতভাগই চৌর্যবৃত্তি করা।
এই ধরনের অ্যাক্টিভিটিজ আপনার পূর্বেও ছিল। আপনাকে পূর্বে একবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু আপনি একই ধরনের কাজ আবারও করেছেন। এজন্য কমিউনিটি থেকে আপনাকে ব্যান করা হচ্ছে।

কমিউনিটির নিয়মাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-29-sep-21

যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।

Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493

Source:

http://www.ais.gov.bd/site/ekrishi/9213f699-cefd-418d-9a47-fd2622d63c3d/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%AA%E0%A7%87