হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। তবে কয়েকদিন ধরে আমরা সবাই অনেক শোকে রয়েছি, এছাড়াও পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুযায়ী কোনমতেই ভালো থাকতে পারছি না। তারপরও সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এই পরিবারের সবাই যেন সব সময় অনেক ভালো রাখেন।
আজ একটু ব্যতিক্রমধর্মী বিষয়বস্তু আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আসলে আমরা প্রত্যেকেই বর্তমানে জীবিত রয়েছি, প্রত্যেকের বয়স দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন ও হবে যখন আমাদের বয়স জীবনে একদম শেষ প্রান্তে হয়ে যাবে। তখন আমাদের জীবনগুলো কেমন হবে এবং তখনকার চিন্তা ভাবনা গুলো কেমন হবে। যদিও বেশি এই বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা অনেক কঠিন তারপরও আমি আমার মনের মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
আমি শুনেছি এ জীবনে শেষ সময়গুলো নাকি অনেক কষ্টকর উঠে। কথাটা কতটা সত্য সেই বিষয়টি নিয়ে আমার ধারণা নেই। তবে কিছু কিছু মানুষকে দেখেছি যারা জীবনের শেষ মুহূর্ত হাসপাতাল হাসপাতালে কাটিয়ে দেয়। এমনও কিছু মানুষদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল যারা জীবনের শেষ সময়টি অনেক আনন্দের মাঝে নিজের পরিবারের সাথে কাটিয়ে দেয়। সেই মানুষগুলো আসলেই অনেক সৌভাগ্যবান। তবে আপনার একটি কল্পনা করে দেখুন তো এই মানুষগুলো জানে তাদের জীবনে আজ বেশিদিন বেঁচে থাকার মত সৌভাগ্য নেই। তাদের জীবনে কি রকম অনুভূতি কাজ করে, আসলে এটা অনেক ভয়াবহ একটি অনুভূতি।
জীবনের শেষ সময়ে সব ভালো খারাপ সব কাজই মনে পড়বে। মনে পড়বে অতীতে কাটানো সেই সব সুন্দরময় স্মৃতির কথা। এছাড়াও তাদের সন্তানদের লালন পালন করার যে সব সুন্দর মুহূর্ত রয়েছে সেসব মুহূর্তের কথা। এছাড়াও তারা যদি দাদু বা দাদী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তো সেই সুখটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আমাদের এই জীবনটি কত সুন্দরময় এবং বিচিত্রময় সেই বিষয়গুলো আমরা জীবনের শেষ সময় এসেই বুঝতে পারি। তখন আমরা অনুধাবন করতে পারি আমাদের জীবনটা কেন আমরা আরেকটু বেশি আনন্দময় করে কাটালাম না...!
তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করবো নিজের সময়গুলোর সঠিক ব্যবহারের জন্য এবং যতটুকু আনন্দ করা যায় সেই সবটুকু আনন্দ করে নেব। তাইতো সব সময় নিজেদের ছোটখাটো ইচ্ছে গুলো পূরণ করা উচিত তা না হলে হয়তো সে ইচ্ছে গুলো অপূর্ণই থেকে যাবে। জীবনের শেষ সময়ে এসে সেই আফসোসগুলো করতে হবে। সবসময় জীবনের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জীবনের শেষ সময়ের জন্য কিছু হলেও সম্পদ রেখে যেতে হবে। তা না হলে বিশেষ করে অনেক সমস্যার মধ্যেই পরতে হবে। আমাদের এলাকায় এরকম অনেক মানুষ রয়েছে নিজের সব সন্তানদের মাঝে সবগুলো সম্পত্তি ভাগাভাগি করে দেওয়ার পরে সেই বাবা মাকে আর কেউ দেখেনা। এগুলোর সমাজের প্রত্যেকটি জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়।
আমাদের এই জীবনটা খুবই ক্ষণস্থায়ী। দেখতে দেখতে সম্পূর্ণ জীবন অতিবাহিত হয়ে যাবে কিন্তু তারপরও মনে হবে এই তো কয়েকদিন আগেই বুঝতে শিখলাম। তাইতো বলি সব সময় নিজের নিজের জীবনকে উদযাপন করার চেষ্টা করুন, নিজের প্রত্যেকটি মুহূর্তগুলো ভালোভাবে উপভোগ করুন। তাহলেই হয়তো শেষ সময়ে গিয়ে আমরা সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবো। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: জীবনের শেষ মুহূর্ত
