তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা ~ স্মৃতিকথা মূলক রচনা

in hive-129948 •  6 months ago  (edited)

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

1000039711.png
ব্যানার ডিজাইন : শ্রদ্ধেয় @hafizullah ভাইয়া

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আপনারা সকলে অবগত আছেন যে, আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা চলছে। আজ আমি আপনাদের, তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতা স্মৃতিকথা মূলক রচনা :- আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমার বাংলা ব্লগ এই সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি। প্রথমে আমি আমার বাংলা ব্লগ তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে আমার বাংলা ব্লগ এর সম্মানিত ফাউন্ডার শ্রদ্ধেয় দাদা প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা। আমার বাংলা ব্লগ তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে শ্রদ্ধেয় বড় দাদা, ছোট দাদা, তনুদা বৌদি, স্বাগতা দিদি, স্নেহের টিনটিন বাবুসহ দাদাদের পরিবারের সকল সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত সকল এডমিন মডারেটর প্যানেলের সকল সদস্য এবং আমার সকল সহযোদ্ধাদের জানাই-আমার বাংলা ব্লগ তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

স্মৃতিকথা মূলক রচনা :- আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমার বাংলা ব্লগ

স্মৃতিকথা মূলক রচনা কি লিখবো? আসলে ভেবে পাচ্ছি না। কারণ আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে মিশে আছে। হৃদয়ে স্মৃতিকথার প্রতিটি বাতি ঘরে আমার বাংলা ব্লগকে খুঁজে পাই। জীবনের মধুর মুহূর্তগুলো আমার বাংলা ব্লগকে নিয়ে। হৃদয়ের কল্পনায় আমার বাংলা ব্লগকে অনুভব করি‌ । আমার জীবনে স্বপ্ন দেখার শেষ ঠিকানা এখন আমার বাংলা ব্লগ। হাজারো স্বপ্ন উঁকি দেয় আমার বাংলা ব্লগকে ঘিরে। ঘুম ঘুম চোখে আমার কুয়াশা ভেজা সকাল কাটে আমার বাংলা ব্লগ এর সদস্যদের সাথে সকালের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে। আমার পড়ন্ত বিকেল কাটে আমার বাংলা ব্লগ এর সদস্যদের সাথে আড্ডা দিয়ে। আমার বর্ষার সন্ধ্যা কাটে ইউনিক রেসিপি তৈরির মাধ্যমে। আমার পূর্ণিমার রাত্রি কাটে জোনাকির আলোতে আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট এবং কমেন্ট করার মাধ্যমে। আমার হৃদয় হাজারো ভাবনা জাগ্রত হয় আমার বাংলা ব্লগকে নিয়ে। আমি ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি আমার বাংলা ব্লগকে নিয়ে। জীবনে অর্থ খুঁজে পাই আমার বাংলা ব্লগের মাঝে।

হৃদয়ের কিছু অনুভূতি রয়েছে
যা কখনো যায় না সম্পূর্ণ প্রকাশ করা।
সেই অনুভূতি প্রকাশের খুশিতে
ঠোঁটে অট্টহাসির মাঝেও
চোখের কোণে জল আসে আনন্দে।

জীবনে কিছু প্রিয় মানুষ আসে
যা জীবনকে রাঙিয়ে দেয়।
জীবনে কিছু বিষয় আছে
যা ভাগ্যের নিয়তিতে
সৃষ্টিকর্তাই নিজ হাতে লিখে থাকে।

জীবনে কিছু চাওয়া-পাওয়া
যা হৃদয়ের আবেগ অনুভূতি ভালোবাসার।
জীবন প্রিয় কোন বিষয়কে নিয়ে
হাজারো স্বপ্ন দেখে যায়।

কল্পনার অনুভূতিগুলো জাগ্রত হয়
ঐ বিষয়কে কেন্দ্র করে।
জীবনে হাজার বছর বেঁচে থাকার
ইচ্ছা জাগ্রত হয় ঐ বিষয়কে নিয়ে।

ঐ বিষয় হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ
যা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার
অনুপ্রেরণা দেয় প্রতি মুহূর্তে।
আমার ভালো লাগা এবং ভালোবাসার
অনুভূতি হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ ।

