আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বাবার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দে ছিল। স্মৃতিময় সেই দিনের কথা আজ খুবই মনে পড়ে। বাবার সাথে আমি অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি। তো এই ভ্রমণের মধ্যে বাবার সাথে আমি একবার পাহাড়ে গিয়েছিলাম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের পরে আমি হিমছড়ি পাহাড়ে গিয়েছিলাম বাবার সাথে। সে বার প্রথম আমি পাহাড়ে উঠেছিলাম। আর এই পাহাড়ে ওঠার মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দদায় ছিল। তাই স্মৃতির পাতায় রাখা সেই দিনের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আজকের এসেছি। তো বন্ধুরা চলুন স্মৃতিময় এই গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।
আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করি। আর তখন ছিল আমাদের স্কুলের ছুটির সময়। সেই সময় আমি বাবা এবং পরিবারের সকলেই মিলে আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আসলে আমি প্রথমবার তখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। যার কারণে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমার সাথে আমার ছোট মামা ছিল। মামার সাথে আমি খুবই আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আর বাবা সাথে আমরা গিয়েছিলাম কক্সবাজারে, সবাই মিলে প্রথমবার কক্সবাজারে যাওয়া ছিল তাই সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। তো কক্সবাজার গিয়ে বিকালবেলা আমরা সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছি। সমুদ্রের পাড়ে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো ছিল। বাবা বলল যে তোমরা কি পাহাড়ে যাবে নাকি, আমি এবং আমার সাথে মামা তখনি বললাম হ্যাঁ আমরা পাহাড়ে যাব, কারণ পাহাড় এর আগে আমি কখনো দেখিনি।
তাই বাবা যখন প্রথমবারই পাহাড়ে কথা বলেছিল, তখন অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আর পাহাড় কত সুন্দর হবে এই মুহূর্তগুলো আমি কল্পনা করতেছিলাম।মামার সাথে আলোচনা করতেছিলাম। মামা বলল যে পাহাড়ে আমারও যাওয়া প্রথম হবে, এর আগে আমিও কখনো পাহাড়ে উঠিনি। কিন্তু পাহাড়ের গল্প অনেক শুনেছি। যার কারণে আমি মামা খুবই আনন্দের সাথে বাবাকে বললাম ঠিক আছে আমরা কিন্তু ভোর বেলায় যাব। বাবা বলল যে সমুদ্রের পাড় দিয়ে ভোর বেলায় যেতে হয়, জোয়ার ভাটার আগে পার হতে হয়। যার কারণে আমরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবো। তাই আমি অনেক আনন্দের সাথে ঘুমিয়ে পড়লাম এবং সকালে ভোরেই বাবা একটা ডাক দেওয়ার সাথে সাথে আমি ঘুম থেকে উঠে, মামাকে ডাক দিলাম। মামা তাড়াতাড়ি রেডি হলাম।
এই পাহাড়ে যাওয়ার মুহূর্ত অনেক বেশি ভালো লেগেছে, কারণ আমি বাবা আমার আম্মা এবং ছোট মামার সাথে ছিল আর আমার ছোট বোনই ছিল। পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে আমরা একটি সিএনজি করে হিমছড়ি পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাড় দিয়ে এই হিমছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তখন যেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। জোয়ার ভাটার সমুদ্রের পার দিয়ে যেতে হয়। সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল এবং আমরা যখন গা ঘেষে যাচ্ছিলাম তখন এত ভালো লাগছিল যা বলার মতো না।
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1878865873773236677?t=Ih3Y7L_Hl38nehdbQ-f63Q&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বেই আপনার কক্সবাজারের ঘুরতে যাওয়ার আনন্দঘন মুহুর্ত খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো। প্রথম বার পাহাড় দেখার অনুভূতি আসলেই রোমান্চকর নিশ্চয়ই। আপনারা তাহলে ভালোই আনন্দ করেছেন বোঝা গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পাহাড়ে ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণের মুহূর্তের অংশটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আশা করছি আগামী পর্বের আরো ভালো কিছু জানতে পারবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কক্সবাজার এবং হিমছড়ি পাহাড়ে ভ্রমণের গল্পটি খুবই প্রাণবন্ত এবং আনন্দময়। প্রথমবার পাহাড় দেখার সেই উত্তেজনা, পরিবারের সাথে সময় কাটানোর আনন্দ, এবং সমুদ্রের পাড় দিয়ে পাহাড়ে যাওয়ার স্মৃতিগুলো বেশ ইমোশনালভাবে বর্ণনা করেছেন। গল্পের পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া প্রথমবার পাহাড়ে ওঠার বেশ কিছু সুন্দর অনুভূতি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমিও অনেক আগে একবার কক্সবাজার হিমছড়িতে গিয়ে পাহাড়ের উপর উঠেছিলাম। আজ আবারও আপনার কক্সবাজারের অনুভূতিগুলো পরে পাহাড়ে উঠতে ইচ্ছে করছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit