ভ্রমন প্রিয় বনভোজন শেখ রাসেল শিশু পার্ক | 10% Beneficiary To @shy-fox

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

শেখ রাসেল শিশু পার্ক নামে ভেড়ামারার প্রাণকেন্দ্রে সাতবাড়িয়া তে সরকার কর্তৃক শেখ রাসেল শিশু পার্ক তৈরি করা হয়। শেখ রাসেল শিশু পার্কে আমার বাড়ির পাশে। অনেক দূর দূরান্ত থেকে এই শেখ রাসেল শিশু পার্কে বেড়ানোর জন্য আসে মানুষজন কিন্তু আমি ও এলাকার মানুষজন শেখ রাসেল শিশু পার্ক নিয়ে কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে না কারণ বাড়ির কাছে বলে।

কথায় আছে গোয়ালের গরু ঘরের ঘাস খায় না। তাই ভেবে আমরা এলাকার বন্ধুরা সবাই মিলে পরিকল্পনা করে আজকে একটি বড়োসড়ো বনভোজনের আয়োজন করেছিলাম। বনভোজন টি করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শেখ রাসেল শিশু পার্কে সুন্দর ও মনোরম ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং শেখ রাসেল শিশু পার্কের মধ্যে রান্নার আয়োজন করে একটি আনন্দ অনুষ্ঠান তৈরি করা।

অবশেষে বনভোজন টি সুন্দর ও মনোরম ভাবে সফল হয়েছে। শেখ রাসেল শিশু পার্ক এর কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

received_188521663340730.jpeg

আজকের দিনটি আমার জীবনের স্মরণীয় ও স্মৃতিময় একটি দিন। আজ আমরা বন্ধুরা ও পাড়ার সব ছেলেরা মিলে আমাদের বাড়ির পাশে শেখ রাসেল পার্কে বনভোজনের আয়োজন করেছিলাম। বেশ অনেক বড় করেই বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। বনভোজনের মেনুতে ছিল খিচুড়ি ভাত ,মুরগির মাংস ও ডিম।

received_898361640777364.jpeg

আজকে সকালে আমরা কয়েকজন মিলে বনভোজনের জন্য সব বাজার করে এনেছিলাম। তারপর পার্কে বসেই আমরা সব রান্নার জোগাড় করতে লাগলাম। রান্নার জোগাড় করতে করতে আমরা সবাই পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।

received_887698178514226.jpeg

পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর। পার্কের ভেতরে অনেক ধরনের পাখি রয়েছে। কবুতর, কাকাতুয়া, বাজরিকা ,টিয়া ,ময়না অনেক ধরনের পাখি খাঁচাতে বন্দি রয়েছে। এই পাখিগুলো পার্কের সৌন্দর্যটা আরো অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে।

received_430691368225431.jpeg

এদিকে আমাদের রান্নার জোগাড়টাও প্রায় হয়ে এসেছিল। তারপর আমরা সবাই রান্না শুরু করলাম।
আমরা পাশে গান-বাজনার ব্যবস্থাও করেছিলাম। আমরা সবাই গোল করে বসে গান-বাজনাও করছিলাম এবং পাশাপাশি আড্ডাও দিচ্ছিলাম আর অন্যদিকে কয়েকজন মিলে রান্না করছিলাম।

received_357720499399335.jpeg

রান্না-বান্না শেষে আমরা সবাই পার্কে বসে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এখন পার্ক টা ঘুরে দেখব। তারপর আমরা সবাই যে যার যার মত এদিক ওদিক ঘুরে পার্ক টা দেখতে লাগলাম।

received_319695839904102.jpeg

পার্ক টা সবুজ গাছপালা ও বাহারি রঙের ফুলে ঘেরা ছিল। গোলাপ ফুল ,গাঁদা ফুল ,শিউলি ফুল ,জবা ফুল ,ডালিয়া ফুল ,কৃষ্ণচূড়া ফুল ,সকাল সন্ধ্যা ফুল ও আরও নানা ধরনের ফুলে ঘেরা ছিল পার্ক টি।

