পরিবারের সাথে আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত

in hive-129948 •  5 days ago 
পরিবারের সাথে আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত

photo_2024-11-16_20-33-38.jpg

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনাদের সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি একটু ব্যতিক্রম বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। গত এক তারিখে নতুন বাসায় উঠেছি, কিন্তু এদিকে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি। বাসার সব কিছু গোছানো নিয়েই সকলেই ব্যাস্ত ছিলাম। তবে গত কিছু দিন আগে আমি, আমার মা, ছোট ভাই ও নানিরা মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম ৩০০ ফিট। আমরা যেখানে থাকি সেখান থেকে ৩০০ ফিট যেতে খুববেশি এবটা সময় লাগে না।

এদিকে আবার মা ও নানিরা গ্রামে ফিরে যাবেন। সব মিলিয়ে এই পরিবার মিলে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। আমি সাধারনত ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আবার বাসার কাছেই এতো সুন্দর একটি জায়গা আছে, তাই সব কিছু চিন্তা করেই সে দিন ঘুরতে গিয়েছিলাম। পরিবারের সাথে অনেকদিন যাবত কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি। যেহেতু আমার পরিবারও ঢাকায় এসেছে সেহেতু চিন্তা করলাম সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসি। ঘুরে আসতে গিয়ে নতুন এক ঢাকাতে আবিষ্কার করলাম। আমার বাসা থেকে খুব বেশি একটা দূরে নয়। সে স্থানে যেতেই একটি ট্রান্সফরমেশন লক্ষ্য করলাম, শহর থেকে কিভাবে গ্রামের রূপান্তরিত হয়।

photo_2024-11-16_20-33-43.jpg

photo_2024-11-16_20-33-40.jpg

photo_2024-11-16_20-33-34.jpg

photo_2024-11-16_20-33-32.jpg

photo_2024-11-16_20-33-30.jpg

photo_2024-11-16_20-33-27.jpg

প্রথমেই আমরা একটি ব্রিজের নিচে দাঁড়ালাম এবং সেখানে নৌকা দিয়ে সেই নদীটি পার হলাম। পার হওয়ার সাথে সাথেই নতুন একটি গ্রাম আবিষ্কার করলাম। যেটাতে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। পরিবার নিয়ে সেসব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লেগেছিল। এছাড়াও বেশ কিছু আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করেছি। বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি যদিও সেসব ফটোগ্রাফি এখনো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি তবে সময় বুঝে সেগুলো শেয়ার করে নিব।

সেখানে বেশ কিছু সময় থাকার পরে আমরা নীলা মার্কেট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যেটা আসলে ৩০০ ফিটের একটি মেলা। যেটা প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় বসে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছি, আমার পরিবারের সাথে খাওয়া দাওয়া করেছি এবং বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেছি। আসলে এই সময় গুলো অমূল্য সম্পদ। এগুলো স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে সারা জীবন। প্রায় অনেকগুলো মাস পরে পরিবারের সাথে এভাবে ঘুরাঘুরি করা হলো, যেটা আসলে নিজের মনকে সতেজ করার জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।

এছাড়াও আমার মা খুব দ্রুতই আমার এই বাসা ছেড়ে গ্রামের বাসায় চলে যাবে এর জন্য বর্তমানে মন একটু খারাপ রয়েছে। কিন্তু তারপরও আশা করা যায় খুব দ্রুতই গ্রাম থেকে আবার ফিরে আসবেন। আপনারা কি কখনো নীলা মার্কেটে গিয়েছেন? যদি গিয়ে থাকেন তাহলে সেখানকার অভিজ্ঞতা কমেন্টে অল্প করে লিখতে পারেন. আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

PUSS_gif.gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: পরিবারের সাথে আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পরিবার নিয়ে এভাবে ঘুরাঘুরি করতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ৩০০ ফিট ঘুরতে গেলে মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ৩০০ ফিট গিয়ে শাকিলা আপার বিখ্যাত হাঁসের মাংস এবং রুমালি রুটি খাননি ভাই? তাছাড়া নীলা মার্কেট গিয়ে বড় বড় মিষ্টি খাননি? যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হাসের মাংস খুব একটা পছন্দ করি না, তবে সবাই মিলে মিস্টি খেয়েছি।

পরিবারের সবাই মিলে খুব ঘোরাঘুরি করেছে বোঝাই যাচ্ছে। পোস্টে ছবি দেখেছি আর তোমার মায়ের তো চমৎকার সব ছবি। কিছু কিছু জায়গায় গ্রামের ছোঁয়া থেকেই যায়। তবে সেইটুকু আছে বলেই ব্যস্ত ঢাকা শহর থেকে যখন পালানোর মন চাইবে তখন টুক করে পৌঁছে যেতে পারবে। এখানকার ছবিগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

হ্যা, যায়গাটি অনেক কাছে, সময় হলেই ঘুরে আসা যাবে।