বাবার সাথে পাহাড়ে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প //শেষ-পর্ব

in hive-129948 •  22 days ago 

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বাবার সাথে পাহাড়ি ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আর এই ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দদায়ক ছিল। আসলে আমরা যখন কক্সবাজার পুরো ফ্যামিলিসহ ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। তখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পারে হিমছড়ি পাহাড়ে আমরা ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আর এই পাহাড়ের ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম ছিল, তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে পাহাড়ের ভ্রমণ করার স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পেরই শেষ করব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আজকের গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


father-and-son-8828819_1280.jpg


পাহাড়ে উঠে গিয়ে আমার অনেক বেশি পানি পিপাসা পেয়েছিল। তাই আমরা পাহাড়ের উপরে একটি দোকান দেখতে পেয়ে ছিলাম।সেখান থেকে পানি খেলাম। পানি খেয়ে আবারো বাবার সাথে আমি পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে লাগলাম। পাহাড়ের চূড়ায় অনেকক্ষণ পর উঠলাম, তবে আমারও আমি অনেক হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম। আমার শরীর থেকে যেন ঘাম বের হচ্ছিল। আর আমি পায়ে কোন শক্তি পাচ্ছিলাম না। বাবা তখন হাত ধরে আমাকে আবারও পাহাড়ে উঠিয়ে নিল এবং পাহাড়ের একদম চূড়াই গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে অনেক দোকানপাট এবং একটি বসার সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এগিয়ে সেই বসার জায়গায় বসলাম।


পাহাড়ের উপর থেকে পাহাড়ের দৃশ্য আমি ভালোভাবে উপভোগ করতেছিলাম। আসলে পাহাড়ে আসলে মন অনেক ভালো হয়ে যায়। আর প্রকৃতির সৌন্দর্যময় উপভোগ করতে হলে মানুষ পাহাড়ে না গেলে বুঝবে না প্রকৃতি এত সুন্দর। পাহাড়ের উপর থেকে এই সৌন্দর্যময় সবুজে ঘেরা পাহাড়ের দৃশ্য আমি ভালোভাবে উপভোগ করতেছিলাম। আর এত ভালো লাগতেছিল যা বলার মতো না। মনের ভিতরে অনেক শান্তি লাগতেছিলো,পাহাড়ের চূড়ায় থেকে সমুদ্রের পাড়ের দৃশ্য অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিলো।


পাহাড়ের উপর থেকে ঝর্ণার দৃশ্য দেখতেছিলাম। আর এই ঝর্ণার দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ ছিল। মনের ভিতরে যেন অনেক আনন্দ হয়েছিলো। ঝর্ণার পানি প্রবাহিত হচ্ছে, পাহাড়ের অনেক নিচুতে এই পানি পড়ছে সেই দৃশ্য আমরা উপভোগ করলাম। তারপরে দেখতে পেলাম পাহাড়ের উপরে অনেক ফটোগ্রাফার তারা ছবি তুলে দেয়। আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আসলে তারা খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের ফটোগ্রাফি করেছিলো।


পাহাড়ের এই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসলো। পাহাড়ের উপর থেকেই সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য আমি খুবই ভালোভাবে উপভোগ করলাম। সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছি। আসলে পাহাড় থেকে নামতে আমাদের অনেক সময় লেগেছিল, তবে উঠতে যতটা কষ্ট হয়েছে ততটা হয়েছিল না। সবাই মিলে পাহাড়ে কাটানো মুহূর্ত অনেক বেশি আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। এই প্রথম আমি পাহাড়ের প্রকৃতির মাঝে এসেছিলাম, তো বন্ধুরা আপনাদের মাঝে এই পাহাড়ে ভ্রমণের স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি

সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

প্রথম অবস্থায় কোন কিছু উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। আর পাহাড়ের উঠা মুহুর্তে মানুষ অনেক পিপাসিত হয়ে যায়। আপনি সমস্ত বিষয়গুলো অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। আপনার ছোটবেলার পাহাড় দেখার বিষয়টা জানতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।

আপনার বাবার সাথে পাহাড়ে ভ্রমণের সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। এই স্মৃতিময় গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো।