আমার বাংলা ব্লগঃঅতীতের স্মৃতিচারণ থেকে মেঘনা নদীর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য

আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছি।আজকে আমার এই পোস্টের আলোচনার বিষয় মেঘনা নদীর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে।তো চলুন শুরু করা যাক।

অতীতের স্মৃতিচারণে মেঘনা নদী

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ।এদেশে ভূমিতে প্রায় চারশতাধিকের বেশি নদী প্রবাহমান।আগে কৃষিকাজের পানির প্রধান উৎস্য ছিল এসব নদ-নদী।কিন্তু এখন গ্রীষ্মকালে নদীর পানি না পাওয়া এবং অনেক নদাইর বাক শুকিয়ে যাওয়ার কারণে চাষিরা বিকল্প পানির উৎসের দিকে আগ্রহ বাড়িয়েছে।

এদেশ অনেক নদীর সমাহার হলেও এর মধ্যে আমার গুটিকয়েকই আমার দেখা।আসলে ঘুরে বেড়ানোর অনেক ইচ্ছে থাকলেও সেভাবে ঘুরাঘুরি হয়নি।তবে ইচ্ছে আছে অনেক পড়ালেখা শেষ একদিন বাংলাদেশকে দেখবো।আশায় আছি এখনো সেই একদিনের।বরাবরই প্রকৃতি যেন আমাকে টানে আর সেই সাথে গোধুলী লগ্নের সময় যদি কোন নদীর পাড়ে হয় তবে অনুভূতিটায় অন্যরকম হয়।এরকমই একটা স্মৃতি জড়িয়ে আছে মেঘনা নদীর সাথে।ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুরে যাবার সময় আমার মেঘনা নদীর সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে আর এটাই আমার জীবনে প্রথম সুখানুভূতি হয়ে থাকে।তারপর প্রায় অনেকবারেই বিকেলবেলা মেঘনা নদীর তীরে হাঁটতে বের হতাম।

অন্য কারো চোখে বা অন্য সময় সকলের কাছে মেঘনার প্রকৃতি কেমন লাগে আমার জানা নেই।তবে আমার চোখে এই পরিবেশকে দেখে মনে হয় কোন শিল্পীর মায়াবী হাতের ছোঁয়ায় আকা এক মনোমুগ্ধকর ছবি।মেঘনার পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে যেন আমি সবকিছু ভুলে যেতাম।সব সময় মনে হতো এই প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে ফেলি নিজেকে।কিন্তু বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর যা আমাদের বেঁধে দিয়েছে এক নিয়মের শিকলে তাই ইচ্ছে না থাকলেও ফিরে আসতে হতো সেই বেঁধে দেওয়া একঘেয়েমি জীবনে।তারপরও কিছু স্মৃতি ক্যামেরাবন্দী করে নিয়ে আসতাম।যখন মনটা খুব খারাপ থাকতো বা একাকী মনে করতাম তখন এই ছবিগুলোই হতো আমার আনন্দের একমাত্র উৎস।তো চলুন আমার সেই সোনালী অতীতের কিছু স্মৃতিময় মেঘনা নদীর ছবি দেখে আসি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

মেঘনা নদীর পাড় থেকে তোলা কিছু অপূর্ব দৃশ্যের ছবি নিম্নে দেওয়া হলোঃ

(মেঘনার শান বাঁধানো পাড়)

(পাড়ে বাধানো ডিঙি নৌকা)

(পড়ন্ত বিকেলের মেঘনা নদী)

(মেঘনার চর)

(শান দিয়ে বাঁধানো পাড়)

কত শত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই মেঘনা নদীর সাথে তা বলে শেষ করা যাবে না।বিকেলের হালকা বাতাসে এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেরানোকে অনেক মিস করি।

এই ছিল আমার প্রিয় মেঘনা নদীর কিছু খন্ডচিত্র।করোনা এই মহামারীকালীন সময়ে কোন কিছু ভালো না লাগলে ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতেই অনেক সময় পার হয়ে যায়।

তো আজকের মতো এই পর্যন্তই।আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন।স্মৃতির পাতার এই কথাগুলো আমি ব্যাক্ত করতে পারার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দিতে চায় @rme ভাইকে এবং কমিউনিটির বাকি সকল সিনিয়র শ্রদ্ধেয় ভাইদের।আশা করি আপনাদের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যাবে।আমিও আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো এর জন্য।

ধন্যবাদ @abir10