জীবনের মানে খুঁজে পাই
আমার বাংলা ব্লগে হাসি আনন্দের মাঝে
তাইতো জীবনের প্রতিটি নিঃশ্বাসে ভালোবাসি
আমার বাংলা ব্লগকে।

আমি @ah-agim আমার সব চেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভেরিফাইড একজন ব্লগার। প্রতিনিয়ত আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে ব্লগিং করে যাচ্ছি। আগামী ১১ তারিখ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। যা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তৃতীয় বর্ষপূর্তির প্রতিটি মুহূর্ত আমরা অত্যন্ত আনন্দের সহকারে উপভোগ করবো। তৃতীয় বর্ষপূর্তির আয়োজনকে আরো রাঙিয়ে তুলতে কমিউনিটির সাধারণ ইউজারদের জন্য বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এতো চমৎকার দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য শ্রদ্ধেয় দাদাকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ। আমি স্মৃতিকথা মূলক রচনায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পাওয়া অনুভূতি

আমি প্রায় ২০২১ সালের প্রথম থেকে স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করছি। স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার সুবাদে আমার অনেক কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। অন্যান্য কমিউনিটিতে কাজ করার সময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্ধান পায়। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি দেখা মাত্রই কমিউনিটিতে প্রবেশ করি। কমিউনিটির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি। কমিউনিটির একটি বিষয় আমার হৃদয়ে আনন্দের ঝড় তুলে ছিলো তা হলো নিজ মাতৃভাষায় ব্লগিং করার সুযোগ। আমি অনেক কমিউনিটিতে কাজ করেছি যেখানে নিজ মাতৃভাষায় লেখার কোন সুযোগ ছিল না। নিজ মাতৃভাষায় হৃদয় অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবো জেনে ভীষণ আনন্দ লাগছিলো। নিজ মাতৃভাষায় ব্লগিং করার সুযোগ পাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশ দারুন ছিলো যা ভাষায় বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

এবিবি স্কুলে থাকার অনুভূতি

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কিছুদিন পোস্ট করার পরে জানতে পারলাম কমিউনিটিতে এবিবি স্কুল চালু হয়েছে। আমি এবিবি স্কুলে প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। এবিবি স্কুলে সকল সম্মানিত প্রফেসর এবং সহকারী প্রফেসরদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই যারা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদেরকে স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করা যাবতীয় নিয়ম কানুন শিখিয়েছে। এবিবি স্কুলের সকল সম্মানিত প্রফেসর এবং সহকারী প্রফেসরদের দিকনির্দেশনা এবং ভালোবাসায় সফলভাবে এবিবি স্কুলের যাবতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে সাধারণ ইউজারদের জন্য এবিবি স্কুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই জায়গায় সকল কিছু খুব সুন্দর ভাবে সাধারণ ইউজারদের অবগত করা হয়। বিশেষ করে স্টিমিট আইডির পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা এবিবি স্কুলে মাধ্যমে আমাদের মাঝে বিষয়গুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়। পোস্টের কোয়ালিটি বৃদ্ধির জন্য কিভাবে মার্ক ডাউন ব্যবহার করা হয় তা সুন্দরভাবে শিখানো হয়ে থাকে এবিবি স্কুলে‌। এবিবি স্কুলে থাকার প্রতিটি মুহূর্ত বেশ চমৎকারভাবে উপভোগ করেছি এবং নিজের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করেছি প্রতিমুহূর্তে।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অনুভূতি।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিমাসে দুটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। আমি এই পর্যন্ত প্রায় ১৭টি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি তার মধ্যে প্রায় ১৪টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছি। প্রতিযোগিতা আসলে সকালে বেশ আনন্দিত হয়ে থাকে। সকলেই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করে। কমিউনিটির মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আসলে প্রতিযোগিতা মানে হচ্ছে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করা। নিজের মেধা এবং বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সকলের মাঝে নতুন কিছু উপস্থাপন করা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এতো ইউজারের মাঝে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়া সত্যিই বেশ আনন্দের। যখন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় তখন প্রতিটি মুহূর্ত নিজের কাছে কেমন লাগে তা বলে বুঝানো যাবে না। হৃদয় হার্টবিট গুলো বেড়ে যায় মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে মরে যাবো । হঠাৎ তার মাঝে যখন নিজের নাম বিজয়ীদের তালিকা শুনতে পাই তখন কি যে আনন্দ লাগে তা সত্যি বিস্ময়কর। হৃদয় এই আনন্দ বলে প্রকাশ করা যাবে না মাঝে মাঝে আনন্দে চোখের কোণে জল চলে আসে।

