হঠাৎ ভ্রমণের পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার গল্প//পর্ব-২

আমাদের জীবনে অনেক ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখে আমরা অনেকভাবেই পরি। কখনো কখনো এই দুর্ঘটনাগুলো অনেক বড় হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো অনেক বড় দুর্ঘটনার মধ্যেও আমরা বেঁচে যাই। আসলে এই দুর্ঘটনাগুলো কখন আসবে কেউ জানে না, হঠাৎ করেই যেন আমাদের সামনে আসে। তবুও আমাদের সতর্কতার সাথে জীবন যেন পার করতে হয়। তা না হলে জীবনের প্রতি আমাদের মায়া মমতা থাকবে না। আমরা যেন উদাসীন হয়ে যাব। আর তখনই আমাদের জীবনে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় আমরা অনেক কিছু হারাবো। তো জীবনের চলার পথে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট। সেই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ছিলাম।আজকে বাকি অংশ শেয়ার করছি।

তো মামার ছোট মোটরসাইকেল নিয়ে আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে নৌকা বাইচ দেখতে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দদায়ক ছিল। যখনই আমার বন্ধুদের গ্রামের নৌকাটি দ্বিতীয় হয়েছিল, তখন আমরা অনেক আনন্দের সাথে সেই মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম এবং নৌকা বাইচ শেষে আমরা যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তখন আমার বন্ধু এই মোটরসাইকেলটি চালিয়েছিল। আসলে ছোট মোটরসাইকেল ছিল। যার কারণে আমাদের এই মোটরসাইকেলটি চালাতে অনেক বেশি ভালো লাগতো। তাই আমি বন্ধুকে সাথে নিয়ে এই মোটরসাইকেল চালিয়েছি, তো বন্ধু যখন মোটরসাইকেল চালালো তখন আমি পেছনে বসে ছিলাম। আসলে নৌকাবাইচ দেখার শেষে সকলেই বাড়ি ফিরছিল। তখন রাস্তাতে অনেক বেশি গাড়ি ছিল। যার কারণে এই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। কারণ কোন দিক দিয়ে গাড়ি আসে কেউ জানে না, হঠাৎ করেই যেন অন্য গাড়ির সাথে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তাই বন্ধুকে আমি বারবার সাবধানতার সাথে মোটরসাইকেল চালাতে বলতেছিলাম।

তো বন্ধু খুবই সাবধানতার সাথেই মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল কিন্তু বন্ধু মাঝেমধ্যেই যেন একটু স্পিডে মোটরসাইকেল চালাতে লাগলো। আর এই রাস্তাতে সবসময় ভ্যান রিক্সা এবং মোটরসাইকেল যাতায়াত করতে ছিল। যার কারণে সামনে একটি ভ্যান পড়ে যায় আর অন্য দিক দিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসতেছিল। তখন বন্ধুর স্প্রিডে চালাচ্ছিল হঠাৎ করে ব্রেক চাপে তো এইটা৷ তো হাইড্রোলিক ছিল না, যার কারণে তখনই একটি ভ্যানের সাথে ধাক্কা লেগে যায় এবং আমাদের মোটরসাইকেলটি রাস্তার নিচে পড়ে যায়। আর আমি যেন পুকুর থেকে লাফ দিয়ে রাস্তার একদম নিচে পড়ে গিয়েছিলাম।

আমি রাস্তার নিচে পড়ে গিয়েছিলাম। রাস্তার পাশেই কলা গাছ ছিলো, আমি সেই গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সেখানেই বসে পড়ি। এবং আমি শুধু পায়ে এবং হাতে একটু ব্যথা পেয়েছিলাম। আর প্যান্টেন মাটি কাঁদা দিয়ে মেখে গিয়েছিল। আমার বন্ধুকে দুইজন মানুষ রাস্তার পাশে শুইয়ে দিয়েছে। এবং মোটরসাইকেল রাস্তার অন্য পাশে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মোটরসাইকেলের একটু ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্ধুর পায়ের উপরে সিলিন্ডার পরে ছিলো। যার কারণে সেখানে গেছে আর সকলেই তখন পানি নিয়ে আসলো।

তখন আমি আসলাম, এসে বললাম বন্ধু তোর আর কোন সমস্যা হয়েছে কিনা, ও শুধু বলল শুধু সিলিন্ডার আমার পায়ের উপর পড়েছে। আর গরম সিলিন্ডার ছিল যার কারণে পায়ে একটু খোসা পড়েছে। আসলে আমরা নৌকা বাইচ দেখে যাচ্ছিলাম বেশি লং টাইম মোটরসাইকেল চালানো হয়নি। যদি বেশি লং টাইম মোটরসাইকেল চালানো হতো তাহলে গরমে বন্ধুর পা একদম পুড়ে যেত। অল্প একটু ফোসা পরেছে। তখন আশেপাশে মানুষ আমাদের অনেক সাহায্য করল।