গত পর্বে আমি বলেছিলাম যে তখন রাজা মেম্বার বলে যে কি করতেছো তুমি কলার ছাড়ো । এরপর রাজা মেম্বার বলে যে ঠিক আছে আমি তোমার সাথে প্রেম করবো তোমার সাথে কখনো বেইমানি করবো না। তাঁরপর তাঁদের দুজনের মাঝে অনেক প্রেম ভালোবাসার কথা হয় এক পর্যায়ে মেম্বার সেখান থেকে চলে যায়।এই পর্বটি শুরু হয় লতা আর নাদিয়া ওরা দুই বান্ধবী মিলে গল্প করছিল। হঠাৎ করে সেখানে মাস্টার এসে হাজির হয়। এবং তাদেরকে বলে যে আমি বুঝলাম না, চেয়ারম্যান বাড়ির ফেলটু মেয়ে আর মেম্বার বাড়ির মেয়ে এক সাথে দাঁড়িয়ে আছে।এটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারতেছি না। এরপর নাদিয়া বলে যে আমরা দুই বান্ধবী মিলে গল্প করতেছি! আপনি এখান থেকে জান তো জান। এরপর তাঁদের মাঝে অনেক কথা হয়। তাঁরা স্যারকে অপমান করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।

মেম্বার তাঁর বোনকে অনেক পরামর্শ মূলক কথা বলতেছিল। তখন হঠাৎ তাঁর মা ঘর থেকে বের হয়ে বলে যে রাজা হঠাৎ করে আমাদের ডিস লাইন চলে গেল কেন বাবা তুই একটু দেখতো। এরপর রাজা মেম্বার বলে যে আমি এখন পরিষদে যাবো,আমি এখন ঐ সব কাজ করতে পারবো না। তখন তাঁর বোন বলে যে আমি ঠিক করার জন্য বুলেট ভাইয়ের কাছে যাইতেছি। মেম্বার বলে যে তুই বুলেট এর সাথে ঝগড়া করবি না বলে দিলাম। তাঁর মা বলে যে তুই প্রথমে কিন্তু হার্ডলাইনে যাবি না। এরপর মেম্বার সাহেব পরিষদে যায়। ওমর চেয়ারম্যান এর বাসায় যায়। কিন্তু গাড়োয়ান তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না। বলে যে তোমার মাথা গরম তোমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। তুমি কখন কি করো তুমি নিজেই যানো না।এক পর্যায়ে তাঁরা দুজন তর্কে লিপ্ত হয়।

হঠাৎ করে সেখানে চেয়ারম্যান এসে হাজির হয়। তখন ওমর ভাই চেয়ারম্যানকে বলে যে আমিতো আপনার বাসায় এসে মহা বিপদে পড়েছি। চেয়ারম্যান বলে যে কি বিপদ তখন বলে যে আপনার দাড়োয়ান আমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না। তখন দাড়োয়ান বলে যে চেয়ারম্যান সাহেব উনার মাথা গরম ঐ জন্য উনিকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় নি। এরপর চেয়ারম্যান সাহেব বলে যে তুমি ভিতরে যাও আমি ওমর ভাইয়ের সাথে কথা বলতেছি। দাড়োয়ান বলে যে চেয়ারম্যান সাহেব আমি কি চা দিতে বলবো, তখন চেয়ারম্যান সাহেব বলে যে চা দিতে বলো কিন্তু আমার চায়ে চিনি কম দিতে বলো। এই কথা শুনে দাড়োয়ান সেখান থেকে চলে যায়। তখন ওমর ভাই বলে যে চেয়ারম্যান সাহেব আপনার মেয়ের সাথে কিন্তু রাজা মেম্বারের প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক আছে।এই কথা শুনে তো চেয়ারম্যান সাহেব রেগে যায় বলে যে ওমর ভাই মুখ সামলে কথা বলবেন , কথায় কথায় আমার মেয়ের নামে বদনাম করবা না বলে দিতেছি।

এরপর তাঁদের দুজনের মাঝে অনেক কথা হয় এক পর্যায়ে ওমর ভাই সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আখম হাসানকে তাঁর প্রেমিকা ফোন দেয়। তখন আখম হাসান বলে যে জান পাখি কেমন আছো? সে বলে যে ভালো না। তখন আখম হাসান বলে যে তুমি কি বলতেছো তুমি ভালো নেই মানে! তুমি ভালো না থাকলে তো আমিও ভালো থাকবো না জান পাখি। এরপর সে বলে যে আচ্ছা তুমি বলো তো ঐ দিন তোমরা কয়জন ফোন দিছিলা। ফোন দিয়ে আমার ভাইকে ছাড়িয়ে আনছো। তখন সে বলে যে আমি ফোন দিয়ে তোমার ভাইকে ছাড়িয়ে এনেছি তুমি বিশ্বাস করো জান। এরপর অনেক কথা বলার পর এক পর্যায়ে সে ফোন কেঁটে দেয়। এরপর বড় সাহেব আখম হাসান আরো অনেক কয়জন শিল্পী মিলে তাঁরা গানের আয়োজন করে। তাঁরা গান গাইতেছিল আর আখম হাসান আর তাঁর বড় সাহেব তাঁরা দুজনে বসে শুনছিলেন।

আমার ব্যক্তিগত মতামত:

আর টিভি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো সুন্দর একটা ধারাবাহিক নাটক উপহার দেওয়ার জন্য।নাটকটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। তাই তো আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে চলে আসলাম। আপনারা যারা এই নাটকটি দেখেন নি তাদেরকে এই নাটকটি দেখার অনুরোধ রইল। আপনারা সময় করে এই নাটকটি দেখে নিয়েন। যেহেতু এই নাটকে আখম হাসান আছেন , আশা করছি আপনাদের ও এই নাটকটি বেশ ভালো লাগবে। এবার যদি রেটিং এর কথায় আসি তাহলে আমি এটিকে ১০/০৮ দিব।

বি:দ্র: উপরের সব কটি ফটোগ্ৰাফি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিংক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে।

🔗নাটকের লিংক🔗: