চিতই পিঠা রেসিপি "১০% লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

শীতকালীন পিঠা গুলোর মধ্যে একটি সাধারন পিঠা হলো চিতই পিঠা। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলের ও সবাই প্রায়ই পিঠা খেয়ে থাকে। আবার অনেক সময় শহরাঞ্চলের ফুটপাতেও দোকানিদের এই পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। এই পিঠা খুবই সহজলভ্য। পিঠাপ্রতি দাম মাত্র পাঁচ টাকা রাখা হয়। ফলে সাধারণ জনগণ ফুটপাতের এই পিঠার দোকান গুলোতে শীত মৌসুমে বেশ ভালই ভিড় জমায়।দেখতে সাদা বর্ণের এই পিঠা মিষ্টি কিংবা ঝাল কোন ধরনের স্বাদবিশিষ্ট হয় না। তবে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে এই পিঠা তৈরি করায় এর স্বাদ কিছুটা নোনতা হয়। আর এই নোনতা স্বাদবিশিষ্ট পিঠা আমরা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে খেতে পারি। চিনি,গুড় কিংবা ঝাল জাতীয় বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়েও এই পিঠা খাওয়া হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কচু শাক এবং শুঁটকি মাছ সহযোগে ভর্তার সঙ্গে এই পিঠা খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।আজকে আমি জনপ্রিয় এই চিতই পিঠার রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।

চিতই পিঠার রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি ধাপে ধাপে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো:

আমার চিতই পিঠা রেসিপি ছবি:
received_603836720918699.jpeg

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

received_2960252324305573.jpeg

১.চালের গুড়া(পরিমান মত)।
২.লবণ(স্বাদ অনুযায়ী)।
৩.কুসুম গরম পানি(পরিমাণমতো)।
৪.মাটির তাওয়া।

প্রথম ধাপ:
received_408543630970856.jpeg

প্রথমে একটি বাটিতে চালের গুড়া এবং সাদমত লবণ নিয়েছি।

দ্বিতীয় ধাপ:
received_1104152810413939.jpegreceived_259460022790997.jpeg

এই পর্যায়ে চালের গুড়ার মধ্য কুসুম গরম পানি নিয়ে ব্যাটার তৈরী করে নিয়েছি।

তৃতীয় ধাপ:
received_591170668609758.jpeg

এই পর্যায়ে মাটির তাওয়া চুলায় দিয়েছি গরম হয়ে আসলে তাতে চামচে করে পানি দিয়ে মেশানো চালের গুড়া দিয়েছি।

চতুর্থ ধাপ:
received_966998097587728.jpeg

এই পর্যায়ে পিঠা হয়ে গেলে তআ তাওয়া থেকে উঠিয়ে নিয়েছি।

পঞ্চম ধাপ:
received_495845065462342.jpegreceived_603836720918699.jpeg

চূড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের চিতই পিঠা তৈরী হল।

আমার পরিবেশন করা চিতই পিঠা রেসিপি আপনাদের সবার কেমন লাগলো তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে

@abusalehnahid

ফটোগ্রাফি@abusalehnahid
ডিভাইসOPPO A12
লোকেশনW3W
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চিতই পিঠা কয়েকদিন আগেই খেয়েছি। শীতের সময় চিতই পিঠার সমাহার ঘটে থাকে ।প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে চিতাই পিঠা তৈরি দেখতে পাওয়া যায়। আপনি খুব সুন্দর করে চিতাই পিঠা তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ।আমার কাছে খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে চিতই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।

আমি ঝাল খেতে বেশি পছন্দ করি। এজন্য বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে এই পিঠা খাই।ধন্যবাদ আপনাকে।

চিতাই পিঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা। গ্রামবাংলায় সকাল বেলার নাস্তা চিতই পিঠা। শীতের সময় এটি খেজুরের গুড় দিয়ে খেতে ভারি মজা এবং অনেকেই ডিম দিয়ে এই পিঠা খায় অনেক সুস্বাদু পিঠা। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

শীতের সময় সরিষা বাটা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে অনেক মজা লাগে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার চিতই পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনার পিঠা গুলো দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতেও মনে হচ্ছে দারুন মজা হবে

জী ভাই, এই পিঠা খেতেও ভীষণ মজার ছিল।ভর্তা দিয়ে খাই মাঝে মাঝেই।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

ভাইয়া আপনার চিতই পিঠা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর দেখে মনে হচ্ছে পিঠাগুলো একদম পারফেক্ট। চিতই পিঠা টা দেখতে সহজ মনে হলেও কিছু কৌশল অবলম্বন করলে তা সুন্দর এবং মজার হয়। আপনি খুব সুন্দর করে চিতই পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

এই পিঠা করার সময় প্রথম দিকের পিঠাগুলো তেমন একটা ভালো হচ্ছিল না।পরবর্তীতে আটার গোলায় একটু পানি মিশিয়ে নেয়ার পর ঠিকঠাক হচ্ছিল।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

  • চিতই পিঠা আমার খুবই পছন্দের। এই পিঠা আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এই পিঠা যখন গুড় দিয়ে আমি খায় তখন খুবই সুস্বাদু লাগে এবং খুবই মজা লাগে। আপনা পিঠার রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

গুড় দিয়ে খেতে ভীষণ মজার।বাসায় এমনভাবে বানিয়ে খাবেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

শীতের সময় চিতই পিঠা খেতে অসাধারণ সুস্বাদু এবং মজাদার লাগে। ঐতিহ্যবাহী চিতই পিঠা প্রতিটি ধাপে ধাপে অসাধারণ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। জমজমাটে শীতের সময় এত সুন্দর একটি শীতের পিঠার রেসিপি উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

আপনার এত সুন্দর প্রশংসাভরা মন্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার এত সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য।