সবাইকে শুভ দীপাবলির অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন ।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, শুভ দীপাবলি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

source

আসুন শুরু করি

আমরা সকলে অবগত আছি, আজ শুভ দীপাবলি। সহস্র প্রদীপ জ্বালিয়ে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছেন দীপাবলি উৎসব। দীপাবলি উৎসবের সাথে সাথে রয়েছে শ্যামাপূজা। যদি আমি সনাতন ধর্মের সম্পর্কের বিষয়ে তেমন অবগত নয়। এই দিনটি আমাদের সনাতন ধর্মের ভাই বোনদের নিকট বিশেষ একটি দিন। আলোর আগমনে অন্ধকার বিদায় , সত্য ছড়িয়ে পড়ুক সকলের হৃদয়ে অন্যায় দূর করে শুভ ও কল্যাণ বয়ে আনার উপলক্ষে আলোক সজ্জায় সেজে উঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। মোম বাতির মতোন আলোকিত হবে হৃদয়। হৃদয়ের সকল অন্যায়, অত্যাচার, পাপ, মিথ্যে, প্রতিহিংসা দূর হবে। এই দিনটি বিশেষ মর্যাদা পালন করার জন্য গৃহকোণ আলোকিত করা হয় মাটির প্রদীপের স্নিগ্ধ আলোর দ্বারা।

অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক হচ্ছে দীপাবলি। তাই এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। শুভ দীপাবলির প্রার্থনা হলো দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সব সময় অর্থে এবং কল্যাণে ভরে থাকুক সকল মানব হৃদয়ের প্রাণ। দীপাবলি উৎসবের উজ্জল আলো যেমন ভরে উঠে চারপাশ তেমনি হৃদয়ের অন্ধকার দূর হয়ে হৃদয় আলোকিত হোক প্রতি মুহূর্তে। শুভ দীপাবলির প্রার্থনা হলো সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যে ভরে উঠুক মানব জীবন, জীবনে সর্বদা হাসি বজায় থাকবে শুভ দীপাবলির উজ্জল আলোর মতোন। সকলের জীবন ভরে উঠুক আনন্দের আলোয়। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর শুভ দীপাবলির উৎসব পালন করা হয় বিশেষ মর্যাদায়।

শুভ দীপাবলির কে কেন্দ্র করে বেশ উৎসব পালন করা হয়। এইটি বাংলা কার্তিক মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে প্রতি বছর। এই দিন সব হিন্দুর বাড়িতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে‌ থাকে। বলা যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটা প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হয় শুভ দীপাবলিকে। শুভ দীপাবলির আলোর উৎসবে সকল প্রিয়জন কে শুভেচ্ছা বার্তা আদান প্রদান করা । শহরের অলিগলি গ্ৰাম বাংলার প্রতিটি বাড়ি সেজে ওঠে আলোর মালায়। রকমারি আলো, প্রদীপ এবং মোমের আলোর রোশনাইতে চারিদিকের অন্ধকার ঘুচে যায়।

উজ্জল আলোতে চারদিক আলোকিত হয়। শুভ দীপাবলির মুহূর্ত গুলো কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা আর পুজো করার মাধ্যমে অতিবাহিত করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে সবাই শ্যামা পুজো করে থাকে। শুভ দীপাবলি মূলত পালন করা হয় অন্ধকারের ওপর আলোর বিজয়, মন্দের ওপর ভালোর এবং অজ্ঞতার ওপর জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে । শুভ দীপাবলির উৎসব কে আলোর উৎসব বলা হয়ে থাকে। সকলে বেশ সুন্দর ভাবে শুভ দীপাবলির উৎসব পালন করুক। আঁধার দূর হয়ে কল্যাণ বয়ে আসুক সকলের মাঝে এই প্রত্যাশা রইলো। পরিশেষে সকলকে আবারও শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।