যারা ইচ্ছে করে কাজের মান অনুযায়ী স্বীকৃতি দেয় না তাদের বিচার নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা করবে।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, যার ইচ্ছে করে কাজের মান অনুযায়ী স্বীকৃতি দেয় না তাদের বিচার নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা করবে এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

source

আসুন শুরু করি

হৃদয়ে অনেক কষ্ট জমা রয়েছে। সবখানে সব কথা বলতে পারি না। কথা বললে হয়তো বেয়াদব হয়ে যাবো আর না হয় চাকরি থাকবে না। তাই হৃদয়ের চাপা কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াই। বর্তমান পরিবেশ এবং পরিস্থিতি আমার এমন। পরিবেশ এবং প্রস্তুতি যেহেতু আমার প্রতিকূলে তাই নীরব থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমার। নীরব থেকে শুধু চোখের অশ্রু মুছতে থাকি। আর মনে মনে ভাবি নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা ঐ সফল দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিচার করবে যারা সব কিছু বিবেচনা না করে অবহেলা এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্যের সফলতাকে বাধাগ্রস্ত করে।

অনেকে দায়িত্বশীল ব্যক্তি মনে করে, কার কাজ খুবই পরিশ্রমের মাধ্যমে হয়েছে আর অন্যজনের কাজ পরিশ্রম ছাড়াই হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের কাজের জন্য দুই ধরনের নীতি বাস্তবায়ন করে। যারা দায়িত্বশীল রয়েছে তাদের পছন্দের মানুষের জন্য এক ধরনের নীতি আর যারা তেল বাজি করতে পারে না সব সময় নীরব থাকে তাদের জন্য অন্য ধরনের নীতি বাস্তবায়ন করে। কেউ বড় ধরনের ভুল করলেও খুব সহজে মেনে নিয়ে সফলতা দিয়ে থাকে হাসিমুখে। আবার কেউ খুবই সূক্ষ্ম ভুল করলেও তা বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং ঐ সূক্ষ্ম ভুলের জন্য কাজের সফলতা দেয় না । এ ধরনের দায়িত্বশীল ব্যক্তি আমাদের সব জায়গায় বিরাজমান। অধীনস্থ হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না ।

যে কোন কাজে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অতি পছন্দের ব্যক্তি তখন হওয়া যায় যখন খুবই তেল বাজি করতে পারা যায়। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে একটু কৌশলে গুছিয়ে হেসে কথা বলতে পারলে তাদের আপন হওয়া যায়। আর যারা কৌশলে কথা বলতে পারে না নীরব থাকে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে সবসময়। যারা নিরবে কাজ করে যায় তাদের কাজের স্বীকৃতি ঐ রকম ভাবে দেওয়া হয় না তারা অবহেলিত হয়ে থাকে। বর্তমানে এখন সবখানে সর্বস্তরে দেখতে পাওয়া যায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দ্বিমুখি নীতি। এই দ্বিমুখি নীতির কারণে অনেক চেষ্টা করে সফলতা পায় না। আবার কেউ নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে সফলতা পেয়ে থাকে।

কেউ হাজারো চেষ্টা করে সফল হয় না। আর কেউ কোন রকম কাজ করে সফলতার দেখা পায়। এখানেই বৈষম্য সৃষ্টি হয় দায়িত্বশীল এবং অধীনস্থ ব্যক্তিদের মাঝে। যখন কেউ প্রাণপণে হাজারো চেষ্টা করে সফল হয় না তখন তার মানসিক অবস্থা কোন পর্যায়ে দাঁড়ায় একমাত্র সেই বুঝে যে সফলতা পাই নাই। অন্য কারোর নিকট বিষয়টা স্বাভাবিক মনে হবে। কিন্তু বিষয়টা স্বাভাবিক নয় । কোন কাজ এমনিতে হয় না পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে করতে হয় । এ কারণে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রতি অধীনস্থ ব্যক্তিদের আস্থা থাকে না। যার কারণে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রতি হৃদয়ের ভালোবাসা এবং সম্মান কমতে থাকে।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।