টার্গেট ডিসেম্বর সিজন টু তে সর্বোচ্চ পাওয়ার বৃদ্ধি করে বর্ষসেরা হওয়ার অনুভূতি।

1000039699.jpg

স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য পাওয়ার বৃদ্ধি করার কোন বিকল্প নেই। যার যতো বেশি পাওয়ার তার ততো বেশি সক্ষমতা। পাওয়ার বৃদ্ধি করার জন্য প্রতি সপ্তাহে শ্রদ্ধেয় সুমন ভাই পাওয়ার বৃদ্ধি করার প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সকলের চেষ্টা করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের পাওয়ার বৃদ্ধি করার জন্য। বছর শেষে শ্রদ্ধেয় দাদা পাওয়ার বৃদ্ধি করার জন্য দুইজনকে বর্ষসেরা হিসেবে মনোনীত করে। দাদা এই উদ্যোগ সত্যি বেশ অসাধারণ। শ্রদ্ধেয় দাদা এর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। টার্গেট ডিসেম্বর সিজন টু তে সর্বোচ্চ পাওয়ার বৃদ্ধি করে আমি বর্ষসেরা হয়েছি। এটা সত্যি আমার জন্য খুব আনন্দের। আসলে বর্ষসেরা হওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। আমার বাংলা ব্লগ এর পক্ষ থেকে গেস্ট পেয়েছি। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে যখন হাতে গেস্ট পেয়েছি তখন সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। এই সুন্দর অনুভূতির কথা কখনো ভুলবো না। হৃদয়ের আয়নায় তা সারাক্ষণ ভেসে উঠবে। অনলাইনে কাজ করে প্রথম কোন কমিউনিটির পক্ষ থেকে গেস্ট পেয়েছি জিবনে।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির হ্যাংআউট শুনানি অনুভূতি

হ্যাংআউট হচ্ছে কমিউনিটির প্রাণ। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি অন্যান্য কমিউনিটি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। হ্যাংআউট এর জন্য আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরা সপ্তাহ জুড়ে খুবই অধিক আগ্রহে থাকি সাপ্তাহিক হ্যাংআউট শোনার জন্য। হ্যাংআউটের মাধ্যমে আমরা সকলে একসাথে একত্রিত হয়ে নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করে থাকি। কখন যে হ্যাংআউট শুরু হবে আর কখন সকালে কথা শুনবো তার অপেক্ষায় থাকি। সাপ্তাহিক হ্যাংআউটের মাধ্যমে কমিউনিটির সম্মানিত এডমিন মডারেটর কথা শুনতে পায়। পুরা সপ্তাহের কাজের অগ্রগতি এবং ভুল ত্রুটি সম্পর্কে সম্মানিত এডমিন মডারেটর প্যানেল আমাদেরকে অবহিত করে। তা সত্যি আমাদের জন্য খুব মঙ্গল। তাদের কথা শুনে আমরা আমাদের কাজ সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হতে পারি।

জ্ঞান আহরণ এবং বিতরণের মাধ্যমে আয় করা

কুইজ সেগমেন্ট পর্ব আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কুইজ এর মাধ্যমে আমরা অনেক আনন্দের সহকারে কুইজের উত্তর দিয়ে জিলাপি খাওয়ার পয়সা আয় করতে পারি। কুইজ এর মাধ্যমে আমরা অনেক আনন্দ উপভোগ করি। কুইজ এর মাধ্যমে আমরা অনেক বিষয় শিখতে পারি। বিশেষ করে দাদা যে প্রশ্ন গুলো দিয়ে থাকে তা থেকে অনেক কিছু শিখা যায়। দাদার প্রশ্নগুলো বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। দাদা উত্তর দেওয়ার সময় অনেক বিষয় সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে অবহিত করে থাকে। এই বিষয়গুলো আমরা বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করি আনন্দের সহকারে এবং জ্ঞান আহরণ করে থাকি। কুইজ সেগমেন্ট প্রতিটি পর্ব দুর্দান্ত হয়ে থাকে। এটি হচ্ছে আমাদের জন্য আনন্দের সাথে শিক্ষনীয় বিষয়।

শ্রদ্ধেয় দাদার মুখের কথা শুনার অনুভূতি

স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার সুবাদে আমার অনেক কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তবে কোন কমিউনিটির ফাউন্ডারের সাথে কথা বলা বা, তার কথা শুনার সুযোগ হয় নি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার আমাদের সকলের সাথে প্রতি হ্যাংআউটে কথা বলে। কমিউনিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। দাদার কথাগুলো আমার খুব ভালো লাগে সত্যিই তার মুখের ভাষা বেশ মিষ্টি। আসলে সত্যি কথা বলতে কলকাতার ভাষা আমার খুব পছন্দের। আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সায়নী ঘোসের অনেক বক্তব্য শুনতাম আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। দাদা যখন কথা শেষে একটু টেনে বলে তখন তা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আসলে সত্যি আমি না দেখে একজনের ব্যক্তি কথার প্রেমে পড়েছি‌ তা হলো আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার কথা। তার কথাগুলো এতটাই ভালো লাগে যে আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। কখনো যদি সুযোগ হয় সরাসরি তার সাথে দেখা করে তার মুখে দিয়ে চেয়ে থেকে কথা বলার ভঙ্গি দেখে নেবো। প্রিয় দাদা কথা যতো শুনে ততোই ভালো লাগে। প্রিয় দাদার কথার মাধুর্যতা বেশ দারুণ।

টিনটিন বাবুর জন্মদিনের অনুভূতি

প্রিয় দাদার পরিবার মানে আমাদের পরিবার। টিনটিন বাবুর হচ্ছে আমাদের প্রিয় দাদা সাহেবজাদা। কিছুদিন আগে স্নেহের টিনটিন বাবুর জন্মদিন অনুষ্ঠান হয়েছে। আমরা সকলে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভালো জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করেছি। টিনটিন বাবুর জন্মদিন অনুষ্ঠান ছিলো আমার কাছে খুবই স্পেশাল। টিনটিন বাবুর জন্মদিন অনুষ্ঠান প্রতিটি পর্ব বেশ দারুণ ছিলো। টিনটিন বাবুর জন্মদিন অনুষ্ঠানে স্নেহের টিনটিন বাবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বেশ আনন্দ উপভোগ করেছি। কেক কাটা মুহূর্ত ছিলো বেশ অসাধারণ। এই মুহূর্তগুলো এখনো হৃদয়ে মাঝে ভেসে উঠে । জন্মদিন অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি এবং গান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে আরো রাঙিয়ে তোলা হয়েছিলো।

প্রিয় তনুদা বৌদির রেসিপি দেখার অনুভূতি

আমাদের কমিউনিটিতে বেশ দারুন দারুন রেসিপির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতা গুলোতে আমাদের সকলের প্রিয় তনুদা বৌদির রেসিপি দিয়ে থাকে। তনুদা বৌদির অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে দাদার সংসার সামলানো নিয়ে। তারপরও আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর এবং ইউনিক রেসিপি উপস্থাপন করে থাকে। তনুদা বৌদির কিছু কিছু রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তার রেসিপি গুলো সত্যি বেশ দারুন হয়ে থাকে। তার রেসিপি গুলো দেখলে, খাওয়ার লোভ সামলানো বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমরা যেই রেসিপি উপস্থাপন করি তা দাদা খাওয়ার সুযোগ হয় না। কিন্তু প্রিয় তনুদা বৌদির যে রেসিপি তৈরি করে তা দাদা খাওয়ার সুযোগ হয়। এই বিষয়টা সত্যি বেশ দারুণ।

এবিবি ফান নিয়ে আমার অনুভূতি
এবিবি ফান আমার খুব ভালো লাগে যার মাধ্যমে বেশ আনন্দ উপভোগ করা যায়। আমার বাংলা ব্লগের বেশ সুন্দর উদ্যোগ হলো এবিবি-ফান। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সবাই আনন্দ উপভোগ করে থাকে। সবাই নিজের ক্রিয়েটিভিটি সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ধারা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে এবং বেশ মজার উত্তর দিতে পারে। এই এবিবি ফানের মাধ্যমে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। যার মাধ্যমে বিনোদনের সুযোগ হয়ে থাকে।
প্রথম সাইফক্স থেকে ভোট পাওয়ার অনুভূতিঃ

ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার পরে টায়ারে থাকলে সাইফক্স থেকে ভোট পাওয়ার যায়। সাইফক্স থেকে ভোট পাওয়ার মানে সোনার হরিন । ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার পর্যন্ত সাইফক্স থেকে ভোটের জন্য বেশ অপেক্ষা করতে হয়। এই জন্য সাইফক্স থেকে ভোট পাওয়ার বেশ আনন্দের। আমি অবশ্যই প্রথম অবস্থায় পাঁচটি পোস্ট করার পরে সাইফক্স থেকে ভোট পেয়েছি। সাইফক্স থেকে ভোট পাওয়ার পর মনে হচ্ছে আমি যেন জীবনে সফলতার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি যেন এভারেস্ট বিজয় করেছি। মনে মনে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সত্যিই এই আনন্দ বেশ দারুণ কখনো ভুলার মত নয়।

প্রথম টাকা উত্তোলনের অনুভূতিঃ

আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার প্রায় দীর্ঘদিন পরে টাকা উত্তোলন করেছি। আমি প্রথম অবস্থায় পাওয়া বৃদ্ধি করতে ছিলাম। আমি তখন চেয়েছিলাম ৫০০০ স্টিম পূর্ণ করতে। তখন হঠাৎ করে আমার আম্মা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার লিভার অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন ছিলো । আম্মার অপারেশনের টাকা যোগাড় করতে যখন হিমশিম খাচ্ছি তখন আমি প্রথম টাকা উত্তোলনের করেছি। প্রথম টাকা উত্তোলন করে আমার আম্মার হাতে দিয়েছি। ঐ টাকা দিয়ে আমার মায়ের অপারেশন করেছি। অনলাইন জগতে কাজ করে প্রথম টাকা উত্তরণের অনুভূতি বেশ দারুন ছিলো। আমার বিপদের মুহূর্তে এই টাকা বেশ কাজ দিয়েছে। আম্মার হাতে যখন টাকা গুলো দিয়েছি তখন আম্মা বেশ খুশি হয়েছে। টাকা হাতে পেয়ে যখন আম্মা খুশি হয়েছে তখন আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এই দৃশ্য বেশ অসাধারণ ছিলো। আম্মার হাতে টাকা পাওয়া পরে যে অনুভূতি প্রকাশ করেছে তা জীবনে কখনো ভুলবো না। আমার জীবনের স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকবে আম্মার হাতে টাকা দেওয়ার অনুভূতি।

বাংলা ভাষা ব্লগিং করার অনুভূতি

আসলে স্টিমিট প্লাটফর্মে বাংলা ভাষায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবো তা কখনো ভাবি নি। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করা। প্রাণের ভাষায় যখন বাংলা ব্লগিং করার সুযোগ পেয়েছি তা আমাদের জন্য বেশ গর্বের এবং অত্যান্ত আনন্দের । আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা আমাদেরকে এতো চমৎকার কমিউনিটি উপহার দিয়েছেন। বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে বাংলা ভাষা ব্লগিং করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। নিজ মাতৃভাষায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার আনন্দটাই অন্যরকম। নিজের মাতৃভাষায় যে কোনো বিষয়ে খুব সহজে স্বাচ্ছন্দ ভাবে উপস্থাপন করা যায় তা অন্য কোন ভাষায় করা যায় না। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যখন নিজের অনুভূতি প্রতিনিয়ত প্রকাশ করছি তখন বেশ ভালো লাগছে। এই কমিউনিটির মাধ্যমে সহজে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। এজন্য দাদা নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মাতৃভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার মাধ্যম হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির। এই কমিউনিটি ছাড়া আর অন্য কোন কমিউনিটিতে বাংলা ভাষা ব্লগিং করার তেমন সুযোগ নেই। এই কমিউনিটির মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে স্টিমিট প্লাটফর্মে মাধ্যমে বিশ্ব দরবারের সবার নিকট তুলে ধরেছেন প্রিয় দাদা।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে ইনকামের সোর্সঃ

বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকরির বাজার বেশ খারাপ। একটি চাকরি পাওয়া সোনার হরিণ চাইলে সহজে চাকরি খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা এখন খুব সহজে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারছি। এখানে কাজ করে ইনকাম করা সত্যিই বেশ ভাগ্যের ব্যাপার। আসলে কিছু কিছু ভাগ্য সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে লিখে থাকে। আমি মনে করি সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছাড়া এখানে কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব নয়। স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতার মাধ্যমে যেকোনো কাজ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে ইনকাম করা যায়।

এবিবি চ্যারিটি নিয়ে আমার অনুভূতি

স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হলো সেরা কমিউনিটির এখানে সকল কিছুই বিদ্যমান। শ্রদ্ধেয় দাদা অত্যন্ত দয়ালু এবং উদার মনের মানুষ। দাদার উদ্যেগে এবিবি চ্যারিটি গঠন করা হয়েছে। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য যে কারো সমস্যা সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসা কর্তব্য। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির যে কোন সদস্যের অসুস্থতা এবং শিক্ষাগত আর্থিক সমস্যা সহ যেকোন বিশেষ সমস্যা সমাধানে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই এবিবি চ্যারিটি। কমিউনিটির সদস্যদের যে কোন আপদে বিপদে এই এবিবি চ্যারিটি পাশে থাকে। বিষয়টি সত্যি আমাদের জন্য খুব বড় পাওয়ার। কারণ শ্রদ্ধেয় দাদা নিজ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। যেকোন সদস্য তার আপদে-বিপদে এখান থেকে সহযোগিতা নিতে পারবে এই বিষয়টা সত্যিই বেশ অসাধারণ। বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার উদারতা, মহানুভবতা ও কার্যকলাপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এবিবি চ্যারিটি এই উদ্যোগটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। অন্য কোন কমিউনিটিতে সহযোগিতার জন্য চ্যারিটি আছে কিনা জানি না। সত্যি আমরা খুব সৌভাগ্যবান আমরা এমন কমিউনিটি পেয়েছি যেখানে যেকোনো আপদে বিপদে সবার পাশে থাকে।

মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

নিজের মাতৃভাষা কে প্রাধান্য দিয়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি গঠন করা হয়েছে। নিজ মাতৃভাষা বাংলাকে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য আমার বাংলা ব্লগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৫২ সালে ৮ ফাল্গুন নিজ মাতৃ ভাষা রক্ষার জন্য নিজের বুকে তাজা রক্ত বিলীন করে দিয়েছে। শহীদদের কে স্মরণ করে এবং মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। সবার মাঝে মাতৃভাষা বলার চর্চা এবং শুদ্ধ ভাবে লেখার জন্যই দিবসটি বেশ গুরুত্বসহকারে কমিউনিটি পালন করা হয়। কমিউনিটিতে এই দিবসটি পালন করা আমাদের জন্য সত্যি বেশি গর্বের এবং আনন্দের। এই দিবসে মাধ্যমে আমার চেষ্টা করি বাংলা ভাষাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সুস্থ ভাবে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা ও প্রসারের অন্যতম উৎস হলো ভাষা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে সকলের কাছে ছড়িয়ে যাবে বাংলা ভাষা।

ডিসকর্ড সার্ভারের মাধ্যমে সকলের মাঝে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হওয়ার অনুভূতি

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য হচ্ছে আমার পরিবার। পরিবারের সকলের সাথে আমরা যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখি ঠিক তেমনি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যদের সাথে ডিসকর্ড সার্ভার মাধ্যমে সুসম্পর্ক বজায় রাখছি। ঘুম থেকে উঠে এখন ডিসকর্ড সার্ভারে প্রকাশ করছি। সকালের সাথে মতবিনিময় এবং তথ্য আদান প্রদান করছি। ঘুম থেকে উঠে শুভ সকাল বলার মধ্যে দিয়ে দিনের প্রতি মুহূর্ত ডিসকর্ড সার্ভারে কাটিয়ে দিই ঘুম যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শুভ রাত্রি বলে। এখন আমার প্রতিটি মুহূর্ত কাটে ডিসকর্ড সার্ভারে সকালের সাথে কথা বলার মাধ্যমে। যদি কোন কারনে ডিসকর্ড সার্ভারের মাধ্যমে পরিবারের সবার সাথে তথ্য আদান প্রদান এবং আড্ডা দিতে না পারি। ঐ দিন আমার ভালো যায় না কেমন যেন হৃদয়ের মাঝে শূন্যতা অনুভব হয়। কথা বলতে না পারার এক ধরনের কষ্টে ভুগে থাকি।

