ছোটগল্প || মাল্টিভার্স ( চতুর্থ পর্ব )

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার বর্তমানে আমি মাল্টিভার্স গল্পটি লিখেছি এবং আজ এই গল্পের চরিত্র পর্বটি উম্মোচন করব আজকের গল্পের মূল অংশটি লেখার চেষ্টা করব এবং পরবর্তীতে আরও দুটি পর্বে গল্প শেষ করব তবে অনুরোধ করবো যারা আগের পর্বগুলো পড়েনি সেই পর্ব গুলোর পরে আসুন..

ছোটগল্প || মাল্টিভার্স (পর্ব ১)
ছোটগল্প || মাল্টিভার্স ( ২য় পর্ব )
ছোটগল্প || মাল্টিভার্স ( তৃতীয় পর্ব )

অন্য ইউনিভার্সের জন, যে সাদা কাগজ দিয়েছে তাকে আমরা জন ২ বলে সম্বোধন করব এবং এই ইউনিভার্সিটির জনকে আমরা জন বলেই সম্বোধন করবো তাহলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে। তখন জন ২ থেকে পাওয়া চিঠি সম্পর্কে জন ভালভাবে গবেষণা করতে থাকলো। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া ছিল, ওয়ার্মহোলকে কিভাকে স্টাবল রাখা যায় সেই বিষয়ে।

সেই চিঠি অনুযায়ী তারা গবেষণা শুরু করল এবং একপর্যায়ে তারা সেই চিঠি অনুযায়ী মেশিনটা আবার আপডেট করে ফেলল। রবার্ট এবং জন এখন খুবই এক্সাইটেড রয়েছে। আবার তারা মেশিন চালু করল এখন তারা কোনো জীবিত বস্তু ওয়ার্মহোলের সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রেরন করবে বলে চিন্তা করছে। একই সময় তারা একটি বিড়ালকে নিয়ে আসলো এবং ওয়ার্মহোলের ভিতর ছুড়ে মারল কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল ওপার থেকে একটি ইঁদুর চলে এসেছে। অর্থাৎ তাদের ওয়ার্মহোল অনেক চমৎকার ভাবে কাজ করছিল এবং এই ওয়ার্মহোল থেকে অন্য ওয়ার্মহোলের মানুষ বা জন্তু প্রেরন করা সম্ভব।

তাদের পরীক্ষামূলক গবেষণা সফল হয়েছে এবং তারা ওই রাতে সিদ্ধান্ত নিল পরবর্তী গবেষণা আগামীকাল করবে। এই বলে রবার্টকে তার বাসায় পাঠিয়ে দিলো কিন্তু যখন বাসায় যাওয়ার পরে আবার পরবর্তীতে জন আবার ল্যবের মধ্যে ফিরে আসে এবং ওয়ার্মহোল চালু করে সেই ওয়ার্মহোল ভিতরে ঢুকে পরে। এখানে আমরা জনের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে সঠিক একটা সুস্পষ্ট ধারণা পাই। জনের একটি বিষয় সবসময় চিন্তা করত আজ যদি তার বাবা ভালো গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি পেত তাহলে তাদের অনেক অর্থ থাকত এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের কোন সমস্যা হত না। তাই জন ওয়ার্ম হোল তৈরি করে এমন একটি পৃথিবীতে যেতে চায় যেখানে জনের পরিবার অনেক ভাবে বসবাস করছে, যাদের টাকার কোন অভাব নাই এবং সেখানকার জনকে হত্যা করে সেই জনের জায়গা নিয়ে নিবে এবং সেখানে তাদের তার বউ এবং সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। অর্থাৎ এই ইউনিভার্স থেকে চিরতরে চলে যেতে চায়।

তবে জন এতটাও খারাপ মানুষ ছিল না, সে পরিস্থিতির শিকার হয় মূলত। এরকম একটা কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু জন এমনটা ককরতে পারেনি। অপরদিকে জন২ এর উদ্দেশ্য আরও ভয়াবহ ছিল। সেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা পরবর্তীতে জানবো। জন যখন ওয়ার্মহোলে প্রবেশ করে অন্য একটি ওয়ার্মহোল থেকে বের হলো তখন সেই পৃথিবীটা অনেক রকম ছিল এবং সেখানকার মানুষের কোন অভাব ছিল না এবং দুঃখের বিষয় এটাই তার বউ থাকলেও সেই ইউনিভার্স তাদের কোনো সন্তান ছিল না, জনের এতদিনের স্বপ্ন, আসা সব এক নিমিষেই নষ্ট হয়ে গেল কারন জন তার সন্তানদের অনেক ভালোবাসতো। সে ব্যর্থ হয়ে মন খারাপ করে তার ইউনিভার্স আবার চলে আসে। কিন্তু ভুলবশত সেই ভুলের ওয়ার্মহোল চালু অবস্থায় রেখেই চলে আসে, এখন থেকেই এই গল্পের মূল ক্লাইম্যাক্স শুরু হয়।

জন যখন তার বাসায় এসে তার ডিনার করে শুয়ে পরবে এমন সময়ে ওয়ার্মহোল থেকে জন ২ বেরিয়ে আসে এবং তাদের বাসায় এসে জনের স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করে। এই দেখে জন অনেক ভয় পেয়ে যায় এবং অনেক কষ্ট করেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু সে আটকাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে জন গাড়ি বের করে জনের স্ত্রী জেনিফার এবং তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

জনের স্ত্রী জেনিফারের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল এবং তাদের দুই সন্তানের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। এই দিকে জন কিছুই ভেবে পাচ্ছে না, আমি কি করতে চেয়েছিলাম আর এখন কি হচ্ছে? এভাবে চিন্তা করতে করতে সে গাড়ি চালাতে থাকলো এবং জন ২ তার স্ত্রীকে কেন হত্যা করতে আসছে এই বিষয়টিও এখন পর্যন্ত জানা যায় নি।

জন এখন কোথায় যাবে,, কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছিল না, এরপরে গাড়ি চালাতে চালাতেই সম্পূর্ণই স্টোরি জনের বউকে বলতে থাকলো। আমি ওয়ার্মহোলের দরজা খুলে দিয়ে এসেছিলাম এবং সেখান থেকেই অন্য ইউনিভার্সের আমার আরেক রূপ এই ইউনিভার্সের চলে এসেছে কিন্তু তোমাকে কেন হত্যা করতে চাইছে সে বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমার জানা নেই।

চলবে.........

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রত্যেকটি ছবি Canva Pro দিয়ে তৈরি করা হয়েছে.

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ছোটগল্প || মাল্টিভার্স ( চতুর্থ পর্ব )

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......