ঈদ মোবারক। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সকলের হৃদয়।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

ডিসকোড থেকে সংগৃহীত।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সকলের হৃদয়এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।আজ মুসলিম উম্মাহ সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা চলছে। প্রথমে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার শ্রদ্ধেয় বড় দাদা, কো ফাউন্ডার শ্রদ্ধেয় ছোট দাদা, কমিউনিটির সম্মানিত এডমিন মডারেটর প্যানেলের সকল সদস্য এবং সাধারণ সকাল ইউজারকে জানাই:-

সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ঈদ মানে অফুরন্ত খুশি। ঈদ মানে সীমাহীন আনন্দ। ঈদ মানে সকলে মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। ঈদ মানে সকল ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষী ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। আজকের এই দিনটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যময়। ঈদুল আযহা মূলত আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো, ত্যাগের উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আমাদের অর্থ সম্পদ আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত করা। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনেক ধরনের গবাদি পশু আল্লাহর (সৃষ্টিকর্তা) রাস্তায় উৎসর্গিতা করা হয়।

ধর্মপ্রাণ মুসলমান আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী উট, মহিষ, গরু, ছাগল, ভেড়া, আল্লাহর নামে কোরবানি করে বা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গিত করে। সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানির উদ্দেশ্যে হলো আল্লাহর (সৃষ্টিকর্তা) সন্তুষ্টি অর্জন করা। আল্লাহর (সৃষ্টিকর্তা) সন্তুষ্টির অর্জন করতে হলে প্রথমে আমাদের মনের বা, অন্তরের যাবতীয় পশুত্ব, লোভ লালসা, হিংসা বিদ্বেষ, অহমিকা, মিথ্যা, অন্যায় অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে পশু কোরবানি করতে হবে। তাহলে আমাদের কোরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হবে। পশুর কোরবানি শুধু মাংস খাওয়া নয়। পশু কোরবানি হলো মনের সকল অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার কোরবানি করা বা, ত্যাগ করা।

আমরা শুধু যদি পশু কোরবানি করে মাংস খায় তাহলে এই কোরবানি আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি হবে না। আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করতে হলে আমাদের আশেপাশের অসহায় হত দরিদ্র যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই কোরবানি করতে তাদের আমরা নিজ দায়িত্বে মাংস পৌঁছে দিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করা। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সমাজের সকলের মাঝে হাসি ফুটানো হলো প্রকৃত কোরবানি করা। যে হৃদয় ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে হত দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে নি তার কোরবানি ত্যাগের কোরবানি হবে না । শুধুমাত্র মাংস খাওয়া হবে। তাই আমাদের উচিত এই পবিত্র দিনে সকলের মাঝে হাসি ফুটিয়ে তোলার জন্য ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া

পশুর মাংস গরীবদের মাঝে সুন্দরভাবে বিতরণ করা। আমাদের মনে রাখতে হবে কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে। ১ ভাগ গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা। ১ ভাগ আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া এবং ১ ভাগ নিজেদের খাওয়ার জন্য রাখা হয়। সমাজের অসহায় গরিব-দুঃস্থ যারা আছে তারা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদেরকে কোনভাবে অবহেলা বা, অবঞ্চিত করা যাবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে যত বেশি ত্যাগ করতে পারবে তার কোরবানি তত বেশি আল্লাহ রাস্তায় কবুল হবে। আমাদের সকলের হৃদয় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হতে হবে।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।