বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার ব্লগটি যদি আপনাদের কাছে একটুও ভালো লাগে তাহলে আপনারা আমাকে লাইক,কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে ব্লগটি শেয়ার করবো সেটা হচ্ছে মেসের বাজার। হঠাৎ একদিন আমি আর আমার বন্ধু মিলে আমাদের আরেকটা বন্ধুর মেসে যাই। ওকে না জানিয়ে ও তো আমাদেরকে দেখে পুরাই অবাক। ও আমাদেরকে দেখার পর বলতেছে যে তোরা হঠাৎ আমার মেসে। তারপর আমি বললাম যে আমরা আজকে তোর এখানে থাকবো। তুই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা কর। তারপর ও বলতেছে যে খালা তো তেমন ভালো রান্না করে না রে।আমার এখানে রান্না করার সব কিছু আছে শুধু বাজার করা লাগবে। তারপর আমরা তিন বন্ধু মিলে বাজার করতে গেলাম। বাজারে গিয়ে আমি বলতেছি যে ব্রয়লার মুরগি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাইলে কেমন হয়? ওরা বলতেছে যে ভালোয় হবে। তারপর আমরা ডিরেক্ট মুরগির মাংসের দোকানে গেলাম। যাইতে না যাইতে আমার ঐ বন্ধুর রুমমেট আমার বন্ধুকে ফোন দিছে, দিয়ে বলতেছে যে তুই কই? আজকে তো আমার বাজার আমি বাজারে যাইতেছে। তারপর আমার বন্ধু বললো যে আমিও বাজারে আছি তুই তাড়াতাড়ি আয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ও এসে হাজির।
ও আসার আগেই আমরা চিন্তা করলাম যে আমরা তো
শুধু তিন জন একবার খাবো । অতএব একটা বড় মুরগি নেই নিয়ে মেসে যারা বর্ডার আছে তাদের জন্যে আলাদা করে নেই ।আর বাকি যে টুকু থাকে আমরা নিলাম। তারপর আমরা শাকের দোকানে গেলাম শাক নেয়ার জন্যে। গিয়ে দেখতে পেলাম যে টাটকা টাটকা শাক। এমনিতে আমি তেমন বাজার করি না।ঐ দিন সবাই মিলে বাজার করে অনেক ভালো লাগছে আমার। আমার ঐ বন্ধুটা খুব ভালো বাজার করতে পারে।
এরপর আমরা গেলাম পেঁয়াজ, মরিচ,আদা, রসুন কেনার জন্য। আমার বন্ধু সব কিছু দামাদামি করে কিনতেছে।আর আমিতো ফটোগ্ৰাফি করতে ব্যস্ত। আমার যেহেতু ছোট থেকেই ফটোগ্ৰাফি করতে ভালো লাগে আর একটু সময় পেলেই হয়।আর যেদিন থেকে আমি আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হয়েছি সেদিন থেকে কেন জানি ফটোগ্ৰাফি করাটা নেশায় পরিণত হতে শুরু করেছে।
তারপর আমরা ওখান থেকে মুদির দোকানে গেলাম তেল, হলুদ, মসলা, লবণ আরো যা কিছু লাগে ঐ গুলা কেনার জন্যে। এক এক করে সব কিছু হিসাব করে আমার বন্ধু নিতেছে।আপনারা যারা মেসে থেকে পড়ালেখা করেছেন আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে মেসের বাজার সব কিছু হিসাব নিকাশ করে করতে হয়।তার কারণ হচ্ছে যে মেসের ম্যানেজার বর্ডার যতো জন ঐ হিসাব করে টাকা দেয়। আমরা সব কিছু বাজার শেষ করে হালকা একটু নাস্তা করে মেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
মেসে রান্না করার জন্য পরে তরকারির প্রয়োজন আর সেজন্য বাজার করতে গেছেন আপনারা। আসে বাজার করার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই বাজার করার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাগুলো পড়ে নিজের হোস্টেল লাইফের কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া। এরকম অনেক বাজার করেছি। আসলে নিজে নিজে বাজার করার অভিজ্ঞতা মেস লাইফেই হয়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দীর্ঘ দিন সকল বন্ধুরা একত্রিত হলে একটু মজা হয়। আপনি দেখছি আপনার বন্ধুদের সাথে মেসে একটি বিশাল পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। আসলে মাঝে মাঝে এরকম আয়োজন গুলো আমাদের মন কে ফ্রেশ করে দেয়। আশা করছি আয়োজন টি একদম সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit