প্রথম ভালবাসা। (পর্ব-৩)

in hive-129948 •  2 years ago 
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

daisies-gf65051016_1920.jpg

সোর্স

বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার লেখা প্রথম ভালবাসা গল্পটির তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি তৃতীয় পর্বটিও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল গল্পে যাওয়া যাক।

তো অনেকদিন পর চলে আসলাম নিজ বাড়িতে। বাড়িতে এসে দেখি এলাকাটা যেন অনেকটাই চেঞ্জ হয়ে গেছে। এত প্রথমে আমি সোজা বাড়িতে যাই। তো আমাকে দেখে বাবা-মা তো অনেক খুশি। অনেকদিন পর বাড়িতে এসে আমারও বেশ ভালো লাগছিল। তো তারপর আমি হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। এরপর আমার যে পুরনো বন্ধু ওরা ছিল তাদের সাথে একটু ঘুরতে গেলাম। তো কয়েকদিন ছুটি থাকার কারণে বেশ ভালোই সময় কাটালাম অনেক আড্ডা মস্তি গল্প গুজব করে। তো দেখতে দেখতে কলেজ সিলেক্ট করার দিন চলে আসলো। আমি বাড়ির আশেপাশে এবং একটু দূরে যতগুলা কলেজ আছে সবগুলো সিলেক্ট করে দিলাম। যাইহোক দেখতে দেখতে একদিন হঠাৎ করে মোবাইলে মেসেজ আসলো আমি একটা কলেজে চান্স পেয়েছি। যাই হোক আমি যে কলেজে ঢোকার কথা বলছিলাম সেই কলেজেই চান্স পেয়েছি । এটা জেনে আমার মনে আনন্দ লাগলো তো আমি বেশি দেরি না করে কলেজে গিয়ে ভর্তি হই।

তারপরে আমি প্রথম দিন কলেজে যাই মনে হচ্ছিল ছেলেদের ছাড়া মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। পরে দেখলাম আমার কয়েকটা বন্ধুরাও কলেজে ভর্তি হয় আমি তাদের সাথে আড্ডা দিই গল্প করি। যেহেতু আজকে প্রথম দিন সেহেতু স্যার একেক জনকে দাঁড় করালো করে পরিচয় নিলো সবার এরপর তিন থেকে চারটা মত ক্লাস হলো হওয়ার পরে ছুটি হয়ে গেল। তারপর বলতে গেলে এভাবেই কলেজে যাওয়া আসা করতে করতে সাত থেকে আট দিন কেটে গেল। একদিন হঠাৎ করে একটা মেয়ে আমাকে ডেকে বলল এই তোমার নাম পারভেজ না। আমি বললাম জ্বী আমি তো আপনাকে ঠিকমতো চিনতে পারলাম না আপনি কে । তারপরে সে বলল তুই সত্যি চিনতে পারছিস না আমি কে । আমি বললাম না। ও বলল যে আমার নাম শারমিন এবার তো চিনতে পারছিস।

তারপরে আমি বললাম ও বন্ধু তুমি কেমন আছো? তারপরে ও বলল ভালই আছি। তারপরে আমি বললাম যে তুই মাক্স পড়েছিলি তো তার জন্য আমি তোকে চিনতে পারি নী। তারপরে ও আমাকে বলল যে তোকে তো এতদিন দেখা যায় নাই দু থেকে তিন বছর। আমি বললাম যে আমি মামার বাড়ি গেছিলাম যেয়ে পড়াশোনা করছিলাম ওই জায়গায় ছিলাম তাই জন্য তুই দেখতে পারিস নাই আমাকে। তারপরে ও আমাকে বলল যে আমার শুক্র বারের দিন বিয়ে তকে দাওয়াত দিলাম তুই চলে আসিস। আমি বললাম তুই এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করছিস কেন ও আমাকে বলল বাড়িতে সমস্যা তো তাই জন্য আর কি। তারপর শারমিন বলল যাই হোক তুই শুক্রবার দিন চলে আসবি একটু সকালে । আমি বললাম যে ঠিক আছে।তারপরে শারমিন বলল যে আমার বাড়িতে অনেক কাজ আছে বন্ধু আমি চলে যাই তাহলে বাড়িতে আমি বললাম যে ঠিক আছে তুই যা। তারপর দেখতে দেখতে শুক্রবার চলে আসলো আমি সকাল বেলায় রওনা দিলাম যাওয়ার পরে অনেক কাজ করলাম বিয়ে বাড়িতে।দেখতে দেখতে দশটা বেজে গেল তারপরে আমার একটা মাক্স পড়া মেয়ের দিকে নজর পরলো......

চলবে,,,

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রথম ভালোবাসার গল্পটি শুনে অনেকটাই ভালো লাগলো। আসলেই সবার জীবনে কোন না কোন প্রথম ভালোবাসা থাকেই। আপনি যে কলেজে ভর্তি হতে চেয়েছেন সেই কলেজে ভর্তি হতে পেরেছেন দেখে আমার ভালো লাগলো। নিজে ইচ্ছে ছাড়া অন্য কোন কলেজে ভর্তি হলেও মনটা খারাপ হয়ে। পুরনো দিনের বান্ধবীর সাথে দেখা হয়েছে দেখেও ভালো লাগলো। কিন্তু বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কাকে দেখে দাড়িয়ে গেলেন বুঝতে পারলাম না। কি জানি কার প্রেমে পড়লেন হয়তো। পরবর্তী পর্বের জন্য অনেক আগ্রহে নিয়ে বসে আছি।

ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য

মানুষের জীবন বৈচিত্র্যময়। মানুষের জীবনে এমন অনেক প্রকার ঘটনা থেকে থাকে, তবে সবাই সবকিছু শেয়ার করতে চায় না সবার মাঝে। যাইহোক আমি আপনার আজকের এই লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আশা করি পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার জন্য

তোর লেখা গল্পটি পড়ে বেশ ভাল ছিল। যেহেতু তুই এবার প্রথমবারের মতো গল্প লিখছিস সেই অনুযায়ী তোর গল্পটা বেশ ভালই ছিল। কি বলবো তোর পরবর্তী পর্বে জন্য আমি অপেক্ষায় নেই কারণ আমি জানি তোর গল্পের পরবর্তী পর্ব কি হতে চলেছে। 🤪 যাই হোক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এই সুন্দরকল্পটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর জ্ঞান প্রদান করার জন্য