আমার বাংলা ব্লগ আমার স্বপ্ন

আমি প্রতিমুহূর্তে স্বপ্ন দেখি আমার বাংলা ব্লগকে নিয়ে। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হলো সেরা কমিউনিটি। শ্রদ্ধেয় দাদার যোগ্য নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা এবং প্রজ্ঞার মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি স্টিমিট প্লাটফর্মে সেরা কমিউনিটি হিসেবে অবস্থান করছে। এই কমিউনিটিতে কাজ করা আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল নিয়ম কানুন অত্যন্ত সুন্দর। যা সাধারণ ইউজারদের বিষয় বিবেচনা করে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে। দাদার যোগ্য নেতৃত্ব আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির আলো সকলের মাঝে পৌঁছে যাবে। বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি হবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। এই কমিউনিটিতে কাজ করা অত্যান্ত সম্মানের এবং গর্বের বিষয় । আমার বাংলা ব্লগে কাজ করে আমি দূর থেকে বহুদূর এগিয়ে যাবো সফলতার উচ্চ শিখরে। সারাক্ষণ স্বপ্ন দেখি নতুন কিছু করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার।

নিজের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের মাধ্যম

আসলে আমরা যখন কোন অফিস আদালত বা, কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি তখন ঐ প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কাজ আমাদের করতে হয়। নিজের ইচ্ছা থাকলেও নিজের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের তেমন কোনো সুযোগ থাকে না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে আমাদের নিজের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার। আমরা যে কোন মুহূর্তে যে কোন পরিস্থিতিতে নিজের আবেগ, অনুভূতি, সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারছি। আমরা যে কোন ইউনিট রেসিপি তৈরি, যে কোনো আর্ট বা, পেইন্টিং করা, কবিতা আবৃত্তি গান পরিবেশন, যে কোনো ডাই প্রজেক্ট প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। আমাদের সৃজনশীলতা এবং ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছি প্রতি মুহুর্তে। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে নিজের দক্ষতা প্রকাশের মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি দুর্দান্তভাবে। অত্যন্ত আনন্দ সহকারে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি নতুন কিছু করে নিজেকে সবার মাঝে তুলে ধরার। নিজের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার।

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি সেরা কমিউনিটিঃ

স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি অনেক কমিউনিটিতে কাজ করেছি। সত্যি কথা বলতে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মতোন এতো সুন্দর কমিউনিটি আর আমি দেখি নি। এই কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত সাধারণ ইউজারদের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রতিমাসে বেশ দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে যা অন্য কোন কমিউনিটিতে করা হয় না। কমিউনিটির ডিসকর্ড সার্ভারের মাধ্যমে সকলের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যে কোন সমস্যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা যায়। যে কারো সাথে আড্ডা দেওয়া যায়। কমিউনিটির সকলের সাথে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ভাতৃত্ববোধের সৃষ্টি হয়। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যে সুযোগ সুবিধা গুলো আছে তা অন্য কোন কমিউনিটিতে নেই। ইউজারের সুবিধার জন্য আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর পদক্ষেপ গুলো নিয়ে থাকেন। যে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে আমাদের এডমিন মডারেটর প্যানেলের ভাই বোনেরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে থাকে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হচ্ছে একটি সেরা কমিউনিটি। স্টিমিট প্লাটফর্মে যতো কমিউনিটি আছে সবার উপরে রয়েছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। সাধারণ ইউজারদের জন্য নতুন নতুন বিষয় উপস্থাপন করা হয়। যেমন এবিবি ফান, অনু কবিতা, ডেলিগেশন সার্ভিস সমূহ ইত্যাদি। প্রতিনিয়ত নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আসেন যা প্রতিটি ইউজারকে অনেক বেশ অনুপ্রাণিত করে। এখানে সাধারণ ইউজারদের ভালো মানের সাপোর্ট দেওয়া হয়। সাধারণ ইউজারদের সে কোন ভালো কাজের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এই কমিউনিটির পোস্ট কোয়ালিটি বেশ অসাধারণ। এই কমিউনিটিতে কোন প্রকার কপিরাইট পোস্ট এবং স্টিমিট প্লাটফর্মে অপরাধযোগ্য যে কোন পোস্ট করা হয় না।

দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির নিজের সাথে থাকার প্রত্যয়

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। এই কমিউনিটি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা সম্ভব নয় । জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মিশে আছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ঘিরে জীবনে সকল চাওয়া পাওয়া। ভালোলাগা ভালোবাসার অনুভূতি জাগ্রত হয় এখানে। নতুন ভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছে জাগ্রত হয় প্রতি মুহূর্তে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে। জীবনে সফলতা খুঁজে পায় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি থেকে। আনন্দ আর বিনোদন অন্যতম উৎস হল এই কমিউনিটি। তাই যতোদিন বাঁচবো ততোদিন আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে থাকবো, ইনশাল্লাহ।

সবশেষেঃ
এই কমিউনিটি হাজারো মানুষের আস্থার একটি স্থান। হাজারো মানুষ স্বপ্ন দেখে এই কমিউনিটিকে নিয়ে। হাজারো বছর ধরে বেঁচে থাকবে আমাদের এই কমিউনিটি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই কমিউনিটিতে কাজ করবে। দাদা যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে করে খুব সহজে এই কমিউনিটি সফলতা উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবে। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হবে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি। এই কমিউনিটি মাধ্যমে বিশ্বের সকল মানুষের নিকট পৌঁছে যাবে নিজের মাতৃভাষা বাংলা। এই কমিউনিটি হবে হাজারো মানুষের ইনকামের সোর্স । এই কমিউনিটি মাধ্যমে আমাদের প্রিয় দাদা এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের সম্মান এবং নাম সকলের অন্তরে গেঁথে যাবে। প্রিয় দাদা এমন ভাবে কমিউনিটি গড়ে তুলবে কমিউনিটির সাফল্য এবং প্রশংসা বর্ণনা করতে দাদার প্রতি সম্মান এবং কৃতজ্ঞতা মাথা নতো হবে হৃদয়ের ভালোবাসা থেকে। পরিশেষ বলতে চাই আমার বাংলা ব্লগ তুমি আমার হৃদয়ে। তোমার সাফল্য দেখে আনন্দিত হয়ে বারবার। তোমার সাফল্য কামনা করে প্রতিমুহূর্তে। দাদা এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা অবিরাম।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

G0mIPwfurEJVlbirXIKFAUZVIuK.jpg

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

♥️ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ 🖤

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আপনার স্মৃতিকথা মূলক রচনা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি আপনার অনুভূতি গুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। ভালো লাগা অনুভূতি গুলো সত্যিই দারুন ছিল।এটা ঠিক বলেছেন নিজের সৃজনশীলতা কে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা সত্যি ই এতে ভালো লাগা কাজ করে।

এতো দুর্দান্ত মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।

আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে কবিতা টা দারুণ লিখেছেন ভাই। কবিতার মাধ‍্যমে আপনার অনূভুতি টা দারুণভাবে প্রকাশ করেছেন। আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে আমার স্মৃতিমূলক মূহূর্ত গুলো দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটা বিষয় আলাদা করে তুলে ধরেছেন। এটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। সত্যি আপনার অনূভুতি টা একেবারে আলাদা আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে। সুন্দর লিখেছেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো চমৎকার প্রশংসা করে মন্তব্য করার জন্য।

প্রতিযোগিতার পোস্ট এডিট করা উত্তম নয়। এই পোস্টে লেখা বেশি হওয়ার কারণে পোস্টটি করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে পোস্টের লেখা গুলোকে দুই পর্ব করে পোস্ট করেছি। প্রথম পর্ব পোস্ট করার পর দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করেছি আশা করি সবাই সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।