চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত / তৃতীয় পর্ব।

in hive-129948 •  4 days ago  (edited)

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

1000065178.jpg

আমি গত পর্বে আপনাদের মাঝে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজ তৃতীয় পর্ব উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। শামুক-ঝিনুকের অলংকার ও পণ্য সামগ্রীর কিছু কেনাকাটা করার পর এখন আমরা কিছু খাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম। আজ আমি আপনাদের বিভিন্ন খাবার দোকান ফাস্ট ফুড আইটেম এবং আচারের দোকান গুলোতে কাটানো অনুভূতি জানাবো। সমুদ্র সৈকতের পাড়ে ভাজাপোড়া, পেয়াজু, কাঁকড়া ভাজা সহ সামুদ্রিক মাছ ভাজার খাবারের অনেক গুলো অস্থায়ী দোকান রয়েছে। সেখানে খাবারের দাম একে বারে বেশি নয় আবার কম নয়। খাবারের দাম মোটামুটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।

আমরা প্রথমে ঘুরে ঘুরে খাবার দোকান গুলো দেখছি। অনেক দর্শনার্থী এবং ভ্রমণ পিপাসু মানুষের বেশ আনন্দ সহকারে খাবার খাচ্ছে। আমরা অনেকক্ষণ ঘুরে দেখার পর একটি খাবার দোকানে বসলাম। দোকানদার আমাদেরকে কি খাবো তা জিজ্ঞেস করলো? আসলে সমুদ্রে পাড়ে গেছে সেখানে ভাজাপোড়া, পেয়াজু, আলুর চপ বেগুনি এই খাবার গুলো না খাবারটা উত্তম। আমি মনে করি সেখানে কাঁকড়া ভাজা সামুদ্রিক মাছ ভাজা খাওয়া বেশ ভালো হয়। কারণ সাধারণত আমরা কাঁকড়া ভাজা সামুদ্রিক মাছ ভাজা প্রায় সময় খেতে পারি না। শুধু মাত্র সমুদ্রের সৈকতে ঘুরতে গেলে এসব খাবার আমরা হাতের কাছে পেয়ে থাকি।

আমরা তিনটে কাঁকড়া ভাজা এবং দুইটা সামুদ্রিক মাছ ভাজা অর্ডার দিলাম। আমি পরোটার দিয়ে একটা কাঁকড়া ভাজা খেয়েছি। কাঁকড়া বেশ বড় ছিলো ‌। সবার সাথে গল্প করতে করতে মুচমুচে কাঁকড়া ভাজা খেতে খুব ভালো লেগেছে। সত্যি কাঁকড়া ভাজা খাওয়ার মজাটাই খুবই কোনরকম ছিলো। বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু মনে হলো আমার কাছে। সবাই বেশ সুন্দর ভাবে খাওয়া দাওয়া করেছে। যারা সামুদ্রিক মাছ খেয়েছে তাহলেও বলেছে সামুদ্রিক মাছ বেশ সুস্বাদু ছিলো। আমাদের খাবারের বিল এসেছে ৮৬০ টাকা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সমুদ্র পাড়ে আরো কিছুক্ষণ ছিলাম।

তারপর আমরা আচারের দোকানে চলে গেলাম। আচারের দোকানে গিয়ে তো আমি হারিয়ে গিয়েছি। যে দিকে তাকায় সেদিকে শুধু আচার আর আচার বলতে গেলে আচারের সমাহার। আমার মনে হয় আচারের রাজ্যে আমি চলে এসেছি। সারি সারি অনেক আচারে দোকান রয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। আমরা প্রথমে বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে আচারের দোকান গুলো দেখছি। তারপর আচারের দোকানে প্রবেশ করলাম। আচারের দোকানে অনেক রকম আচার দেখতে পেলাম। দেখি বিদেশি অনেক রকমের আচার আম, তেঁতুল, আমলকী, আমড়া, বরই, কাঁচা মরিচ, রসুন, জলপাই, চালতাসহ নানা রকমের মিক্স আচার দেখতে পেলাম।

পাওয়া যায় এখানের দোকানগুলোতে। আসলে আচার খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ হওয়া যায় না ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই আচার পছন্দ করে থাকে। আচার খুবই লোভনীয় জিনিস। সবাই খেতে খুব পছন্দ করে। আসলে আচার দেখলে আমিও লোভ সামলাতে পারি নাই। দূর দূরান্ত বাইরের কোথায় ঘুরতে গেলে পরিবার ছোট ভাই বোনেরা এবং আত্মীয়-স্বজন সবাই বলে তাদের জন্য কিছু নিয়ে যেতে। ছোট ভাই বোনদের জন্য বিভিন্ন খাবার জিনিস বাসায় নিয়ে গেলে বেশ খুশি হয়। আমি যখন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসবো বলছি, তখন আমার ভাগিনা ভাগ্নি এবং চাচাতো বোনেরা আমাকে আচার নিয়ে যেতে বলছে। আমিও তাদের জন্য কিছু আচার কিনে নিলাম।

