এক চিলতে আশা
কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। মাঝে মাঝে টিউশনের টাকা জোগাড় করতে তাকে রিকশা চালাতে দেখা যেত। কখনও কখনও তার মাকে সাহায্য করতে বাজারেও যেতে হতো। তবুও সাকিবের মনোবল একবারও ভাঙেনি। প্রতিদিন নতুন করে কিছু শিখতে তার আগ্রহ ছিল।
একদিন, তার স্কুলে একটি ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা এসে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সেখানেই সাকিব জানতে পারে, কিছু কলেজ প্রতিবছর অসচ্ছল ছাত্রদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ প্রদান করে। সেই দিন থেকে সাকিবের আশা আরও বেড়ে যায়।
অবশেষে, সাকিব আবেদন করল মেডিকেল কলেজের স্কলারশিপের জন্য। সে জানত প্রতিযোগিতা খুবই কঠিন, কিন্তু তার মনে বিশ্বাস ছিল যে তার কঠোর পরিশ্রমই তার সাফল্য এনে দেবে। তিনি অনেক রাত জেগে পড়ালেখা করেছেন, পরীক্ষায় ভালো করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।
স্কলারশিপের ফলাফল ঘোষণার দিন সাকিবের হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল। সে স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কলেজের সাইটে ফলাফল চেক করতে গিয়েছিল। তার চোখের সামনে যখন তার নামের পাশে সিলেক্ট
লেখা দেখল, তার চোখে জল চলে এলো। সে বুঝতে পারল, তার কঠোর পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত সার্থক হয়েছে।
মা-বাবাকে