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
জীবনের শেষ মুহূর্তে প্রায় সবাই এক প্রকার অসহায় হয়ে যায়। আর তখন যদি নিজের সন্তানেরা সেভাবে খেয়াল না রাখে,তখন আসলে দুঃখের কোনো সীমা থাকে না। কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু সন্তান বৃদ্ধ মা-বাবার ভরণপোষণের দায়িত্ব পর্যন্ত নিতে চায় না। তখন সেই সমস্ত মা বাবার চোখে ভেসে উঠে, উনারা কতো যত্ন করে সন্তানদেরকে লালন পালন করেছেন। তাই বৃদ্ধ বয়সে যাতে সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হতে না হয়, সেটা ভেবে নিজেদের জন্য কিছু না কিছু সঞ্চয় করা উচিত সবারই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চারিদিকে তো দেখছি এমন ঘটনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনের শেষ প্রান্তের অনুভূতিগুলোকে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা আমাদের সকলের জন্য অনেক চিন্তার খোরাক হবে ভাইয়া। সত্যিই, আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং আমরা যত বেশি এই জীবনকে উপভোগ করতে পারি ততই ভালো। আপনার কথা খুবই প্রেরণাদায়ক, বিশেষ করে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন। আশা করি, আমরা সবাই আপনার মতোই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই মূল্যবান চিন্তা-ভাবনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
[@redwanhossain]
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেস্টা করেছি মাত্র ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব মূল্যবান একটি পোষ্ট। মানুষের জীবনের শেষ সময় সত্যিই যেন এক প্রান্তিক বিন্দু। এই সময়ে জীবনের সব কৃতকর্মের সামনে দাঁড়াতে হয়। তাই ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না। এই পোস্টটি মানব জীবনের এক পরম সত্য উপলব্ধির কথা সকলের সামনে তুলে আনল। এমন বিষয় চয়নের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন। তাই তো জীবনের সব সময় উপভোগ করতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বয়স বাড়ছে,চিন্তা বাড়ছে,দায়িত্ব বাড়ছে।আর এর মাঝে সবাই সবার জীবনকে গোছাচ্ছে। আসলে আপনার লিখাগুলো পড়ে ভাবছিলাম,আপনি মনে হয় আমার মনের কথাগুলোই লিখেছেন।আসলে আমরা কেউই জানি না কে কতদিন আছি বা থাকবো। যেকোনো সময় আমাদের ডাক পড়তে পারে, আর চলে যেতে হবে। কিন্তু সময়, চলে যাচ্ছে নিজের মত। সবারই উচিত সময়টাকে সুন্দরভাবে অতিবাহিত করা। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া,দারুণ লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেস্টা করেছি আপু, আসলে জীবনেই মানে কি সেটাই আমরা বুঝি না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবন ক্ষনস্থায়ী।একদিন চলে যেতে হবে।এই ভাবনা এলে সবকিছু এলোমেলো লাগে।সবকিছুর মধ্যে দিয়ে এই জীবনটাকে উপভোগ করতে হবে।আর নিজেকে সব সময় তৈরি রাখতে হবে চলে যাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা, সেভাবেই চলতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এই জীবনটা ক্ষণস্থায়ী। হয়তো দেখতে দেখতেই জীবনের সময় গুলো কেটে যাবে। কোন এক সময় জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাব। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনে কি পেলাম। আপনার লেখা কথাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পৃথিবী থেকে আমরা কিছু নিয়ে যেতে পারবো না শুধুমাত্র দুটি জিনিস ব্যতীত। মানুষের ভালবাসা এবং কর্মফল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit