হঠাৎ ভ্রমণের পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার গল্প//পর্ব-১

in hive-129948 •  21 days ago 

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আমাদের চলার পথে অনেক ধরনের দুর্ঘটনার আমাদের সামনেই ঘটে যায়।আর এই দুর্ঘটনা একটি জীবনের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই আমরা যখনই কোথায় চলাচল করব না কেন সাবধানতার সাথে আমরা চলাচল করব। কারণ দুর্ঘটনা যে কোন মুহূর্তে আমাদের জীবনে আসতে পারে। এই দুর্ঘটনা কখনো বলে কই আসে না। তবে কিছু কিছু দুর্ঘটনা রয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা প্রত্যক্ষভাবে দোষী না হয়ে পরোক্ষভাবে দোষ করে থাকি। যার কারণে আমাদের সাবধানতার সাথে পথ চলা উচিত। তাহলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পাবো। তাই স্মৃতির পাতায় একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার গল্প জমা হয়ে রয়েছিলো। এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করছি আজকের এই গল্পটি পড়ে আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে।


motorcycle-8002032_1280.jpg

এই গল্পটি ঘটে গিয়েছিল আমার সাথেই, আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি তখন আমি আমার মামা বাড়িতে গিয়েছিলাম। মামার ছোট্ট একটি মোটরসাইকেল ছিল। এই মোটরসাইকেলটি আমি প্রথম চালিয়ে মোটরসাইকেল চালানো শিখিয়েছিলাম। যার কারণে এই মোটরসাইকেলের সাথে অনেক স্মৃতি যেন জড়িয়ে রয়েছে। আসলে মামার মোটরসাইকেলটি ছোট ছিল। যার কারণে সবাই এই মোটরসাইকেল দিয়েই চালানো শিখিয়েছে। তবে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে অনেকবারই আমি পড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু কখনো বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আসলে যারা প্রথম প্রথম মোটরসাইকেল চালানো শিখে তারা নানা রকম দুর্ঘটনায় পরে, ছোট বড়। কখনো কখনো বড় হয়ে থাকে। তবে এইসব দুর্ঘটনা আমার জীবনে ঘটেনি। যার কারণে মামার মোটরসাইকেলটি আমি অনেক চালিয়েছি এবং এই মোটরসাইকেলটি ছোট হলেও চালাতে অনেক ভালো লাগতো আমার।


মামা বাড়িতে গেলে আমি এই মোটরসাইকেলটি চালাতাম এবং মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতাম। খুবই ভালো লাগতো মোটরসাইকেলটি চালাতে।ছোট হাওয়াতে আমার কাছে চালাতে অনেক সুবিধা হতো। তো একবার মামার মোটরসাইকেলটি চালিয়ে আমি আমার বন্ধুর বাড়িতে এসেছিলাম। বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য। তো বন্ধুর বাড়িতে এসে অনেক ভালো লাগলো এবং বন্ধুকে সাথে নিয়ে আমরা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। আসলে নদীর পারে তখন নৌকা বাইচ এর প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছিল। আর গ্রামের সকল মানুষ এবং আশেপাশের সকল মানুষই এই নৌকা বাইচ দেখার জন্য নদীর পাড়ে এসেছিল। আর আমরা নদীর উপরে ব্রিজ রয়েছে, এই ব্রিজের উপর থেকেই নৌকা বাইচ দেখার জন্য আগেই চলে আসলাম। তো বন্ধুকে সাথে নিয়ে আমরা চলে এসেছি। আমার আর দুই বন্ধু ছিলাম। ছোট এই মোটরসাইকেলে আমরা তিন বন্ধু মিলে নৌকা বাইচ দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।


আমরা তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল চালিয়ে নৌকা বাইচ দেখার জন্য আসলাম। আসলেই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ নৌকা বাইচ দেখার জন্য অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা এই প্রতিযোগিতাটি অনেক আগ্রহের সাথে দেখতে আসে। হাজার হাজার মানুষ যেন এসে আগে জমা হয়ে রয়েছে। তাই আমরা তিন বন্ধু মিলে অনেক মানুষকে পিছনে ফেলে নৌকা বাইচ দেখার জন্য ব্রিজের উপরে এসে আমরা দাঁড়ালাম। আর সেই নৌকা বাইচ দেখার জন্য আমরা অনেকক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আসলে সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছিল। কারণ সকল বন্ধুরা সেখানে এসেছিলো।আশেপাশের সকল মানুষের সাথে সেই নৌকা বাইচ দেখার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে রইলাম। নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয়েছিলো,আমরা আসার এক ঘন্টা পরে। তারপরে অনেক আনন্দের সাথে আমরা প্রতিযোগী দেখতে থাকলাম। তবে এই নৌকা বাইচে আমাদের বন্ধুদেরকে গ্রামের একটা নৌকা ছিল। সেই নৌকাটি দ্বিতীয় হয়েছিল। আসলে নৌকা বাইচ দেখার মুহূর্তটা অনেক বেশি আমরা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছিলাম।


নৌকা বাইচের প্রতিযোগীতা সবাই এক সাথে দেখেছি এবং বন্ধুর গ্রামের নৌকাটি সেকেন্ড হাওয়াতে আরো আনন্দ হচ্ছিল। সবাই মিলে আমরা উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সেই দিনটি পার করেছি। তারপরে বাড়ি ফেলার পালা, আসলে নৌকা বাইচ দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তখন বাড়ি আসবো, রাস্তাঘাটে অনেক গাড়ি ছিল। যার কারণে ভালোভাবে চালানো যাচ্ছিল না। এমন সময় মামার সেই মোটরসাইকেলটি আমার এক বন্ধু চালানোর সিদ্ধান্ত নিল। যে বন্ধুর গ্রামের নৌকা বাই দ্বিতীয় হয়েছিল ওর নাম ছিল সুজন। যখন সুজন মোটরসাইকেল চালাতে লাগলো আসলে ও খুব একটা মোটরসাইকেল চালায় না। ওর কাছে দেওয়াই অনেক ভুল হয়েছিল। কিন্তু ও চালানোর জন্য বারবার বলতেছিল। বন্ধুকে নাও করতে পারিনি, কিন্তু বন্ধু যখন চালানো শুরু করল রাস্তার মাঝখানে একটি গাড়ির সাথে আঘাত লেগে যায়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তো বন্ধুরা আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি, পরবর্তী কি হয়েছিল সেই অংশটুকু আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করব

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

GridArt_20250201_212617172.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

রোমাঞ্চকর ঘটনা শুনলাম। আসলেই মোটরসাইকেল চালানো শুরুতে এরকম ছোট বড় দুর্ঘটনা হয়েই থাকে এটাই স্বাভাবিক। কোন কিছু শিখতে গেলে একটু তো ব্যথা পেতেই হবে। আপনি আপনার মামার মোটরসাইকেল অনেক চালিয়েছেন জানতে পারলাম সেই সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে গিয়েছেন এবং সেখানে বেশ আনন্দঘন সময় উপভোগ করেছেন।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই দূর্ঘটনা কখনো বলে কই আসে না। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত গাড়ি চালানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করা। আসলে নতুন নতুন বাইক কিংবা সাইকেল চালানো শিখতে গেলে ছোট বড় দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু পরে ভালো ভাবে চালানো শিখে গেলে তেমন একটা আর চালাতে সমস্যা হয় না। আপনার কাহিনী অনেক রোমাঞ্চকর ছিল ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে