বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি।বাংলাদেশের জনগণের একটা বিশাল অংশ তাদের জীবনধারণের জন্য কৃষির উপর নির্ভর করে। যদিও ধান ও পাট এখানকার প্রধান ফসল তা সত্ত্বেও গমের বৃহত্তর গুরুত্ব রয়েছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে চায়ের চাষ হয়ে থাকে। উর্বর জমি ও পানির প্রাচুর্যতার কারণে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে বছরে তিন বার ধান উৎপাদন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে।বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ চাল উৎপাদক দেশ।কৃষির বিকাশ মানুষের জনসংখ্যাকে শিকার এবং সংগ্রহের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে সক্ষম করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে স্বাধীনভাবে কৃষিকার্য শুরু হয়, এবং অন্তত ১১টি পৃথক উৎপত্তি কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্সা এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

📸ফটোগ্রাফি:📸

আপনারা উপরে যে ফটোগ্ৰাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটিতে একজন কৃষক তাঁর ভুট্টার ক্ষেতে ঔষধ দিতেছেন। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার তেমন একটা চাষাবাদ হয়নি। ভুট্টার গাছ যখন ছোট থাকে তখন ভুট্টার গাছে অনেক ধরনের পোকা মাকড় আক্রমণ করে থাকে।সে সময় যদি সময় মতো ঔষধ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে কৃষক অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এবং নিচের ছবিটি লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, একজন কৃষক তাঁর ভুট্টার জমি থেকে ঘাস নিরানি দিচ্ছেন। ভুট্টার গাছ যখন ছোট থাকে তখন যদি জমি থেকে ঘাস নিরানি দেওয়া হয়, তখন খুব দ্রুত গাছ বৃদ্ধি পেতে থাকে।এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।গত বছরের চেয়ে এবছর যদি একটু ভুট্টার দাম বেশি হয় তাহলে কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।

📸ফটোগ্রাফি:📸

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একজন কৃষকের আর সরিষার ফটোগ্ৰাফি। আমাদের বাংলাদেশে এখন প্রায় সরিষার চাষাবাদ বিলুপ্তির পথে। ছোট বেলায় আমি দেখেছি আমাদের এলাকায় শুধু সরিষা আর সরিষা। কিন্তু এখন দেখছি যে কোন সরিষার ক্ষেত নেই, মাঝে মধ্যে দুই একটা ক্ষেতে আছে। তাছাড়া সরিষা ক্ষেত নাই বললেই চলে। উনি সরিষা মাড়াই করছিলেন ঐ সময় আমি উনার ক্ষেত্রে গিয়েছিলাম।উনি অবশ্য আমার প্রতিবেশী এক ভাই উনি আমাকে দেখা মাত্রই বললেন যে,কিরে ফটোগ্ৰাফি করবি না। তখন আমি বললাম যে ভাই ফটোগ্ৰাফি করার জন্য তো আজকে পাতারে বের হয়েছি। তখন উনি নিজেই কিছু সরিষার গাছ কাঁধে নিয়ে আমার সামনে দাঁড়ালেন। তখন আমি খুব সুন্দর করে উনার ফটোগ্ৰাফি করে নিলাম।

📸ফটোগ্রাফি:📸

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন দুজন কৃষক মনের আনন্দে ধানের বীজ সংগ্রহ করছেন।এই ধানের বীজ দিয়ে মূলত তাঁরা জমিতে ধান রোপন করবেন। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক বেশি হওয়ায় এ বছর কৃষকেরা মনের আনন্দে ধান রোপন করছেন।আমি যখন তাদের ওখানে গিয়ে পৌঁছে গেলাম। তখন শুনতে পেলাম তাঁরা কি আনন্দে ভাটিয়ালি গান গাইতেছে আর ধানের বীজ সংগ্রহ করছে।আমি গিয়ে তাঁদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম এরপর তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি করে নিলাম। উনারা খুব ভালো মনের মানুষ আমার এক কথায় তাঁরা আমাকে ছবি তুলতে দিয়েছিল এজন্য তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

📸ফটোগ্রাফি:📸

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।ধানবীজ বা চাল সুপ্রাচীনকাল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রধান খাদ্য। ধান গাছ মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফল নিয়ে গঠিত।ধান গাছে প্রধানমূল থাকে না। সরু সরু সুতোর মতো গুচ্ছ মূল থাকে। অস্থানিক গুচ্ছ মূলগুলি মাটির ভেতরে ছড়িয়ে অবস্থান করে।ধান গাছের কাণ্ড নরম, শাখাহীন এবং বেলনাকার। কাণ্ডে সুস্পষ্ট পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে। পর্বমধ্যগুলি ফাঁপা হয়। কচি কাণ্ড সবুজ রঙের, কিন্তু পরিণত কাণ্ড হালকা হলুদ রঙের হয়।চাষের সময়ের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ধানকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই প্রধান তিনটি ভাগ হল আউশ, আমন ও বোরো। বর্তমান সময়ে কৃষকেরা যে ধান রোপন করেছেন সেটা হচ্ছে আউশ ধান।এই ধানের দাম গত বছরের তুলনায় এবার একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।তাই এবার সবাই অনেক বেশি ধান রোপন করছেন।

📸ফটোগ্রাফি:📸

আলু সাধারণত বীজ আলু থেকে জন্মানো হয়, বিশেষভাবে রোগমুক্ত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ প্রদানের জন্য কন্দ জন্মাযনো হয়। রোগমুক্ত হওয়ার জন্য, বীজ আলু জন্মানোর জায়গাগুলি যত্ন সহকারে নির্বাচন করা হয়।আলু গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি চাষাবাদ করা হয়েছে। তাঁর প্রধান কারণ হচ্ছে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার আলুর দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। উপরের ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একজন বৃদ্ধ কৃষক তাঁর আলুর জমিতে ঔষধ স্পে করছেন। কৃষকের আলুর ক্ষেত্রে এবার অনেক ভালো ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাঁর কারণ এবার উত্তরবঙ্গে তেমন একটা শীত হয়নি।আর উনি ঔষধ দেওয়ায় তাঁর খুব ভালো ফলন হয়েছে।গত বছরের তুলনায় এবার যদি ঐ রকম আলুর দাম থাকে তাহলে এবার কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।

শেষের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন কৃষক তাঁর হাতে ইঁদুর নিয়ে বসে আছেন।আলু ক্ষেতে আলু যখন বড় হয়, তখন আলুর জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যায়। এতো কষ্ট করে কৃষক ফসল ফলান আর সে ফসল যদি ইঁদুর নষ্ট করে তাহলে তো সবার খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। একজন কৃষক তাঁর আলুর জমি থেকে একটা গর্ত থেকে ইঁদুর বের করে মেরে ফেলে।আমি তখন এই ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।