বর্ষাকালের কাটানো সেই স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা এখন খুবই মনে পড়ে আসলে বর্ষাকাল আসলেই যেন স্মৃতিময় সেই দিনের কথা বেশি মনে পড়ে। তবে আগের মতো আর এখন বর্ষাকালে অতটা বেশি কষ্ট হয় না। কারণ আগে যখন বর্ষাকাল আসতো তখন গ্রামবাসীর অনেক বেশি কষ্ট হতো। বিশেষ করে গ্রামের সকল দুঃখী মানুষ বসবাস করত। আর তাদেরই যেন এই বর্ষাকালের কষ্ট বেশি লক্ষ্য করা যেত। বিশেষ করে চলাচলের এবং খাবারের জন্য অনেক বেশি কষ্ট হতো। কারণ গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যেত, তারা থাকার মতো ভালো আশ্রয় পেতো না। খাবার তো দূরের কথা। আর এই স্মৃতিময় সেই দিনগুলোর কথা ভাবতে যেন এখন খারাপ লাগে। এখন বর্ষা আসলে চারো দিক থেকে যেন তৃণ নিয়ে সবাই হাজির হয়। আগে এইগুলো ছিল না। যার কারণে বেশি কষ্ট হয়েছে। তারপরে বর্ষাকালে কাটানো সেই মাছ ধরা ও নৌকা ভ্রমণের মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছিল। তো স্মৃতির পাতা থেকে একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আসলে বর্ষাকাল আসলে গ্রামের খুব অল্প মানুষই ছোট ছোট নৌকা কিনতো চলাচলের জন্য। আর অনেক মানুষই কষ্ট উপভোগ করতে হতো।দেখা যেত তারা কলা গাছ দিয়ে ভেলা বানিয়ে চলাচল করতো। তো আমার বাবা, চাচা এবং দাদা মিলে একটি ছোট নৌকা কিনে এনেছিল। এই ছোট নৌকা দেখে আমার খুবই মন খারাপ হয়েছিল। কারণ আমি ভেবেছিলাম মেশিনের চলাচলের জন্য বড় নৌকা কিনে নিয়ে আসবে। তারপরে যখন এই ছোট নৌকায় করে রাতের বেলায় আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে আমাকে নিয়ে ভ্রমণ করালো। তখন আমার অনেক ভালো লাগলো। বললাম পরেরবার যখন বর্ষা আসবে, তখন মেশিনে নৌকা কিনে দিতে হবে। তো রাতের বেলা এই নৌকা নিয়ে ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম ছিল। কারণ রাতে এই সুন্দরময় নতুন নৌকা নিয়ে সেই মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
আমাদের বাড়ির চারো পাশে শুধু পানি আর পানি। কোথাও যাওয়া যাচ্ছিল না, তাই পরের দিন সকাল বেলা আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের ঘাটে, এই নতুন নৌকাটি নেই। নৌকাটি না থাকার কারণে আমার খুবই খারাপ লাগলো। আমি সকলকে বলতেছিলাম আমাদের নৌকাটি কই গোলো।পরে জানকে পারলাম এই নৌকা নিয়ে দাদা মসজিদে চলে গেছে। এবং মসজিদ থেকে আরো কিছু তার বয়সের লোকদের সে পারাপার করছে। আসলে বর্ষাকালে চারিদিকে পানি থাকার কারণে কেউই মসজিদে আসতে পারেনি। যাদের শুধু নৌকা বা কলার ভেলা রয়েছে তারাই নামাজ পড়তে আসে। আর বাকিরা বাড়িতেই থাকে, তো দাদা নতুন নৌকা কিনেছে। যার কারণে তার সম বয়সের মানুষের সাথে গল্প করতেছিল। আর এই নৌকাটি করে তারা ভ্রমণ করতে ছিলো।
তারপর দাদার জন্য অনেকক্ষণ আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম, কিন্তু দাদা আসে না। সে তার সমবয়সীদের সাথে ঘুরতে ছিল। যার কারণে আমার অনেক রাগ হয়েছিল। তারপরেও আমি সেখানে বসে থাকলাম এবং অনেকক্ষণ পর দাদা যখন আসলো তখন আমাকে দেখেই দাদা বুঝতে পেরেছে আমি অনেক সময় অপেক্ষা করতেছিলাম। তখন দাদু বলল আসো তোমাকে নৌকায় করে ভ্রমণ করায়। তখন আমি বললাম যে এই নৌকায় আমি উঠবো না। তখন দাদু আমাকে কোলে করে নিয়ে নৌকায় উঠালো এবং দাদু নিজে চালিয়ে ভ্রমণ করালো,বললো যে কালকে এই নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাব। তুমি সাথে থাকবা, মাছ ধরা কথা শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো। মনের ভিতরে আনন্দ আসলো। যে সত্যি আমরা মাছ ধরতে পারবো, দাদু বলল যে হ্যাঁ তখন ভালো লাগলো।
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1849512706451390545?t=KJiY0hOtNnH6eZKpSCPkig&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit