কেক এখন আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার অংশ হয়ে গেছে। সকাল, বিকাল কিংবা সন্ধ্যার নাস্তায় সাধারনত কেক রাখা হয়। তবে তার বেশিরভাগই বাইরে থেকে কিনে আনা।
আমাদের অনেকের বাসায় ওভেন নেই, তাই চাইলেই আমরা বাসায় কেক বানিয়ে খেতে পারবো না, এই ধরনাটা একদমই ঠিক না। যাদের ধারণা শুধুমাত্র ওভেনেই কেক তৈরি করা যায়, তাদের জন্য আজকের রেসিপি। আপনার নিত্যদিনের ব্যবহৃত গ্যাসের কিংবা লাকড়ির চুলায়ই তৈরি করতে পারবেন কেক। আর তা খুব সহজেই। চলুন জেনে নেই -
উপকরণ :
• মাখন বা তেল ১/২ কাপ
• চিনি ১/২ কাপ
• ডিম ২টি
• ময়দা বা ব্রাউন আটা ১ কাপ
• বেকিং পাউডার ১ চা চামচ
• গুড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ
• ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ
• কিসমিস, মোরব্বা ও বাদাম (সাজানোর জন্য)
• লবণ স্বাদমত
প্রণালি :
ময়দার সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে চালনি দিয়ে চেলে নিন। ডিম ভেঙ্গে কুসুম আলাদা করে রাখুন এবং ডিমের সাদা অংশ বিটার দিয়ে বিট করে ফোম তৈরি করুন। ফোম তৈরি হয়ে গেলে তার মধ্যে কুসুম, তেল/মাখন ও চিনি দিয়ে আবারও ভালোভাবে বিট করুন। এবার ভ্যানিলা এসেন্স ও গুড়ো দুধ দিয়ে বিট করে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
সবশেষে চেলে রাখা ময়দা দিয়ে বিট করা মিশ্রনটিতে মিশান তবে এক্ষেত্রে কখনোই বিটার ব্যবহার করা যাবে না। মনে রাখতে হবে ময়দা দেওয়ার পরে মিশ্রনটি যে দিকেই নাড়ুন না কেন এক দিকেই নাড়বেন, নয়তো ফোমটা বসে যাবে এবং এতে করে কেক ফুলবে না।
এবার একটি পাত্রের ভিতরে মাখন/তেল মেখে নিয়ে মিশ্রনটি একটি প্যানে অথবা চুলার দেয়ার জন্য সুবিধামতো একটি পাত্রে ঢেলে নিবেন। আপনার পছন্দমতো কিসমিস, বাদাম ইত্যাদি কেকর মিশ্রণের উপর দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন।
চুলায় একটি সসপ্যান বা হাড়ি নিয়ে স্টিলের স্ট্যান্ড থাকলে স্টিলের অথবা লোহার স্ট্যান্ড এর উপর বসিয়ে দিন। যদি বাসায় কোন রকম স্ট্যান্ড না থাকে, তাহলে বালি দেড় থেকে ২ ইঞ্চি পুরু করে প্যানের ভিতরে দিয়ে মাঝারি আঁচে পাত্রটি গরম করুন। এবার কেকের মিশ্রন ঢেলে রাখা বাটি স্ট্যান্ড অথবা বালির ওপর বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন।
আধা ঘণ্টা পর টুথপিক অথবা কাঠি দিয়ে কেকের মাঝখান বরাবর ছিদ্র করুন এবং কেক হয়েছে কিনা দেখুন। যদি কাঠির মধ্যে কোন ময়দা না লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন এটি ভালোমতো তৈরি হয়ে গিয়েছে। না হলে আরও ১৫/২০ মিনিট বেক করুন।
তবে খেয়াল রাখতে হবে চুলার তাপ যেন অতিরিক্ত মাত্রায় না থাকে। নয়তো কেক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। কেক হয়ে গেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন এবং নিজের মত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
রেপিটেড পোস্ট :
https://steemit.com/cooking/@afrojaroja/3cqnqw
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
“আমার বাংলা ব্লগ ” এখানে পোষ্ট করলে কি আমার নিজের ব্লগে পোষ্ট করতে পারবো না?
আমি নতুন তাই বুঝতে পারিনি। জানাবেন প্লিজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একটি কনটেন্ট একাধিকবার প্রকাশ করতে পারবেননা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি নতুন ছিলাম তাই বুঝতে পারিনি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit