বাবার সাথে প্রথম ঢাকা শহরে আসার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-২

বাবার সাথে প্রথম ঢাকা শহরে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো।আসলে ঢাকা শহর যেন স্বপ্নের মত ছিল আমার কাছে। কারণ প্রথম প্রথম আমি ঢাকা শহরে যাচ্ছি তাও আবার পরিবারের সাথে, আসলে ঢাকা শহরে যাব অনেক পরিকল্পনা করেছি, চিড়িয়াখানা যাব এবং আরো সুন্দর জয়গা কিছু মুহূর্ত উপভোগ করব। বিশেষ করে বাবার ছুটি পেয়েছে আর ছুটিতে আমাদের অনেক জায়গায় নিয়ে যাবে। যার কারণে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতেছিলো। তাই আমি বাবার সাথে প্রথম প্রথম ঢাকা শহরে গিয়েছিলাম। আর ঢাকা শহরের প্রথম প্রথম যাওয়ার এই অনুভূতিটা ছিল অসাধারণ। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকের এই গল্পের ২য় পর্বের শেয়ার করলাম। আশা করি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আমরা যখন কমলাপুর রেলস্টেশনের নামলাম।তখন রেল স্টেশন এর দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তারপরে সেখান থেকে আমরা বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে খালাম্মার বাসার দিকে রওনা দিলাম। আর ঢাকা শহরে রিকশা নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তটা আমার বেশি ভালো লেগেছে। কারণ চারপাশে যেন অনেক বড় বড় বিল্ডিং ছিল। আর এই বিল্ডিং গুলো দেখতে ছিলাম। আসলে প্রথম প্রথম আমি ঢাকা শহরে যাচ্ছি, তখন আমি এই সুন্দর ঢাকা শহরের পরিবেশ দেখতে পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত ছিলাম। তারপরে আমরা আস্তে আস্তে খালাম্মার বাসায় নিচে আসলাম।

তারপর বাসায় এসে বেশি ভালো লাগার, কারণ হলো প্রথম প্রথম আমি লিফটে উঠেছিলাম। আসলে খালাম্মা ছয় তলাতে থাকতো।তাই যেতে হলে লিফটে যেতে হয়। তাই বাবার সাথে প্রথম লিফটে গেলাম। লিফটে যখন উঠলাম তখন আমার ভয় হচ্ছিল। কারণ কি রকম একটা যেন ধাক্কা লাগলো। আর প্রথম প্রথম লিফটে এসে অনেক বেশি ভালো লাগলো।তারপর বাসায় এসে খালাম্মাকে দেখতে পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত হলাম। কারণ খালাম্মা আমাকে খুবই বেশি ভালোবাসে। তাই খালাম্মার সাথে এক বছর পর দেখা হয়েছে। সেজন্য আমার অনেক বেশি ভালো লাগতেছিলো।প্রথমে আমরা বাসায় এসে গোসল দিয়ে খাবার খেলাম।

তারপরে খালাম্মাকে বললাম আমি জাতীয় চিড়িয়াখানায় যাব। সেখানে অনেক পশুপাখি রয়েছে। খালাম্মা বললো আগামীকাল চিড়াখানায় নিয়ে যাব। কারণে খালাম্মা বলল যে বিকেলবেলা যাওয়া যাবে না, কারণ সকাল বেলা গেলে তুমি সকল পশুপাখি দেখতে পাবে। আমি বললাম যে এত কষ্ট করে এসেছি বিকেলে যেতে মন চাচ্ছে। তখন খালাম্মা বলল যে আমাদের বাসার পাশে একটা মাঠ রয়েছে, সেখানে শিশু পার্ক রয়েছে। আর এই শিশু পার্কে গেলে অনেক কিছু দেখতে পাবে। তারপরে খালাম্মার সাথে আমি বিকালবেলায় সেই শিশু পার্কে আসলাম। আর শিশু পার্কে এসে অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো আমার।

শিশু পার্কে এসে আমি অনেক খেলাধুলা করেছি। তার মধ্যে আমার বেশি ভালো লেগেছে, সেখানে আমার সমবয়সী আরো অনেকেই ছিল। আর এই সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে আমি আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি। তারপরে আমি ময়ূর পাখি দেখতে পেলাম। আর ময়ূর পাখি পেখম মেলে ছিল। এই ময়ূর পাখি দেখে খুবই আনন্দিত হলাম। তখন খালাম্মা বলল যে সকালে যখন চিড়িয়াখানায় যাব, তখন তুমি সকল ধরনের পশু পাখি দেখতে পাবে। তারপরে থেকে আমার অনেক বেশি ইচ্চা করতে ছিলো চিড়িয়াখানায় যেতে। কখন আমরা চিড়িয়াখানায় যাব। এটা নিয়ে ভাবতে ছিলাম।