received_1238464763273679.jpeg

পার্কের মধ্যে গিনিপিক, খরগোশ, বনমোরগ আরো নানা ধরনের পশু পাখি রয়েছে। আমরা খাঁচার বাইরে থেকে পশুপাখি গুলোকে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম এবং তারা আমাদের দেওয়া খাবার খাচ্ছিল। পার্কের মধ্যে একটি বড় ক্যান্টিন রয়েছে যেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দ মতো খাবার কিনে খাচ্ছিলাম।

received_190058929724197.jpeg

পার্কে খাওয়া-দাওয়া এবং বসার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। খাওয়ার পরে নোংরা ফেলার জন্য পার্কের ভেতর এক কোণে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা আছে।

received_310928657494300.jpeg

পার্কের মধ্যে বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেক ধরনের খেলনা রয়েছে। দোলনা ,স্লিপার ,ঢেঁকি, নাগরদোলা ও আরো অনেক ধরনের বাচ্চাদের আনন্দ দায়ক জিনিস রয়েছে।

received_229954455711230.jpeg

পার্কের ভিতর অনেক ধরনের পশুপাখির মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলো অনেক সুন্দরভাবে নিপুর হাতে বানানো হয়েছে।

received_787128381967152.jpeg

বাঘ ,সিংহ, হাতি ,হরিণ ,বানর, ঈগল, হাঁস ,পরী ,পাখি আরো নানা ধরনের জীবের মূর্তি পার্কের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই মূর্তি গুলো কে
সুন্দর করে রং করা হয়েছে যেন এগুলো কে দেখে আসল মনে হয়।

received_1024988414983983.jpeg

পার্কের অন্য সাইডে পাথর দিয়ে ঝরনা তৈরি করা হয়েছে যা পার্কের সৌন্দর্য কে আরো অনেক বাড়িয়ে দেয়।

received_2605226136446062.jpeg

পার্কটি ঘুরে দেখতে দেখতে হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলো। বৃষ্টিতে আমরা তাড়াহুড়ো করেই যে যে যার যার মতো পার্কের ছাউনি দেওয়া জায়গাগুলোতে আশ্রয় নিলাম।

received_2715285918772225.jpeg

বৃষ্টির সময় আমরা সবাই বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম। বৃষ্টিতে ভেজা পার্কটি দেখতে আরো অনেক সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। পার্কের গাছপালা ও ফুলগুলো যখন বৃষ্টিতে ভিজেছিল তখন সেগুলো তার এক অপরূপ রূপ সৃষ্টি করছিল।

received_358767212596340.jpeg

বৃষ্টি অনেকক্ষণ ধরে হতে লাগল, থামছিল না। তখন আমরা ঠিক করলাম এই বৃষ্টিতে আমরা গান-বাজনা করব। তারপর আমরা সবাই মিলে গান-বাজনা করতে লাগলাম । বৃষ্টি সবাই সবার মতো উপভোগ করতে লাগলাম।

Devicerealme 8
Camera64 mp
Photo byAl-Amin

W3w

IMG_20210726_020130.jpg

আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ওদশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, বর্তমানে আমি সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছি,আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি সুন্দর মুহূর্তে কাটিয়েছেন। প্রিয় জন দের সাথে একসাথে সময় কাটিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ ।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

খুব সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্ট।আপনার পোস্ট টা পড়ে মনে হচ্ছে পার্কটি যেন আমি ঘুরে দেখলাম।

বি:দ্র: W3W location কোড প্রতি তিন মিটারের জন্য ভিন্ন হয়। সুতরাং আপনি যেহুতু এখানে একাধিক ছবি দিয়েছেন। ছবির যথাযোগ্য লোকেশন দিলে ভালো হয়।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।

সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার মূহুর্ত গুলো ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

আপনার কাটানো ভ্রমনের সময়টা খুবই সুন্দর ছিল। আমার তো নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। পোষ্টটা বেশ গোছালো ছিল। এভাবেই এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

পাখি আমার অনেক প্রিয়। আমার কাছে পাখি খাঁচার চাইতে খোলা আকাশে দেখতে অনেক ভালো লাগে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।