আজকেও আপনাদের সাথে আমি আমার আরেকটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হয়েছি। এবারের গন্তব্য ছিলো রংপুর জেলার চিকলি পার্ক। এই জায়গাটিতেও আমরা আমাদের রংপুর বিভাগ ভ্রমণের সময়েই গিয়েছিলাম।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

চিকলি পার্ক হলো রংপুর জেলার অন্যতম সুন্দর একটি পর্যটন স্পট। চিকলি পার্কটি গড়ে উঠেছে রংপুরের চিকলি বিলকে ঘিরে, আগে একরকম পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো এটি, যার চারপাশ সিটি কর্পোরেশন পরে সংরক্ষণ করে এই বিনোদন পার্কটি স্থাপন করে।

আমরা এখানে যখন গিয়েছিলাম তখন রাত হয়ে গিয়েছিলো, আর এজন্যেই আমরা বলতে গেলে এক অন্যরকম ভাবে পার্কটাকে দেখতে পেয়েছিলাম। অন্যান্য পার্কের মতো এই পার্কটি কিন্তু রাতে বন্ধ থাকে না, পার্কটি রাতেও চালু থাকে। ক্রুজ শিপ ও স্পিডবোটের মাধ্যমে পুরো লেকটা ঘুরে দেখার ব্যবস্থাও এখানে আছে। এছাড়া, চাইলে পার্কের কটেজে রাতও কাটানো যাবে, আবাসিক কটেজগুলো মূল পার্কের মধ্যেই তবে একটু আড়ালে রয়েছে।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

সম্পূর্ণ পার্কটির মধ্যে একধরণের ভাঙ্গা কাঁচের শিল্পকর্মের একটা মোটিফ রয়েছে, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে। পার্কের প্রত্যেকটা অংশেই কোন না কোনভাবে এই ভাঙ্গা কাঁচের মোটিফ অর্থাৎ স্টেইনড গ্লাস মোটিফ টা বিদ্যমান। খাবারের যে রেস্টুরেন্ট টা ছিলো, তার প্রত্যেকটা রুমের একটা করে দেয়ালের এপাশ থেকে ওপাশে রয়েছে বিশাল অ্যাকুয়ারিয়াম, যেখানে আছে রং-বেরঙ্গের মাছ। পার্কের মধ্যেও অনেকগুলো ছোট জলাশয় আছে, যেখানেও মাছ আছে। এই মাছকে খাওয়ানোর ব্যবস্থাও আছে পার্কে। পার্কের মধ্যে রয়েছে একটা অত্যন্ত সুন্দর কৃত্রিম ঝর্ণা, রাতের আলোয় তা আরো অনেক সুন্দর দেখায়।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

পার্কে বড় রাইডের পাশাপাশি ভিডিও গেম আর্কেইডও আছে, আমরা সেখানে কিছু গেম খেলে বেশ মজা পেয়েছি। এছাড়া সেখানে ফোরডি ভিআর মেশিনও ছিলো, যাতে আপনি বেশ সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা পাবেন। এছাড়া সেখানে আরো আছে ওয়াটার পার্ক, যেটা বাংলাদেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ ইনডোর ওয়াটার পার্ক। আমরা বাইরে থেকে ওয়াটার পার্কটিকে দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম এর সৌন্দর্য দেখে, কিন্তু বেশি রাত হয়ে যাওয়ায় ওয়াটার পার্কের রাইডে চড়া হয়নি আমাদের।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

পার্কের মধ্যে অনেকগুলো বিশেষ অঞ্চল আমরা দেখেছি, যা তাদের কাজের উপর বিন্যস্ত করা আছে। যেমন বিশেষভাবে রেস্টুরেন্টের কথা বলা যায়। অনুমতি নিয়ে আমরা খাবারের রেস্টুরেন্টের কিচেনে গিয়েছিলাম ও স্বচক্ষে নিজের খাবার কীভাবে তৈরি হচ্ছে তা দেখেছিলাম, এবং সমগ্র এলাকাটির মতই কিচেনও ছিলো পরিষ্কার ও ছিমছাম। এর বাইরে অনেকগুলো রাইড আছে, যেখানে চড়েও সময় কাটানো যায়। এর পাশেই রয়েছে স্ট্রিট ফুডের একটা বিশাল কাউন্টার, যেখানে অনেক মুখরোচক খাবার আপনি পাবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি আমার জীবনের সেরা দই ফুচকা খেয়েছি এখানে। এই দই ফুচকার কথা বলতে গেলে আমি আর কোন কথা শেষই করতে পারবো না।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

সবমিলিয়ে, আমাকে সুযোগ দেওয়া হলে আমি এখানে বার বার যাবো। আপনারাও ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে, একটা অনেক ভালো সময় কাটবে যে, সেটা আমি সহজেই বলে দিতে পারি। তবে আর যাই হোক, দই ফুচকাটি অবশ্যই চেখে দেখবেন, কারণ সেই স্বাদ আমার জিভে এখনো লেগে আছে।

আশা করি আমার এই রিভিউটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি এই বিষয়ে এখনও অভিজ্ঞ নই, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল করে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
--------- | ---------

---

যদি আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

---

💗ধন্যবাদ💗