হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি সুস্থ আছি। গত পর্বে আমি আমার চাকরি জীবনের সংক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা তুলে ধরেছি এবং সবকিছুই মোটামুটি একটু বেশি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে চাকরি জীবনে আমার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে তেমনি একটি ঘটনা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশা করছি এই ঘটনাটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং কিছু শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব। তবে চলুন শুরু করা যাক।
আমার এই ছোট্ট জীবনে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং সেসব অভিজ্ঞতা নিয়েই শিক্ষা গ্রহণ করে এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলার জন্য সব সময় চেষ্টা করি আমি। যখন ২০১৫ সালে প্রথম চাকরি জীবনে পদার্পণ করলাম তখন আমার খুব বেশি একটা বয়স ছিল না এবং এই চাকরি জগতটা যে কিরকম এই সম্পর্ক বেসিক কোন ধারনা আমার ছিল না। প্রথমত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে অনেক ছোটখাটো একটি চাকরিতে ঢুকেছিলাম। তখন আমার দায়িত্ব ছিল কম্পিউটার ল্যাবের সবকিছু দেখাশোনা করা। কম্পিউটার যদি কোন সময় নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ঠিক করার চেষ্টা করা এবং কোন যদি সফটওয়্যার জনিত কারণে সমস্যা হয় সেসব বিষয়গুলো আমি দেখাশোনা করতাম। এরই মাঝে বছর খানেক পেরিয়ে গিয়েছিল। আমার এখন স্পষ্ট মনে আছে এক সময় আমি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।
তখন হয়তো সেই বিষয়টা আমি বাসায় সেভাবে করে বলিনি জাস্ট সাধারণ জ্বর বলেই বাসায় জানিয়েছিলাম কিন্তু আমার এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল আমি বিছানা থেকে প্রায় ৫-৬ দিন উঠতে পারেনি। পরিস্থিতি এমন একটা খারাপ পর্যায়ে গিয়েছিল আমার তখন আশেপাশে কোন পরিচিত মানুষ ছিল না যেই মানুষটা আমাকে এক পাতা নাপা কিনে এনে দিবে। সেই সাতদিন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম সাত দিন বললে ভুল হবেনা। কারণ সেই সময় যতটুকু সময় পেয়েছে শুধুমাত্র আমি আমার এই পরিস্থিতি সম্পর্কে ভাবতে এবং কল্পনা করতেই ব্যস্ত ছিলাম। যদি ঢাকা শহরে আমার তখন কেউ পরিচিত মানুষ থাকতো তখন হয়তো আমার এতটা কষ্ট করতে হতো না। যদিও ঢাকা শহরে আত্মীয়-স্বজনের অভাব নেই কিন্তু তারপরও বিপদের সময় আসলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এই বিষয়টা তখন আমি ভালো করে বুঝতে শিখেছি। তবে সেই বিষয়টা আমার জীবনে হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে আমি মনে করি। তা না হলে হয়তো আমি জীবনের প্রকৃত মানেটা বুঝতে পারতাম না।
যদিও সেই সময়টা আমি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি হোস্টেলেই ছিলাম। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল কোন ভাবে নিজেই উঠে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গুলো করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন ছয় তলার উপর থেকে উঠে নিচে ফার্মেসী গিয়ে ওষুধ কেনার মত শক্তি তখন আমার কাছে ছিল না। প্রায় দুইদিন যাওয়ার পরে আমার এই এক কলিগ কিছু মেডিসিন আমার জন্য এনে দিয়েছিল এবং সেটা খেয়েই পরবর্তীতে পাঁচ দিন লেগেছে সুস্থ হতে। তবে এই সময়টুকুতে আমি জীবনের প্রকৃত মানে এবং আসলেই যে আত্মীয়-স্বজনের বিষয়গুলো এগুলো ভালো হবেই বুঝতে পেরেছিলাম। পরবর্তীতে এরপরে প্রায় তিন বছর পরে আবারো এরকম সমস্যা ধরা পড়ে। তখন আমার মায়ের একটা বন্ধু আমাকে সাহায্য করেছিল এবং আমাকে নিয়ে অনেকটাই ছুটোছুটি করেছিল, সেই বিষয়টা কখনো ভুলতে পারব না।
আমি ব্যক্তিগতভাবেই মনে করি মানুষের যেমন ভালো দিনগুলো আসার দরকার ঠিক তেমনিভাবে কিছু খারাপ মুহূর্ত আসা দরকার। তা নাহলে আমরা বুঝতে পারবো না। আসলে আমাদের সাথে কে রয়েছে কিংবা আমাদের পাশে কে রয়েছে। সেসব মানুষগুলোকে সবসময় আইডেন্টিফাই করতে হবে। বিশেষ করে যে মানুষগুলো আপনার বিপদে সময় পাশে ছিল সেসব মানুষদেরকে কখনো ভুলে যেতে আপনি পারবেন না। এটাই সত্যি কারের মনুষ্যত্ব বলে আমি মনে করি। আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা (২য় পর্ব)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আপনার সেই আঙ্কেল সত্যিই আপনার বেশ উপকার করেছিল তখন। যাইহোক বর্তমানে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে তেমন উপকার পাওয়া যায় না বললেই চলে। তারা শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসে। যাইহোক জ্বর এসেছিল বলে ৫/৬ দিন বিছানা থেকে উঠতে পারেননি, এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো ভাই। তখন সত্যিই কঠিন সময় পার করেছিলেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনের খারাপ সময়গুলোতে সত্যি মানুষের প্রকৃত মানে ও সম্পর্কগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আপনি যে আত্মবিশ্বাস এবং শেখার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, তা প্রশংসনীয়। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো আমাদেরও অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit