গত পর্বে আমি বলেছিলাম যে তখন আমি আর আমার একটা বন্ধু সহ দুই জনে ভিতরে প্রবেশ করে কয়েকটা ফটোগ্ৰাফি করে নিলাম। এরপর আমরা আবার তিন বিঘা করিডোর এর দিকে রওনা দিলাম। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পৌঁছেও গেলাম। সেখানে ভিতরে প্রবেশ করবো ঐ সময় দুই জন বিজিবি এসে আমাদেরকে বলতেছে যে আপনারা কোথায় যাবেন? তখন ঐ অটো আলা ভাই বলতেছে যে স্যার আমরা একটু ভিতরে যাবো। এরপর স্যার আমাদের অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন। আমাদের বাসা কোথায়, আমারা স্টুডেন্ট কিনা। আমাদের স্টুডেন্ট কার্ড দেখতে চাইলে আমরা বলি যে স্যার স্টুডেন্ট কার্ড তো নিয়ে আসিনি। তবে আমার কাছে আইডি কার্ড আছে। এরপর স্যার আমার আইডি কার্ড চেক করলেন। এরপর আমাদেরকে বললেন যে বাবারা ভিতরে যাবা যাও আমরা নিষেধ করতেছি না। কিন্তু তোমরা ভিতরে প্রবেশ করে ছবি তুলবা না কেউ। যদি ছবি তুলতে চাও এখানে কয়েকটা ছবি তুলতে পারো সমস্যা নেই। তাঁরপর আমরা সেখানে বেশ কয়েকটা ফটোগ্ৰাফি করি।

সেখানে একে একে বেশ কয়েকটা ফটোগ্ৰাফি করে আমারা অটোতে করে তিন বিঘা করিডোর পার হচ্ছিলাম।ঐ সময় আমি লক্ষ্য করলাম যে ঐ বিঘা জমির এক পাশে আমাদের বাংলাদেশের বিজিবি ভাইয়েরা বসে তাঁদের কাজকর্ম করছে।আর এক পাশে আমাদের ভারতের বিএসএফ ভাইয়েরা বসে তাঁদের কাজকর্ম করছে।এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরপর আমরা ঐ তিন বিঘা জমি পার হতে না হতেই দেখি সেখানে ও দুই জন বিজিবি বসে আছেন। আমাদের অটো দাঁড় করালেন এবং বললেন যে আপনারা কোথায় যাবেন তখন আমি বললাম যে স্যার আমরা একটু ভিতরে যাবো। তখন স্যার বললেন যে কতক্ষন লাগবে? আমি বললাম যে স্যার বেশি সময় লাগবে না আমরা ভিতরে যাবো গিয়ে কিছুক্ষণ থাকবো বেশ কয়েকটা ফটোগ্ৰাফি করবো এরপর আবার চলে আসবো। তাঁরপর উনি বললেন যে আপনাদের বাসা কোথায় আর আপনারা সবাই কি স্টুডেন্ট? আমি বললাম যে জ্বি স্যার আমরা সবাই স্টুডেন্ট কিন্তু আমরা কেউ স্টুডেন্ট কার্ড নিয়ে আসিনি। কিন্তু আমার কাছে আইডি কার্ড আছে আপনি চাইলে দেখতে পারেন। এরপর স্যার আমার আইডি কার্ড দেখে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়। এবং বলে যে তোমরা ওখানে বেশি সময় থাকিও না তাড়াতাড়ি আবার চলে এসো। এরপর আমরা ডিরেক্ট আঙ্গরপোতা দাহগ্ৰাম এর দিকে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা সেখানে পৌঁছে ও গেলাম।

সেখানে গিয়ে আমরা এঁকে অপরের ছবি তুলে দিচ্ছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকটা করে সবাই ফটোগ্ৰাফি করলাম। আসুন এবার এই দাহ গ্ৰামের বিষয়ে কিছু বলি। আসলে এই দাহগ্ৰামের মানুষের আগে কোন আইডি কার্ড ছিলো না। কোন ভোটাধিকার ছিল না। তাঁরা পরবাসী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতো। বর্তমানে এই দাহগ্ৰামের মানুষ রাষ্ট্র হীনতায় ইতিবৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে মৌলিক অধিকার পেতে শুরু করেছে। এখন সৃষ্টি কর্তার রহমতে তাঁরা আইডি কার্ড, ভোঁটাধিকার এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও মৌলিক অধিকার সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আঙ্গরপোতা দাহগ্ৰামে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এরপর আমরা একটু সামনে গেলাম চা বাগান দেখার জন্য।এর আগে আমি আমার জীবনে কখনো সরাসরি চা বাগান দেখি নি, এমনি ফোনে ভিডিওতে দেখেছি বেশ কয়েকবার। কিন্তু সামনাসামনি কোনদিন দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি। আমরা একটু সামনে গিয়ে বেশ সুন্দর একটি চা বাগান দেখতে পেলাম। সেখানে বেশি চা বাগান ছিল না, শুধু একটাই চা বাগান ছিল। কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল।আমি চা বাগান দেখে তো বেশ কিছুক্ষণ চোখ সরাতে পারছিলাম না।চা বাগান দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। এরপর আমরা সেখানে বেশ কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি করেছিলাম।এর আগে যদিও কোথাও সেভাবে গ্ৰুপ ফটো তোলা হয়নি। তাই আমি অটো আলা মামাক বলছিলাম যে মামা আমাদের কয়েকটা গ্ৰুপ ফটো তুলে দেন। এরপর মামা আমাদের সুন্দর করে কয়েকটি গ্ৰুপ ফটো তুলে দিলেন। এরপর আমরা সেখান থেকে রওনা দিলাম তিন বিঘা করিডোর এর দিকে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।