এখন শীতের সময় এই সময় গ্রামে গঞ্জে বেশিরভাগই মসজিদ মাদ্রাসায় মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আর এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে যেন মেলার আয়োজন হয় এবং উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তাই আমাদের গ্রামের মাদ্রাসায় মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই মাহফিলকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন। গ্রামের সকলেই যেন এই মেলা পেয়ে অনেক আনন্দের সাথে তারা সময় পার করছে। সেই মেলাতে আমি বিকেল বেলা গিয়েছিলাম। গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আপনাদের মাঝে মেলায় কাটানো কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আশা করছি ভালো লাগবে।

এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে আমাদের স্কুল মাঠে এবং এই স্কুল মাঠে দেখতে পেলাম খুবই সুন্দর পরিবেশের মধ্যে মেলা আয়োজন। একটি নাগরদালাও দেখতে পেলাম। বাচ্চারা এই নাগরদোলা পেয়ে খুবই খুশি। গ্রামের বাচ্চারা এমনিতে অনেক বেশি খুশি হয়। তাই তাদের নাগরদোলায় ওঠার মুহূর্ত দৃশ্য দেখতে পেয়ে ফটোগ্রাফি করলাম।

এই মেলাতে দেখতে পেলাম গ্যাসে ওড়ানো বেলুন গুলো। এগুলো গ্রামের বাচ্চারা অনেক বেশি কিনে থাকে। তারা এগুলো দিয়ে অনেক খেলা করে। যার কারণে এই বেলুন বিক্রেতাকে দেখতে পেয়ে ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে এই বেলুর গুলো কেনার ও চাহিদা অনেক বেশি থাকে। মেলাতে যেন এই বেলুনগুলো এখন খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

মিলাতে দেখতে পেলাম পাপড় বিক্রেতাকে। আসলে পাপড় খেতেও আমি খুবই পছন্দ করি। আর গরম গরম তেলে ভাজা এই পাপড় ভাজার দৃশ্যগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি পাপড় কিনলাম। বাড়ির সবার জন্য তারপরে বিভিন্ন রকমের ঝুড়ি বিক্রি করতেছিল, সেই ঝুড়িগুলো কিনলাম।

তারপরে বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা কেনার জন্য আমি এইসব দোকানে আসলাম। আসলে গ্রামের মেলাতে বাচ্চারা অনেক কিছুই খেলনা কিনতে চায়, যার কারণে ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলনা কেনার জন্য আমি এই দোকানে আসলাম। এই খেলনা গুলোর দাম খুবই বেশি ছিল না। তারপরেও আমি এই খেলনা গুলো কেনার জন্য দোকানদারের সাথে কথা বলতে লাগলাম।

মেলাতে দেখতে পেলাম ঝাল চানাচুর আর এই ঝাল চানাচুর গুলো খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। তাই আমি বাড়ির সবার জন্য ঝাল চানাচুর কিনলাম। আসলে মেলার পরিবেশটা ছোটই ছিল, তবে মেলার দৃশ্য আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ছোট এই মেলাতে অনেক আনন্দের সাথে সবাই মুহূর্তগুলো উপভোগ করছে।

গ্রাম্য মেলার এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আসলে ছোট ছোট এই মেলার আয়োজন গ্রামবাসীকে অনেক আনন্দ দেয়।আর এই মুহূর্তগুলো গ্রামবাসী খুবই সুন্দরভাবে গ্রহণ করে। তাই গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষের হাসি মাখা মুখ দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মেলাতে কাটানো মুহূর্ত আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তাই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।🖤✨।