আসলে অনেক রকমের আচার যেইটা দেখি ঐটা আমার পছন্দ হয়ে যায়। কোনটা রেখে কোনটা কিনবো ভেবে পাচ্ছি না। তারপরও আমি কিছু আচার কিনে নিলাম। সবগুলো আচার দেখতে খুবই দুর্দান্ত মনে হলো আমার কাছে । আর দোকানদার তো মনে হয় আমাকে সব আচার দিয়ে দিবে টাকা ছাড়া এমন অবস্থা হলো। আজ আর নয়। আগামী পর্ব আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্ব উপস্থাপন করবো।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

G0mIPwfurEJVlbirXIKFAUZVIuK.jpg

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

puss_mini_banner4.png

Banner PUSS.png

♥️ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ 🖤

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সমুদ্র সৈকতে কাটানো সময় সত্যিই একদম আলাদা, কাঁকড়া ভাজা দেখে যেন মুখে জল চলে এসেছে। শুনে ভালো লাগলো যে আপনি কাঁকড়া খেয়েছেন, আর সমুদ্র পাড়ে এত ভিন্ন রকম আচার দেখে অবাক হলাম। মনে হচ্ছে এক দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে, সত্যিই অসাধারণ। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

1000065182.jpg

1000065183.jpg

1000065184.jpg

বাইরে ঘুরতে গেলে কিন্তু অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। তাই আমি বাইরে ভ্রমণটাকে পছন্দ করি কিন্তু বাইরে চলাচলানো হয় না। আমি কখনো কাকড়া খেয়ে দেখি নাই। আজকে আপনি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি এবং সে বিষয়ে তথ্য শেয়ার করেছেন। অনেক কিছু জানলাম এই পোস্টে।

সমুদ্র সৈকতে কাটানোর মজাই আলাদা,কাঁকড়া ভাজা দেখেই লোভ লেগে গেল।আপনি কাঁকড়া খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো, আর সমুদ্র পাড়ে এত আচার দেখে অবাক হলাম।দারুণ সময় পার করেছেন মনে হচ্ছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার এই পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম আপনি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করেছিলেন। সেখান থেকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আজকে সেই ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটা করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। এমন ভ্রমণগুলো আমার কাছে ভালো লাগে। তবে এখন ব্লগিংয়ের জন্য আরো সুবিধা হয়েছে স্মৃতি আকারে রাখার।

আমার ছোট বেলা থেকেই কক্সবাজার যাওয়ার অনেক ইচ্ছা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দিন যাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি দেখছি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরাঘুরি করলেই এত সুন্দর কিছু জিনিস দেখা যায় যেগুলো কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে। যেমনটা আপনি আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখিয়েছেন আমার তো ইচ্ছে করছে এখানে আবার চলে যাই। তবে ভাজাপোড়া আইটেমগুলো সেখান থেকে না খাওয়াই বেটার হয়। আচার গুলো দেখলেই তো লোভ লেগে যায়। ইচ্ছে করে সেখান থেকে সবকিছুই নিয়ে ফেলি। যাই হোক পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো আরও একটা মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই জায়গাটা আমাকে অনেক বেশি পছন্দের। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অনেক বেশি মনোমুগ্ধকর। আপনি ওখানে ঘুরাঘুরি করার সময় খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এখন অপেক্ষায় থাকলাম চতুর্থ পর্বটা পড়ার জন্য।

কোন প্রিয় জায়গায় ঘুরতে গেলে সেখানকার প্রিয় জিনিসগুলো খেতে ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে কাঁকড়া খেলেন দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আর অন্যান্য খাবারগুলো দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে অনেক ধন্যবাদ।

ভাইয়া আপনি দেখছি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘুরতে গেলেন এবং আমাদের মাঝে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। তবে এটি ঠিক বলেছেন সমুদ্র এলাকার ভাজাপোড়া এগুলো না খাওয়া ভালো। তবে কাঁকড়া দেখলে লোভ সামলানো যায় না খাওয়ার জন্য মন চায়। তবে আপনি ঘুরতে গিয়ে আপনার ভাগিনা ভাগ্নি তাদের জন্য আচার কিনেছেন শুনে ভালো লাগলো। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মুহূর্তটা অনেক ভালো ছিল। আর আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপনার কাটানো পুরো মুহূর্তটি। ঘুরাঘুরি করার সময় এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে মজার মজার খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে লোভ লাগলো। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর করে পুরো মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছেন। সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার এই একটাই মজা সেখানে সমুদ্রের পাশাপাশি সুন্দর ইউনিক জিনিসপত্র পাওয়া যায় দোকানগুলোতে যা আমাদের শহরাঞ্চলে পাওয়া যায় না। আমি আপনার ভাই বোন এবং ভাগ্নে এদের জন্য আচার কিনেছেন জানতে পেরে ভালই লাগলো। সেখানে আবার কাকড়া ভাজি খেয়েছেন। সব মিলিয়ে বেশ আনন্দঘন সময় উপভোগ করেছেন।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আমার ছোট বেলা থেকেই চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ইচ্ছা, কিন্তু এখন পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। তবে আপনার ফটোগ্ৰাফি, খাবার দাবার এবং আপনার অনুভূতি পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমি আজকেই চলে যাই। কিন্তু এখন যেতে চাইলে তো আর হবে না,দেখি পরবর্তী বছরে সময় করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।