"২০০০ ব্যাচ" ২য় গেট টুগেদার এর পূর্ব প্রস্তুতি ও আমার অনুভূতি (১০% পে- আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)

in hive-129948 •  3 years ago 

স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামুয়ালাইকুম" আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।

IMG_20211116_154601.jpg

বেশ কিছুদিন আগের কথা আমাদের ফেসবুকে "২০০০ ব্যাচ" নামে একটা গ্রুপ আছে। সে গ্রুপের মাধ্যমে আমরা যারা২০০০ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। সল্টগোলা, বন্দর, চট্টগ্রাম। এই বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম তাদের সবার সাথে আমাদের এই গ্রুপে একটা কথোপকথন সবসময় চলতে থাকে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে একজন আরেকজনের সাথে তেমন একটা সরাসরি দেখা না হওায় আমরা সবাই মিলে এক জায়গায় কিভাবে হতে পারি তার জন্য আমরা এই "2000 ব্যাচ" এর একটি গেট টুগেদারের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও চট্টগ্রামে যারা ছিল এ আয়োজনটি দায়িত্ব তারাই নিয়েছিল। আমরা যারা দূর-দূরান্ত থেকে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তারা এ আয়োজনের অতিথি মাত্র।

এবং সবার সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা সবাই একমত হয়ে ১২ ই নভেম্বর ২০২১ ইংরেজি সকলে একসাথে এই গেট টুগেদারের সফল করার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম। বলতে বলতে সেদিনটি প্রায় কাছাকাছি চলে আসলো এবং আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য কিন্তু বাচ্চাদের পরীক্ষা থাকায় তাদেরকে নেওয়া সম্ভব হল না সেই জন্য আমি একাই সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। ১০ ই নভেম্বর ২০২১ইং আমি রাত ১১ টায় এনা ট্রান্সপোর্ট বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে একটি টিকেট সংগ্রহ করে এবং চট্টগ্রাম উদ্দেশ্যে রওনা হই।

সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল ২০০৪ সালে আমাদের একবার প্রথম এই গেট টুগেদারের আয়োজন করা হয়েছিল এরপর থেকে আমাদের সবারই তেমন একটা দেখা সাক্ষাৎ হয়নি কখনো। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত আমরা একসাথ হতে পারিনি। তো সেই জন্যই সবার সাথে দেখা হবে মনে খুবই আনন্দে উৎফুল্ল নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

IMG_20211110_235032.jpg

IMG_20211110_230312.jpg
লোকেশন

নিচের এই ছবিটি ভোর চারটার সময় কুমিল্লার একটি হোটেলে বাস যখন বিরতি দিয়েছিল তখন আমি ফ্রেশ হয়ে এক কাপ কফি খাচ্ছিলাম সেটাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।

IMG_20211111_042848.jpg

এই ছবিটি আমি যখন ফেনী আসলাম তখন ফজরের আযান হয়ে যায় তাই ড্রাইভার গাড়িটাকে সাইট করে। যাদের নামাজ পড়ার প্রয়োজন তারা নামাজ পড়ে নিলাম।

IMG_20211111_054410.jpg

আমি চট্টগ্রামে পৌঁছেছে আমার ছোট বোনের বাসায় উঠি। সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সেরে আমি বেশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম। যেহেতু সারারাত জার্নি করেছিলাম খুব একটা ঘুম হয়নি আর সেই কারণে আমি একদিন আগে চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। তো মোটামুটি গ্রুপের মাধ্যমে সবাই জেনে গেছে আমি পৌঁছে গেছি। তাই বিকালের দিকে আমার বন্ধুরা আমাকে ফোন দেয়া শুরু করলো। আমিও তাদের ফোন পেয়ে চলে গেলাম আমার সেই পুরনো চিরচেনা একাডেমিতে। যেখানে জীবনের অনেকটা সময় আমি কাটিয়েছি খেলাধুলার মাধ্যমে।
এই ছবিটিতে আমার সেই পুরনো স্কুল বন্ধুদের সাথে যাদেরকে আমি খুব মিস করি সব সময়।

IMG_20211111_164050.jpg

নিচে আমি বেশ কিছু একাডেমির ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।

IMG_20211111_165950.jpg

IMG_20211111_170936.jpg

এই ছবিতে আমরা বন্ধুরা মিলে হোটেলে বসে বিকেলের নাস্তা সেরে নিলাম।

IMG_20211111_171640.jpg

নাস্তা সেরে উঠতে না উঠতেই মাগরিবের আজান হয়ে গেল আমি এবং আমার বন্ধুরা নামাজ পড়তে চলে গেলাম মসজিদ। নামাজ শেষ করে যখন মসজিদ থেকে বের হলাম তখন মসজিদের সামনের লাইটিংটা আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছিল তাই আমি ছবিটা আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম।

IMG_20211111_173931.jpg

এরপর আমরা সেখানে যারা ছিলাম তারা সবাই মিলে চলে গেলাম আমার আরেক বন্ধুর বাসায় সেখানে সে একটা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে। তো আমরা সেখানে সবাই উপস্থিত হলাম ১২ তারিখের অনুষ্ঠানকে কিভাবে সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় সেটাকে নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

IMG_20211111_195308.jpg

received_419146529706231.jpeg

লোকেশন

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা ১৭ বছর পর একজন আরেকজনকে কাছে পেয়ে কি যে আনন্দিত কি যে উৎফুল্ল তা ভাষায় বুজাতে পারব না। আমরা সেই রাতেই ধরতে গেলে একটা মিনি গেট টুগেদার করে ফেলেছিলাম এবং সবাই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।

আমি আমার অনুভূতি ও আনন্দঘন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমার আনন্দঘন মুহূর্ত ও অনুভূতি গুলো কেমন লেগেছে আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।

শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel

বিভাগফটোগ্রাফি
ডিভাইসরেডমি নোট ১০এস
লোকেশনগাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩
ফটোগ্রাফার@alauddinpabel
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সবাই এখন যোগাযোগ রেখেছেন, এটাই তো দারুন ব্যাপার। Re union টা হয়ে গেলো। অনেকে বাচ্চা কাচ্চা নিয়েও চলে এসেছে। এটাই দরকার, করোনা মানুষকে একা করে দিয়েছে, তাই এগুলো হওয়া বেশি জরুরি। 🤗♥️

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমরা এই জন্যেই এরকম একটি রিইউনিয়ন এর ব্যবস্থা করেছি যাতে করে করোনাকালীন সময়টাকে পিছনে ফেলে সামনে দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় আবার নিজেদেরকে দাঁড় করাতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা অবিরাম।

আপনাদের মিলন মেলা দেখে সত্যিই অবাক হওয়ার মত। ১৭ বছর পরও যে আপনারা একে অপরের সাথে সম্পর্ক রেখেছেন সেটা ভাবার বিষয়। এবং আপনি আপনার মনের অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে নামাজ পড়ে মসজিদে যে লাইটিংয়ের ফটোগ্রাফি টা নিয়েছেন সেই ছবিটা চোখ জড়িয়ে গেছে। সবমিলিয়ে আপনি অসাধারণ লিখেছেন যা সত্যিই আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আপনার অসাধারণ ও গঠনমূলক মন্তব্যে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনি আমাদের এ বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন এবং সে অনুযায়ী সুন্দর করে মন্তব্য দিয়েছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।